গর্ভবতী অবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি

গর্ভবতী অবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি বা রোজা রাখা যায় কি এমনটা প্রশ্ন অনেকেই রয়েছে কারণ গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের এতটা সতর্ক থাকতে হয় যে একটু অনিয়ম বা এদিক সেদিক হলে নানা রকম সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাই আপনারা যারা এই সকল বিষয়গুলো জানেন না তারা আমাদের এই লেখাগুলো শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন গর্ভকালীন অবস্থায় রোজা রাখা যায় কিনা।

গর্ভকালীন অবস্থায় রোজা রাখা যাবে তবে যদি বাঁচা এবং মায়ের শারীরিক কোন জটিলতা না থাকে তাহলে। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় প্রথম তিন মাস এর মধ্যে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এই তিন মাস একটু সর্তকতার সাথে থাকা লাগে এবং শেষে তিন মাসও অনেক সতর্কতার সাথেই পার করতে হয়।

গর্ভকালীন প্রথম যে তিন মাস পার করা হয় সে তিন মাস অনেক সেনসিটিভ থাকে কারণ এই তিন মাসের মধ্যে অনেক ভয় থাকে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবার জন্য সেজন্য যত কষ্টই হোক এই তিন মাস বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য মাকে অনেক সতর্কতা এবং অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

যদি মা এবং বাচ্চার দুজনেই যদি সুস্থ থাকে তাহলে রোজা রাখতে কোন মানা নেই কারণ শারীরিক অবস্থা যদি ভালো থাকে তাহলে রোজা রাখা যায় তাই যদি কেউ গর্ভকালীন অবস্থায় রোজা রাখতে চায় তাহলে সে অবশ্য রোজা রাখতে পারবে।

আর যদি শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ থাকে বা বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে রোজা না রাখাই ভালো হবে। একটি মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তার অনেক বেশি যত্ন বেড়ে যায় কারণ তার যত বেশি যত্ন হবে তার পেটের বাচ্চাটি তত বেশি ভালো থাকবে এবং খাদ্য থেকে শুরু করে চলাফেরা সবকিছু তার অন্যরকম হতে হবে।

গর্ভবতী মা যেভাবে চলবে এবং যেমন পুষ্টিকর খাবার খাবে তার বাচ্চা ঠিক তেমন পুষ্টিকর হবে এবং বাচ্চার ইমিউনিটি তেমন বাড়তে থাকবে সেজন্য এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ দিতে হবে এবং বাচ্চার যেন কোন রকম ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় নামাজ পড়া এবং রোজা করা অনেক বেশি ভালো তাহলে আল্লাহর নেয়ামতটা বাচ্চার উপর পড়ে এবং বাচ্চার সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করে ও সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

তবে অনেকটা সতর্কতার সাথে রোজা থাকতে হবে যেন কোন রকম কোন সমস্যা না হয় কারণ এই সময় মাকে অতিরিক্ত খাবার খেতে হয় অতিরিক্ত খিদাও লাগে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হয় তাই রোজা খোলার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যেন মা খেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রথম তিন মাসের পাশাপাশি শেষে তিন মাসে অনেক যত্ন সহকারে থাকতে হয় কারণ শেষের তিন মাসেও ভয় থেকে যায় কোনরকম বাঁচার যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায় বা বাচ্চার যদি অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় তাহলে অল্প বয়সে বা অল্প সময়ের মধ্যেই ডেলিভারি করে নিতে হয় সেজন্য ওই সময়টা গুরুত্ব দিতে হবে।

গর্ভকালীন সময়ে একটি মেয়েকে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয় খাবার থেকে শুরু করে নিজের ইচ্ছা সবকিছুই যেন অন্যরকম হয়ে যায় কারণ সেই সময়ে একটি মেয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না নিজের ইচ্ছামতো খাবার খেতে পারে না শুধুমাত্র বাচ্চাটির কথা ভেবে। আর গর্ভকালীন অবস্থায় অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে নিয়মিত কারণ কখন বাচ্চার কেমন পজিশন হচ্ছে এবং বাচ্চার সঠিকভাবে আছে কিনা বাঁচার ওজন ঠিক আছে কিনা যদি আপনি নিয়মিত ডাক্তারের কাছে না যান তাহলে এটা বোঝা যাবে না।

তাই শারীরিক কোন জটিলতা যেন না থাকে সেটার জন্য নিয়মিত ডাক্তার দেখানো লাগবে এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে যেন বাচ্চাটা সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে দুনিয়াতে আসতে পারে এবং সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। আশা করছি আপনাদের যেটা প্রশ্ন ছিল আপনারা সেটার উত্তর পেয়েছেন তাই গর্ভকালীন অবস্থায় শারীরিক জটিলতা না থাকলে অবশ্যই আপনারা রোজা করবেন এবং নামাজ পড়বেন তাহলে সকল জটিলতা দূর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *