গর্ভবতী গাভীর ক্যালসিয়াম

গর্ভবতী গাভীর ক্যালসিয়াম অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ এই সময়টায় গাভীর পুষ্টিকর খাদ্য এবং ক্যালসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন সবকিছুই পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রয়োজন পড়ে। আপনারা যারা গরু পালন করেন এবং গর্ভবতী গাভী রয়েছে তারা অবশ্যই এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন কারণ যখন আপনার গাভী গর্ভবতী হবে তখন অবশ্যই আপনাকে এই সকল বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে হবে।

গর্ভবতী গাভীকে যদি আপনি সুস্থ রাখতে চান এবং গাভীর বাচ্চা যদি সুস্থ পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই সকল বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং সঠিক নিয়মে গাভীকে পরিচর্যা করতে হবে। মানুষের যেমন গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে অনেক বেশি সতর্কতা ও পুষ্টি সম্মিলিত খাবার দিয়ে তাকে সঠিক সময় পর্যন্ত ঠিকঠাক রাখতে হয় তেমন গাভীর বিষয়টা। যখন আপনি একটি গাভী গর্ভবতী হবে তখন তাকে সকল বিষয় পুষ্টিকর খাবার এবং তার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে কারণ গাভী যত মোটাতাজা এবং সুস্থ থাকবে তার বাচ্চা তত বেশি সুস্থ থাকবে।

যখন একটি গাভী পালন করা হয় ছোট থেকে তখন তাকে নানা রকমের খাদ্য দিতে হয় এবং গাভীর খাদ্য অন্যান্য গরুর মতো দিলেই চলে কিন্তু যখন একটি গাভী গর্ভবতী হবে তখন তার প্রত্যেকটা বিষয় একটু গুরুত্ব দিতে হবে কারণ আপনি গাভীকে যেমন খাওয়াবেন তার বাচ্চাও ঠিক ততটাই সুস্থ সবল হবে।অনেক মানুষ আছে যারা গাভী পুষে কিন্তু গাভীকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করে না গাভীকে সঠিকভাবে খাদ্য দেয় না আবার গর্ভবতী গাভীকে কি কি খাবার দিতে হয় এবং কি কি ভাবে তাদের যত্ন নিতে হয় সে সকল বিষয়গুলো বোঝেনা।

অনেক মানুষ আছে যারা সব সময় চেষ্টা করে গাভীকে কম খাওয়াতে এবং গাভী থেকে বেশি দুধ গ্রহণ করতে তবে এটা অনেক বেশি অন্যায় আপনি যতটা গাভীকে খাওয়াবেন গাভী ততটাই উপকারিতা দেবে আপনাকে। একটি গাভী যখন আপনি বাড়িতে পোষেন তখন কতটা উপকার হয় তার দুধ বিক্রি করে আপনি অনেক বেশি টাকা পান আবার তার কবর থেকে আপনি খড়ি তৈরি করতে পারেন সেজন্য যদি আপনি গাভীকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান গর্ভকালীন অবস্থায় তখন তার বাচ্চাটা যখন বড় হবে সেটা আপনি ভালোভাবে বিক্রি করতে পারবেন সেই জন্য তাদের যত্ন নেওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন।

গাভীরা হয়তো তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে না কিন্তু যারা তাদের পোষে তারা অবশ্যই বুঝে ফেলে যে তাদের কখন কোনটা প্রয়োজন সেজন্য আমরা আপনাদের গর্ভবতী গাভীদের কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে বা তাদের ক্যালসিয়াম কতটা প্রয়োজন সে বিষয়ে আজকে জানাতে এসেছি। গবেষক এর তথ্য অনুযায়ী গাভীর খাদ্যে ড্রাই মেটার বা ডি এম এর 0.6% ক্যালসিয়াম থাকা প্রয়োজন।

এটা হল ক্যালসিয়ামের স্বাভাবিক একটি মাত্রা এটা থাকতেই হবে একটি গাভীর শরীরে।তবে তা কোনোভাবে 1% এর ওপরে হওয়া যাবে না যখনই তা এক পার্সেন্ট এর ওপরে চলে যাবে তখন নানা রকম ভাবে সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে সেজন্য এটা সতর্ক রাখতে হবে এবং গর্ভবতী গাভীর ওপর নজর রাখতে হবে। সহজ ভাবে বলা যায় যদি একটি গাভী ৫০০ কেজি ওজনের হয় এবং 20 থেকে 25 লিটার দুধ দেয় আর ফ্যাট যদি চার পয়েন্ট পাঁচ পার্সেন্ট এবং প্রোটিন যদি ৩.৫% হয় তাহলে তার খাদ্যে দৈহিক ১০০ থেকে ১৬০ গ্রাম ক্যালসিয়াম রাখতে হবে।

প্রতিদিন যখন একটি গাভীকে ১০০ থেকে ১০৭ গ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়ানো হবে তখন তার বাচ্চা অনেক বেশি পুষ্টি সম্পন্ন হবে কারণ এটা হবে তার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। একটি গর্ভবতী গাভীকে সুস্থ রাখতে হলে এই বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে কারণ যখন একটি গর্ভবতী গাভীর শরীরে এই সকল পুষ্টিগুলো পড়ে পূর্ণ থাকবে তখনই সে একটি পুষ্ট বাচ্চা জন্মদান দিতে পারবে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভবতী গাভীকে কতটা ক্যালসিয়াম খাওয়াতে হবে এবং তার শরীরে কতটা ক্যালসিয়াম থাকলে সে সুস্থ থাকতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *