জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা

জিলহজ মাসে চুল না কাটা যাবে কিনা এ বিষয়টা আপনারা অনেকেই জানেন না তাই আপনারা যারা এ বিষয়টা জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন শেষ পর্যন্ত তাহলে সকল বিষয়ে সঠিকভাবে তথ্য জানতে পারবেন।

জিলহজ মাস একটি পবিত্র মাস কারণ কোরবানি দেয়া হয় এই মাসে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য প্রতিটা ঘরে ঘরেই কোরবানির একটি ব্যবস্থা করা হয়। মুসলমানদের জন্য এটা খুবই বেশি খুশির দিন কারণ এটা হল ঈদের দিন সেই জন্য জিলহজ মাসের ১০ দিন থেকে কোনরকম কোন চুল নক কাটা যায় না। তবে এটা শুধু তার জন্যই প্রযোজ্য পরিবারের যে সদস্যটা কোরবানির কাজে অংশগ্রহণ করবে শুধুমাত্র তিনি চুল নখ কাটতে পারবেনা তাছাড়া পরিবারের অন্যান্য সকল সদস্যরা চুল নখ সঠিক সময় কাটতে পারবে।

কিন্তু এ বিষয়টা অনেক মানুষ জানে না তার জন্য তারা জিলহজ মাসের কখনোই চুল নখ কাটেনা। কারণ জিলহজ মাস একটি পবিত্র মাস অনেকের ধারণা করে যে জিলহজ মাসের ১০ দিনের মধ্যে এটা করতে হয় না কিন্তু আপনারা চাইলে ১০ দিনের আগে চুল নখ দাড়ি সবকিছু কাটতে পারবেন আর যে ব্যক্তি কোরবানি দিবেন তিনি দশ দিনের মধ্যে এগুলো থেকে বিরত থাকবেন।

কোরবানি কারিকে আল্লাহ অনেক বেশি পছন্দ করেন। কারণ কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করা হয় এবং কোরবানির মাংস যারা সঠিক নিয়মে আত্মীয়-স্বজন এবং গরিব-দুঃখীদের কাছে বিতরণ করে দেয় তারা কিন্তু অনেক বেশি সওয়াব পায়। তবে কোরবানি দিতে হল অবশ্য আপনাকে সঠিকভাবে সকল নিয়ম জানতে হবে এই নিয়মগুলো অনেক মানুষই জানেনা এবং না জানার কারণে তারা নানারকম ভুল করে বসে।

তবে অবশ্য এই নিয়মগুলো সবাইকে জেনে নিতে হবে কারণ আপনি যদি সঠিক নিয়মে কোরবানি দেন তাহলে কিন্তু আল্লাহ সেটা কবুল করবে আর আপনি যখন আপনার সবচেয়ে পছন্দের জিনিসটা কোরবানি দিবেন তখন একেবারে হালাল ভাবে সে জিনিসটা কবুল হবে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন যে আপনাদের বাড়িতে যদি কোন গরু বা ছাগল থেকে থাকে এবং সেটার প্রতি যদি অনেক বেশি ভালোবাসা ও মায়া লেগে থাকে তাহলে সেটাই কোরবানি দেয়ার কারণ যখন আপনি আপনার পছন্দের জিনিসটা কোরবানি দিবেন তখন কিন্তু আল্লাহ সেটা কবুল করবে।

আর আল্লাহ যে জিনিসটা কবুল করবে অবশ্যই সেটাতে আপনাদের অনেক বেশি নেকী হবে সেজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন এই কাজটি করতে আর আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের জন্যই তো মানুষ সবকিছু করে। পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে কত কিছু নেয়ামত দিছে শুধুমাত্র মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে এবং আল্লাহর নেয়ামতগুলো গ্রহণ করে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে পারে কিন্তু আল্লাহ মানুষের কাছ থেকে একটু জিনিসই চেয়েছে সেটা হল তার ইবাদত করা।

যখন মানুষ আল্লাহকে ভুলে ভুল পথে চলে যায় তখন কিন্তু আল্লাহ মনে মনে অসন্তুষ্ট হয় এবং সেই মানুষটার প্রতি খুব বিক্ষোভ করে না কিন্তু তার যেন ভাল হয় সে চেষ্টাটাই করে কারণ আল্লাহ পরম দয়ালু। তাই আপনারা যারা জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা ভাবছেন তারা অবশ্যই জেনে নেবেন ভালোভাবে কারণ ১০ দিনের মধ্যে চুল নখ কাটা যাবে না যে ব্যাক্তি কোরবানি করবে সেই ব্যক্তিটা তাছাড়া পরিবারের সবাই সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে সবকিছু কাটতে পারবে এতে কোন বাধা বা নিষেধ নেই।

আশা করছি এ সকল বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং এগুলো বুঝে আপনারা আপনাদের মত করে কোরবানি দিবেন একেবারে সঠিক নিয়মে এবং কোরবানির মাংস যেভাবে বিতরণ করতে হয় সেভাবেই বিতরণ করবেন। যে সকল জিনিসের গরিবদের হক রয়েছে সেগুলো অবশ্যই গরিবদের বিলিয়ে দেবেন কারণ গরিবের হক মেরে কখনো কেউ বড়লোক হতে পারে না সেজন্য আল্লাহর দেখানো পথে চলবেন এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চলতে থাকবেন তাহলে দেখবেন জীবন কত সুন্দর। ধন্যবাদ সবাইকে নিশ্চয়ই আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন এবং অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *