ইমারজেন্সি পিল খেলে কি মাসিক হয়

ইমারজেন্সি পিল খেলে মাসিক হয় এ ধরনের প্রশ্ন আপনারা অনেকেই করেছেন এবং এ বিষয়গুলো জেনে রাখা প্রত্যেকটা মেয়ে মানুষের উচিত কারণ যখন আপনি এ বিষয়গুলোতে সঠিক তথ্য জানবেন বা কোন ধারণা রাখবেন তখন নিজের অনেক বেশি উপকারে আসবে। তার জন্য আপনাকে আমাদের এই লিখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত আশা করছি আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে লেখাগুলো পড়লে ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে অনেক কিছুই তথ্য জানতে পারবেন।

আপনারা যারা প্রশ্ন করেছেন ইমারজেন্সি পিল খেলে কি মাসিক হয় অবশ্যই ইমার্জেন্সি পিল খেলে মাসিক হয় আর ইমার্জেন্সি পিল কেন খেতে হয় সেটা আপনাদের জানা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। অনিয়ন্ত্রিত প্রেগনেন্সি আটকানোর জন্যই ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া হয় আর এই ইমারজেন্সি পিল আপনারা খাওয়ার কিছুদিন পরেই মাসিক শুরু হয় যেমন অনেকেরই আট থেকে দশ দিনের মধ্যে শুরু হয় আবার অনেকের কিছুদিন দেরি হতে থাকে। মাসিক সাধারণত স্বাভাবিক নিয়মে অনেক সময় দেরি হয় দেখা যায় যে কারো আগে হয় আবার কারো কিছুদিন পরে হয় তাই এটা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নাই আপনারা যখন এমার্জেন্সি পিল খাবেন তখন কিছুদিন দেরি হতে পারে এটাতে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নাই।

তারপরেও যদি ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরে মাসিক না হয় আট থেকে দশ দিন বা ১২ দিন পার হয়ে যায় তখন অবশ্যই আপনারা আবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন টেস্টের পরে যদি পজেটিভ আসে তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর যদি নেগেটিভ আসে কিন্তু মাসিক না হয় তারপরও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যে কোন সমস্যার জন্য এমনটা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত পিল খাওয়া একেবারে ঠিক নয় এটা শারীরিকভাবেও ক্ষতি করে আবার অনেক সময় অতিরিক্ত পিল খাওয়ার জন্য বাচ্চা নাও হতে পারে সেজন্য আপনারা এই সকল বিষয়গুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিবেন কারণ সব বিষয়ে ভালোভাবে জানার পরে ইমার্জেন্সি পিল সেবন করবেন।

ইমার্জেন্সি পিল মেয়ে মানুষের নানারকম ভাবে ক্ষতির কারণ হয়ে যায় যেমন অতিরিক্ত পিল সেবনের ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায় এবং এই চর্বি থেকে বাচ্চা না হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কাদের এই ইমারজেন্সি পিল খাওয়া উচিত এবং তাদের এই পিল থেকে দূরে থাকা উচিত এ বিষয়গুলো আপনাদের জেনে রাখা ভালো।

যেসব মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়ান তাদের এই ধরনের পিল না খাওয়াই ভালো কারণ যখন আপনি অতিরিক্ত এমার্জেন্সি পিল করবেন তখন ক্ষতি করবে আপনার শারীরিকভাবে। আবার যাদের নতুন বিয়ে হয়েছে এবং একেবারেই বাচ্চা চাচ্ছেন না কিন্তু হঠাৎ করেই বাচ্চা চলে আসছে তারা এ ধরনের পিল খেতে পারেন কারণ এই পিল খেলে আপনার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে এবং খুব তাড়াতাড়ি মাসিক শুরু হবে সেক্ষেত্রে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং সময় মতো পিল সেবন করতে হবে।

আপনি যদি সঠিক নিয়মে ইমার্জেন্সি পিল সেবন না করেন তাহলে আপনার কোন কাজে লাগবে না কারণ যখন আপনি সঠিক সময়ের মধ্যে এবং সঠিক নিয়মে এই পিল সেবন করবেন তখনই আপনার বাচ্চা নষ্ট করা বা আনওয়ান্টেড প্রেগনেন্সি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আর আপনি যদি সঠিক নিয়মে সেবন না করেন তাহলে আপনি প্রেগন্যান্ট হয়ে যেতে পারেন এবং আপনি ভাবছেন যে হয়তো আপনার মাসিক হবে বা আপনি প্রেগন্যান্ট হবেন না এমন সময় যদি আপনি সত্যি সত্যিই কনসিভ করে ফেলেন বেবি তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে কোন ভাবে আর সেটাকে নষ্ট করতে পারবেন না।

সেক্ষেত্রে আপনি যখনই এ ধরনের পিল সেবন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি সঠিক সময়ের মধ্যে এটা খাচ্ছেন কিনা এবং যত্নের সঠিক সময়ের বাইরে চলে যাবে তখন আর ঘরে বসে না থেকে যত দ্রুত সম্ভব গাইনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে যে আপনি প্রেগন্যান্ট হয়েছেন কিনা। এ ধরনের বিষয় গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে আর হ্যাঁ অবশ্যই ইমার্জেন্সি দিয়ে খাওয়ার পরে মাসিক হয় তবে কারো কিছুদিন দেরি হতে পারে আবার কারো সঠিক নিয়মে হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *