মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কি

মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কি এটা অনেকেই জানেন না যার ফলে অনেকটা চিন্তার মধ্যে পড়ে যান রোজার সময়। আমরা আজকে আপনাদের মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কিনা এ বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছে আপনারা যারা সঠিকভাবে জানতে চাচ্ছেন যে আসলে মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কিনা তারা অবশ্যই আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রোজা একটি পবিত্র জিনিস প্রতি রমজান মাসে প্রতিটা মানুষকে রোজা পালন করতে হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করতে হয়। এই সময়টা কিন্তু প্রতিটা মেয়ে মানুষকে বা ছেলে মানুষকে পাক-পবিত্র থাকতে হয় আর পাপ-পবিত্র থেকে একেবারে নিজের মন পবিত্র রেখে যখন রোজা করা হয় আল্লাহর নামে তখন অবশ্যই রোজাটা কবুল করে। তবে হ্যাঁ মাসিক হলে কিন্তু রোজা রাখা যায় না সেই সময়টা আল্লাহ প্রতিটা মেয়ে মানুষকে ছাড় দিয়েছে। এমন একটি নিয়ম করেছে যেন মেয়ে মানুষ পরবর্তী সময়ে মাসিক চলাকালীন অবস্থায় যে কয়টা রোজা ভাঙ্গা পরে সে কয়টা রোজা পরবর্তীতে আবার করে দিতে পারবে সেজন্য মাসিক হলে রোজা রাখার জন্য কষ্ট করতে হবে না।

অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা বোঝে না আসলে মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কিনা তবে মাসিক হলে একটি মেয়ে মানুষের শারীরিক অবস্থা যতটা খারাপ হয়ে যায় সে সময় যদি সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয় তাহলে কিন্তু ওই মানুষটার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। সাধারণ দিনে যখন মাসিক হয় তখন কিন্তু পেটের যন্ত্রণায় একটি মেয়ে থাকতে পারে না অনেকটা কষ্ট হয়ে যায় সে সময় কি করবে না করবে কিভাবে পেটে যন্ত্রণা কমাবে নানা রকম ভাবে চেষ্টা করা হয়।

আর যখন রোজার সময় একটি মেয়ে মানুষ যদি মাসিক হয় আর সে যদি রোজা রাখে সে সময়টা কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা পবিত্র থাকে না আবার ব্যথা যন্ত্রণা নিয়ে এসে রোজা করতে পারবে না। বর্তমানে আধুনিক এই সময়ে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মাসিকের ডেট আগায় আসার সাথে সাথে তারা এমন কিছু ওষুধ খায় যে ওষুধগুলো খাওয়ার কারণে তাদের মাসিক হয় না এবং তারা পুরো ৩০ টা রোজাই করতে পারে। ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখার পরে যদি আবার সময়টা পার হয়ে যায় পরবর্তী সময়ে কিন্তু তাদের মাসিক হতে আবার দেরি হয়।

বিষয়টা এমন হয় যে তারা ৩০ টা রোজা রাখার জন্য মাসিকের ডেট আসার পরে তারা ওষুধ খেয়ে ডেট বন্ধ রাখে মাসিক হয় না কিন্তু পরবর্তী মাসে যখন মাসিক হতে যায় তখন কিন্তু এই ওষুধ খেয়ে বন্ধ রাখার জন্যই নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই যেহেতু ইসলামে বলা রয়েছে বা ইসলামে নির্দেশ রয়েছে মাসিক হলে কোন মেয়ে মানুষ রোজা করতে পারবে না হ্যাঁ সে মুখে মুখে প্রতিটা আমল করতে পারবে সে ধোয়া দূরুদ পাঠ করতে পারবে কিন্তু সে রোজা বা নামাজ পড়তে পারবে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখার কোন প্রয়োজন নেই।

কিছু কিছু সময় আছে বা কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে হয়তো পিরিয়ডের কথাটা বলা যায় না বা রোজা নেই এ কথাটা বলাও বাজে দেখায় সে ক্ষেত্রে আপনারা ওষুধ খেয়ে বন্ধ রাখতে পারেন পরিস্থিতি অনুযায়ী। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ না রাখাই ভালো এতে করে আপনাদের শারীরিক অবস্থা পরবর্তী সময়ে খারাপ হয়ে যায়।

যেহেতু আপনি রোজা ভঙ্গ করলে পরবর্তী সময়ে আবার সেই রোজা করে দিতে পারছেন সে ক্ষেত্রে কেন আপনি ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখবেন আপনি পরবর্তী সময়ে আবার সেই রোজাগুলো করে দেবেন তাহলেই দেখা গেল যে আপনি ৩০ টা রোযা করলেন এবং সঠিক নিয়মে করলেন। সিয়াম সাধনা করতে হলে অবশ্যই নিজেকে পাক পবিত্র রাখতে হবে আর যখন একটি মেয়ের মাসিক হয় তখন কিন্তু সে পাক-পবিত্র থাকে না সেজন্য এই সময় রোজা করা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *