তিন মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

একটি গর্ভবতী মায়ের যখন একটি একটি মাস পার হবে তখন আস্তে আস্তে তার খাবার তালিকা চেঞ্জ করতে হবে এবং তার আস্তে আস্তে খাদ্য তালিকার মধ্যে পুষ্টির পরিমাণ বেশি দিতে হবে কারণ বাচ্চাটা যত বেশি বড় হতে থাকবে তত বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

তাই আমরা এবার আপনাদের জন্য তিন মাসের গর্ভবতী মেয়েরা কিভাবে খাবার খাবে এবং কোন কোন খাবার খেলে তাদের পুষ্টিগুণ বাড়বে সে সকল বিষয়ে তথ্য দিয়েছি। আপনারা আমাদের এখান থেকে পেয়ে যাবেন তিন মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এই খাবার তালিকা থেকে আপনারা জানতে পারবেন কি কি খাবার খেতে হবে এবং কি কি খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে গর্ভবতী মায়েদের।

তার জন্য আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত আশা করছি আপনারা এই সকল তালিকাগুলো পেয়ে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। বর্তমানে বেবি কনসিভ করলেই মানুষ ডাক্তারের কাছে যায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে থাকে কিন্তু ডাক্তার যে সকল খাদ্য তালিকা দেয় সে সকল খাদ্য তালিকা গুলো অনেক সময় অনেক মানুষ ভালোভাবে বুঝতে পারে না সেজন্য তারা ভেবে পায় না কোন খাবার খাবে এবং কোন খাবার খাবে না।

যখন বাচ্চার বয়স তিন মাস হয় তখন অনেক সেনসিটিভ একটি সময় পার হয় কারণ এই সময়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বা এই সময় একটু এদিক সেদিক হলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেই জন্য এটা অনেক সতর্কতার সাথে পার করতে হয়। তাই আপনাকে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে যে এই তিন মাস বয়সে আপনাকে কি কি খাবার খেতে হবে এবং কোন কোন খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এই সময় আপনি যত বেশি পুষ্টিকর খাদ্য খাবেন আপনার বাচ্চা তত বেশি বড় হতে থাকবে।

এবং এই তিন মাস থেকে বাচ্চার গ্রোথ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে বেবি কনসিভ হওয়ার পর থেকে আপনাকে অবশ্যই টক খাবার থেকে একটু বিরত থাকতে হবে যেমন আপনি আচার খেতে পারেন কিন্তু আনারস খাওয়া যাবে না। যখন আপনি গর্ভাবস্থায় আনারস এবং পেঁপে খেতে শুরু করবেন তখন আপনার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা 100% থাকে সেজন্য এই সকল খাবার থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন বেবি কনসিভ হওয়ার পরে।

আর আপনাকে যে সকল খাদ্য খেতে হবে সে সকল খাদ্যের তালিকা আমাদের এখানে রয়েছে এবং এই সকল খাদ্য তালিকার মধ্যে অবশ্যই আপনাকে প্রোটিন আমিষ ভিটামিন এ সকল খাদ্যগুলা বেশি বেশি খেতে হবে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকাতে আপনি অবশ্যই মাছ মাংস ডিম কিছু রাখবেন এবং এই খাদ্যগুলো আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে।

এছাড়া রাতে ঘুমানোর সময় আপনি দুধ খাবেন এবং পুষ্টি জনিত খাদ্য খেতে থাকবেন আপনার পেটে সব সময় খাবার রাখতে হবে এমন কোন সময় নেই যে আপনার অতিরিক্ত খিদা লাগছে কিন্তু আপনি কিছু খাবার পাচ্ছেন না। আপনার যখন খাদ খেতে ইচ্ছে করবে ঠিক তখনই আপনাকে খেতে হবে কারণ আপনার খাবারটা আপনার বাচ্চা শরীরে পুষ্টির হিসেবে লাগবে সেজন্য খাবারের সময় কোন অনীহা করা যাবেনা।

তিন মাস থেকে আপনার বাচ্চা বড় হতে শুরু করবে এবং আপনি যা যা খাবেন সবকিছুই আপনার বাচ্চার শরীরে লাগবে এজন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে একটি বিষয় যে গর্ভকালীন অবস্থায় আপনি কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে পারবেন না আপনার বাচ্চার শরীরে যে সকল পুষ্টিগুলোর প্রয়োজন তা আপনাকে খাদ্যের মাধ্যমেই দিতে হবে।

আপনাকে সবসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিনসমিত খাবার খেতে হবে কারণ এই সকল খাবার গুলো আপনার বাচ্চার শরীরে পুষ্টি যোগাবে। গর্ভকালীন অবস্থাতে সহজে খাইতে ইচ্ছা করে না আবার খাদ্যে অরুচি দেখা দেয় কিন্তু কষ্ট হলেও আপনাকে পেট ভরে খেতে হবে কারণ আপনার বাচ্চার গ্রোথ ভালো করতে হলে অবশ্যই আপনার মুখে রুচি বাড়াতে হবে। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এ তালিকাটা দিয়েছি আশা করছি আপনারা এই তালিকা থেকে অনেক কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এই তালিকা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে থাকলে আপনার বাচ্চা অনেক তাড়াতাড়ি পুষ্ঠু হবে এবং পুষ্টি নিয়ে দুনিয়াতে আসতে পারবে সুস্থভাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *