গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বাংলা

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ জানা থাকলে আপনাদের অনেক বেশি সুবিধা হবে কারণ যখন এই লক্ষণ গুলো আপনারা জানবেন তখন বুঝতে পারবেন যে আপনারা গর্ভবতী হয়েছেন এবং সেই অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে পারবেন। গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো আপনাদের জানা না থাকলে নানা রকম ভুল হয়ে যেতে পারে যেমন অনেকেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো না জানার কারণে সহবাস করে ফেলা এবং তারপরে পিল খেয়ে ফেলে যা একটি বাচ্চার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।

আবার অনেকেই আছে যারা গর্ভবতী লক্ষণগুলো না বুঝতে পেরে নানা রকম কাজকর্ম ও দৌড়াদৌড়ি করে ফেলে যাতে তাদের বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার পর কোন রকম এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যায় না কিন্তু যারা বুঝতে পারে না যে তারা গর্ভবতী হয়েছে তারা যে কোন সমস্যা হলে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ফেলে যার ফলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেজন্য প্রত্যেকটি মানুষের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো জেনে রাখা প্রয়োজন।

তাই আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য গর্ভবতী হওয়ার যে সকল লক্ষণ গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আমাদের এই আয়োজনটি করেছি আপনারা আমাদের এই লেখাগুলো শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝতে পারবেন যে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি এবং কিভাবে কি করলে এই লক্ষণ গুলো বোঝা যায় ও নিজে সতর্ক থাকা যায়। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহ থেকে নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয় যেমন গর্ভবতী হওয়ার সর্বপ্রথম লক্ষণ হল জরায়ু থেকে পিচ্ছিল আকারে থকথকা কিছু পদার্থ বের হবে যেটা আপনাদের বুঝে নিতে হবে বা অন্তর বাসে লেগে থাকতে পারে।

গর্ভবতী হওয়ার এক মাস পর স্তনে ব্যথা অনুভব হতে পারে এটা একটি বড় লক্ষণ কারণ সাধারণত কারো স্তনে ব্যথা হবে না যদি সে গর্ভবতী বা কোন আঘাত না পায়। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার পরে স্তনে ব্যথা করবে বিশেষত্ব ঘুম থেকে ওঠার পরে সকালে এই ব্যথাটা বেশি অনুভব করবে। গর্ভবতী হওয়ার পরে বমি বমি ভাব হবে যেমন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কোন খাবার খেতে গেলে বমি হবে বা ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে মাথা ঘুরে যাবে ও বমি চলে আসবে।

এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার পরে যে কোন খাবারে অনেক বেশি গন্ধ লাগে যেমন কোন খাবারের মশলার গন্ধ লাগে আবার কোন খাবার এমনিতে খেতে ভালো হলেও খাওয়া যায় না। এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার পরে আস্তে আস্তে স্তন বড় হতে থাকবে বা ফুলে যেতে থাকবে এটা একটু বড় লক্ষণ। এ ধরনের লক্ষণ গুলো ৩০ দিন পর থেকে বোঝা যায় আর সব থেকে বড় লক্ষণ হলো মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে তাই আপনারা যারা গর্ভবতী লক্ষণ গুলো জানতে চেয়েছেন তারা এই ধরনের বিষয়গুলো ফলো করতে থাকবেন যদি দেখেন যে এমন কিছু হয়েছে তাহলে বুঝে যাবেন যে আপনি গর্ভবতী।

তবে মাসিক বন্ধ হওয়ার ৩০ দিন পরে যদি মাসিক না হয় বা যদি ৪০ থেকে ৪৫ দিন হয়ে যায় তখন কাঠি দিয়ে বাসায় পরীক্ষা করতে হবে যদি পজেটিভ আসে তাহলে বোঝা যাবেন যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে তারপরও বিশেষজ্ঞ গাইনি ডাক্তারের কাছে যাবেন ও আল্টাসনোগ্রাফির মাধ্যমে সকল তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিবেন। ডাক্তারের কাছে গেলে যদি কোন রকম কোন সমস্যা থেকে থাকে শারীরিকভাবে তাহলে সেটা সমাধান মিলে যাবে কারণ গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের নানারকম সমস্যা হয় যেমন কারো খাদ্যে অরুচি চলে আসে আবার কারো রক্তশূন্যতা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এগুলো বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।

রক্তশূন্যতা দেখা দিলে কোনভাবেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন না কারণ রক্তের মাধ্যমেই তো আপনার বাচ্চাটা পরিপূর্ণ মানুষ রূপে তৈরি হবে এবং সে পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবে সে জন্য যে সকল খাবারগুলোতে রক্ত তৈরি হয় সে সকল খাবারগুলো শেষের তিন মাসে বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ আপনি যত বেশি যত্নে থাকবেন আপনার বাচ্চা তত বেশি ভালোভাবে ডেলিভারি হতে পারবে সেজন্য সতর্ক ও খেয়াল দুটোই রাখতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *