চুল পড়া বন্ধ করার ডাক্তারের পরামর্শ

চুল পড়া বন্ধ করার ডাক্তারের পরামর্শ যারা জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের লেখাগুলো শেষ পর্যন্ত পড়ুন কারন আমরা এবার আপনাদের ডাক্তারি পরামর্শ সম্পর্কে কিছু তথ্য। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ডাক্তারি পরামর্শ জানতে চেয়েছেন এবং অনেকে আছেন যারা ডাক্তারি পরামর্শ গুলো বিশ্বাস করেন সে ক্ষেত্রে আমরা এবার আপনাদের সুবিধার জন্য ডাক্তাররা কি কি পরামর্শ দিয়ে থেকে চুল পড়া কমানোর জন্য তা নিয়ে আলোচনা করব।

চুল পড়া একটি জটিল সমস্যা যে সকল মেয়েদের চুল পড়ার সমস্যা অতিরিক্ত রয়েছে সে সকল মেয়েদের কিন্তু টেনশনের শেষ নাই কারণ চুল পড়া যখন একবার শুরু হয় তখন কিন্তু সহজে ভালো হতে চায় না সে ক্ষেত্রে তারা নানারকম চেষ্টা করে চুল পড়া কমানোর জন্য। চুল পড়া কমাতে হলে অবশ্যই আপনাদের এ সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে কারণ আপনাদের যাদের এই সমস্যাটা রয়েছে তারা যদি আমাদের এখান থেকে এই সমাধান গুলো পেয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনাদের চুল পড়া কমে যাবে।

চুল পড়া সমস্যা নিয়ে অনেকেই ঘরোয়া ভাবে ভালো করতে চাই আবার অনেকেই সরাসরি ডাক্তারের কাছে চলে যায় তবে ডাক্তারের কাছে গেলে একটি বিষয় ভাল হয় সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষাটা করে জানা যায় যে আসলে কোন কারণে আপনার চুল পড়া শুরু হয়েছে বা একেবারেই চুল উঠে যাচ্ছে।

চুল পড়া নানা রকম কারণে হয়ে থাকে কিন্তু অনেকেই আছে যারা এ কারণগুলো জানে না এবং যেকোনোভাবে চুল পড়া বন্ধ করার চেষ্টা করে তাতে কিন্তু আরো বেশি ক্ষতি হয় কারণ যখন আপনি নিজের বুদ্ধিতে চুল পড়া কমাতে যাবেন এবং নানা রকম জিনিস ব্যবহার করতে শুরু করবেন তাতে কিন্তু চুলের জন্য আরো ক্ষতি হয়। তাই যখন আপনি বুঝতে পারবেন যেকোনো কিছু ব্যবহার করে আপনার চুল পড়া কমছে না এবং অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চুল পড়া সমাধান করুন।

যখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে তখন ডাক্তার অবশ্যই আপনাকে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দিবে কারণ অনেক সময় হরমোনাল সমস্যার জন্য মানুষের অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে এগুলো পরীক্ষা করতে হবে। যদি আপনার হরমোনাল কোন সমস্যার জন্য চুল পড়া শুরু হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু ডাক্তার সেটার জন্য আপনাকে চিকিৎসা করাবে কারণ আপনি যখন এই সমস্যার সমাধান থেকে বের হয়ে আসবেন তখন আপনার চুল পড়া একেবারে কমে যাবে এবং আবার আগের মত সুন্দর চুল উঠবে।

এছাড়া অনেক সময় জেনেটিক কারণে চুল পড়া শুরু হয়ে যায় এবং অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে যে জেনেটিক কোন সমস্যা রয়েছে কিনা যদি থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসায় তা ভালো হবে। এছাড়াও চুল পড়া কমানোর জন্য ডাক্তার যে সকল পরামর্শ গুলো দিয়ে থাকে তা হল গোসলের পরে ভেজা চুল কোন সময় বেঁধে রাখা যাবে না। যখন আপনি গোসলের পরে চুল ভেজা রেখে দেবেন তখন আপনার চুলের গোড়া একেবারে নরম হয়ে যাবে আবার ভেজা চুল কোন সময় আঁচড়াতে হয় না।

যখন ভেজা চুল আঁচড়াতে যাবেন তখনও কিন্তু চুলের গোড়া নরম থাকে যার ফলে চুল ভেসে ওঠে। চুল পড়া কমানোর জন্য এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করা যাবে না যেটা চুলের ক্ষতি করে যেমন কোনরকম চুল কালার করা চুল ইস্টেট করার সময় এমন কিছু কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ইত্যাদি। এছাড়াও এমন কিছু মেডিসিন রয়েছে যেগুলো সেবনের মাধ্যমে চুল পড়ার এই সমস্যাটা দীর্ঘদিন বা বেড়ে যেতে পারে সেজন্য আপনাদের এ সকল বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে সঠিকভাবে পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে তাহলে আর চুল পড়ার কোন সমস্যা থাকবে না। যখন আপনি ডাক্তারের দেয়া পরামর্শ এবং মেডিসিন গুলো নিয়মিত খেতে শুরু করবেন তখন দেখবেন যে আপনার চুল পড়া সকল সমস্যা দূর হয়েছে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *