পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে

পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে এটা আপনারা অনেকেই জানেন না তাই আজকে আপনাদের এ বিষয়ে কিছু তথ্য দেয়ার জন্য আমাদের এই আয়োজন করা। আমরা জানি যখন একটি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার মনের অবস্থা কি থাকে সে কোনভাবে বুঝে উঠতে পারে না যে কি খেলে সে সুস্থ হতে পারবে বা কোন কাজটা করলে সে একটু আরাম পাবে।

সেজন্য আমাদের দেয়া এই তথ্যগুলো আপনাদের জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন পড়বে কারণ বর্তমানে অনেক বেশি পাইলসের রোগী দেখা যায় আর এই সমস্যাটা কোন বয়স দিতে হয় না এটা অনেক ছোট বাচ্চারও হতে পারে আবার এটা অনেক বয়স্ক মানুষদেরও হতে পারে। তবে বর্তমানে ইয়াং জেনারেশনের এই সমস্যাটা অনেক বেশি দেখা দিচ্ছে সেজন্য আপনারা যারা একটু সচেতন ব্যক্তি তারা অবশ্যই এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে জেনে নেবেন তাহলে আপনাদের যে কোন সমস্যা হলে বা এ ধরনের সমস্যা হলে আপনারা সেখান থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

যারা সচেতন নাগরিক তারা অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগ মুহূর্ত কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো আপনি না মানলে আপনার সমস্যা বেড়ে যাবে যার ফলে আপনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য সময় পাবেন না। পাইলসের সমস্যা হলে খাদ্য তালিকা টা অবশ্যই আপনাদের ফলো করতে হবে কারণ আপনারা যদি মেন্টেন করে না খাবার খান তাহলে কিন্তু এই সমস্যাটা কোন ভাবে কমবে না আর বিশেষ করে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তো এ সমস্যাটা আরো বেশি বিপদের।

অনেক সময় মানুষের খাবারের ভুলের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা শুরু হয় কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয় না তারা ভাবে হয়তো এমনিতে এটা ভালো হয়ে যাবে কিন্তু যখনই আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যকে গুরুত্ব দেবেন না তখনই আপনার পাইলস বা ফিস্টুলার মতো সমস্যা শুরু হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোন মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু তারই পাইলসের সমস্যাটা দ্রুত হয় সেজন্য আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। পাইলস হলে অবশ্যই আপনারা ডিম খেতে পারবেন তবে হাঁসের ডিম খাওয়া যাবেনা কারণ হাঁসের ডিম খেলে সেখান থেকে আপনাদের অ্যালার্জি সমস্যা হতে পারে আর যখনই আপনাদের অ্যালার্জি সমস্যা হবে তখন কিন্তু আপনাদের মলদার অতিরিক্ত চুলকাবে যার ফলে মলদ্বার আবার ক্ষত হতে পারে।

সেজন্য যে সকল মানুষদের পাইলস রয়েছে তাদের কিন্তু এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে একেবারে দূরে থাকতে বলা হয়। কারণ যখন আপনারা অ্যালার্জি জাতীয় খাবার খাবেন তখন কিন্তু টয়লেট হওয়ার পরে সে জায়গাটা চুলকানো শুরু করবে যার ফলে আপনাদের মনে হবে যে মলদার চুলকালে আপনারা আরাম পাবেন আর যেটা আপনাদের জন্য খুবই বেশি ক্ষতিকর। সেজন্য পাইলস হলে আপনারা অবশ্যই মুরগির ডিম খেতে পারবেন কারণ মুরগির ডিমের কোনরকম অ্যালার্জি নেই আর এই ডিম খেলে আপনাদের শরীরে পুষ্টিও বাড়বে কিন্তু ভুলেও আপনারা হাঁসের ডিম খেতে যাবেন না কারণ হাঁসের ডিম খেলে আপনাদের অ্যালার্জি হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও হাঁসের মাংস ও মসুরের ডাল ইলিশ মাছ বেগুন যেসকল খাবারগুলোতে এলার্জি রয়েছে সে খাবারগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে তবে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন বা আপনার মলদ্বারে কোন রকম সমস্যা দেখা দেবে না। এছাড়াও যে সকল খাবারগুলো খেলে বাথরুম নরম হবে মলত্যাকে কোনরকম সমস্যা হবে না সে সকল খাবার গুলো বেশি করে খেতে হবে যেমন শাক-সবজি ফলমূল অতিরিক্ত পানি ইত্যাদি। প্রতিদিন যদি আপনারা নিয়ম করে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন তাহলে আপনাদের পেটের মধ্যেকার সকল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে এবং আপনারা সঠিকভাবে টয়লেট সারতে পারবেন যার ফলে না হবে পাইলসের সমস্যা না হবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা।

এ বিষয়গুলো প্রতিটা মানুষের জানা প্রয়োজন তাহলে দেখবেন যে আপনাদের এই ধরনের সমস্যাগুলো হলেও আপনারা ঘরোয়া ভাবে তার সমাধান করতে পারবেন আর যাদের অনেক দিন থেকে রয়েছে তারা তো অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে এই সমস্যা ভালো করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *