গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাসের রক্তপাত

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাসের রক্তপাত হওয়ার কিছু কারণ জানাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক সময় এ বিষয়গুলো না জানার কারণে মানুষের নানা রকম বিপদ চলে আসে। তাই আমরা আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য গর্ভবতী মায়েদের প্রথম তিন মাসের যদি রক্তপাত হয় কেন হয় সে সকল কারণ নিয়ে আলোচনা করব।

গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে একেবারে শেষ সময় পর্যন্ত একটি মায়ের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বিষয় রয়েছে এ বিষয়গুলো সবার জানা প্রয়োজন। যখন একটি মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন থেকে তার জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায় এবং গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে তাকে অনেক বেশি যত্নে এবং অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই সময়টা গর্ভবতী মা যত বেশি ভালো থাকে তার বাচ্চা তত বেশি ভালো থাকে সে জন্য গর্ভবতী সময়ে গর্ভবতী মায়ের অনেক বেশি যত্ন নিতে হয় এবং অনেক বেশি গুরুত্বসহকারে তার প্রত্যেকটা বিষয় দেখতে হয়।

গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম তিন মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় কিন্তু যদি হঠাৎ করে এই প্রথম তিন মাসের মধ্যে রক্তপাত শুরু হয়ে যায় তাহলে কিন্তু অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় গর্ভবতী মাকে। আপনারা যারা গর্ভবতী মায়ের খেয়াল রাখার চেষ্টা করেন বা গর্ভবতী মায়ের দেখাশোনা করেন তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন যে গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে যেন রক্তপাত না হয়। পেটে হালকা ব্যথা এবং যোনিপথের রক্তপাত কিন্তু খারাপের লক্ষণ হয় এটার কারণে বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় না হয় মায়ের শরীরে কোন সমস্যা থাকে যার ফলে এমন টা দেখা দেয়।

তবে সাধারণভাবে অনেক সময় প্রথম তিন মাসের মধ্যে রক্তপাত দেখা দেয় কিন্তু যদি সেটা অল্প হয় তাহলে ঠিক আছে কিন্তু একদিন হলে সেটা মারা যায় যদি রেগুলার এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে চলে যেতে হবে কারণ গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাত হওয়াটা খুবই খারাপ একটি বিষয়। প্রথম তিন মাসে রক্তপাত মানে অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় আবার অনেক সময় বাচ্চার বৃদ্ধি হয় না বা বাচ্চা পেটের মধ্যে মারা যায় এমন সময় রক্তপাত শুরু হয়ে যায়। তাই প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি গর্ভবতী মায়ের কোন রকম রক্তপাত শুরু হয়ে যায় বা যোনিপথ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

যদি হাসপাতাল দূরে হয় তাহলে নিকটস্থ কোন জায়গায় কোন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে বা ফোনের মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে কিন্তু দেরি করা যাবে না কারণ আপনারা যত বেশি দেরি করবেন গর্ভবতী মায়ের অবস্থা তত বেশি খারাপ হয়ে যেতে পারে। শুধুমাত্র রক্তের মাধ্যমে কিন্তু একটি বাচ্চা পরিপূর্ণভাবে মায়ের পেটে বড় হতে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন।

রাস্তায় যেন কোনরকম কোন আঘাত না পাই গর্ভবতী মা কারণ এমন অবস্থায় যত বেশি আঘাত পাবে তত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বাচ্চার সেজন্য যাওয়ার সময় এমন কোন ব্যবস্থা রাখবেন যাতে আরামের সাথে গর্ভবতী মা হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। হাসপাতালে যাওয়ার পরে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা আপনাদের ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন এবং আল্টাসনোগ্রাফিও করতে পারে প্রয়োজন পড়লে সে ক্ষেত্রে আপনার সমস্যাটা কিসের জন্য হচ্ছে সেটা ধরা পড়বে আবার অনেক সময় বাচ্চার কোন সমস্যা না হলেও মায়ের সমস্যার কারণে গর্ভবতী মায়ের যৌনপদ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।

এজন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা খুবই বেশি প্রয়োজন এবং আপনার এই সমস্যার জন্য সমাধান প্রয়োজন কারণ যদি রেগুলার এমনটা হতে থাকে এতে আপনার বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে কিন্তু আপনি যদি ডাক্তারের কাছে যান এবং পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে থাকেন তাহলে এই সমস্যার সমাধান মিলবে। তাই বলা যায় প্রথম তিন মাসে যদি এমন কোন সমস্যা হয় দেরি না করে ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন যত দ্রুত সম্ভব এবং খেয়াল করবেন এমন কোন লক্ষণ হয় কিনা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *