গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ সমূহ এবং গর্ভবতী অবস্থায় কি কি করণীয় সেসকল বিষয় জানতে হলে আমাদেরই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে করুন আশা করছি আপনারা যারা এ বিষয়গুলোতে জানেন না তারা আমাদের এখান থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এই তথ্যগুলো জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ এগুলো একটি গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

গর্ভবতী হওয়ার পরে প্রাথমিক কিছু সমস্যা দেখা দেয় এ সমস্যাগুলো যদি জেনে রাখা যায় তাহলে যে কোন বিপদের সময় ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় বা ওই ধরনের সমস্যা হলে আপনারা নিজেরাই সমাধান করতে পারবেন। গর্ভবতী অবস্থাটা অনেক বেশি জটিল একটি অবস্থা কারণ এই সময়টা মেয়েদের জন্য অনেক কঠিন হয় এই সময়টা অনেক যত্ন সহকারে যদি পার না করা হয় তাহলে নানা রকম সমস্যা হয়ে যায় বাচ্চার।

যখন একটি মানুষ প্রেগনেন্ট হয় তখন তার মধ্যে নানা রকম চিন্তা ভাবনা চলে আসে সে মনে মনে কল্পনা করতে থাকে তার বাচ্চাকে কিভাবে বড় করবে এবং কিভাবে বাচ্চাকে ভালোভাবে ডেলিভারি করা যায় এবং সে বাচ্চাটার প্রতি একটি মায়ের আলাদাই ভালোবাসা তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী অবস্থায় মাকে যত বেশি ভালো রাখা যাবে বাচ্চা তত বেশি ভালো থাকবে এবং বাঁচার ইমিউনিটি তত বেশি বাড়তে থাকবে। গর্ভবতী অবস্থায় মেয়েরা কখনো নিজের কথা চিন্তা করে না সব সময় চেষ্টা করে যে কিভাবে কি করলে তার গর্ভের বাচ্চাটা ভালো থাকবে এবং সে বাচ্চাটার কোন রকম অপুষ্টিটাই ঢুকবে না।

প্রেগনেন্ট অবস্থায় মহিলাদের নানা কিছু রকম সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্যাগুলো উপেক্ষা করেও এই নয় মাস থেকে ১০ মাস মহিলারা অনেক চেষ্টা করে তার বাচ্চারকে সুস্থ রাখার জন্য এবং বাঁচার জন্য কোন রকম সমস্যা বা নিজে যেন অসুস্থ না হয় সে সকল বিষয়গুলোর উপর নজর দেয়। কারণ গর্ভবতী অবস্থায় কোন রকম এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যাবেনা গর্ভবতী অবস্থায় কোন রকম ঠান্ডা লাগানো যাবে না গর্ভবতী অবস্থায় অনেক বেশি গরম তাপের মধ্যে যাওয়া যাবে না।

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক কিছু পরিবর্তন তো আছে এই পরিবর্তনটা অনেক সময় মেয়েরা মেনে নিতে পারে না কারণ আস্তে আস্তে তাদের বেস্ট বড় হয় আস্তে আস্তে তাদের পেট বড় হয় এটা অনেকেই আছে যারা গ্রহণ করতে পারে না কিন্তু তারপরও বাচ্চার জন্য সবকিছু মেনে নেয়। গর্ভবতী অবস্থায় প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তা হল গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহ থেকে মাথা ঘোরা এবং গা গুলানো সমস্যাটা দেখা দেবে। অনেক সময় পছন্দের খাবারের গন্ধ নাকে গেলে বমি চলে আসে এবং সেটা খেতে পারে না আবার ঘন ঘন বমি হতে থাকে।

গর্ভবতী অবস্থায় ঘনঘন প্রসব হতে পারে। এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় প্রাথমিক লক্ষণ এর মধ্যে মাথা ব্যথা একটি কমন বিষয় কারণ এই সময় হরমোনের কিছু পরিবর্তনের জন্য শারীরিকভাবে নানার কিছুর পরিবর্তন হয় যেটাতে গর্ভবতী মায়ের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে যেন গর্ভবতী মায়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে সে সুস্থ থাকতে পারে কারণ যখন একটি গর্ভবতী মা কিছু খেতে পারবে না তখন কিন্তু তার বাচ্চার ক্ষতি হবে কারণ মায়ের খাদ্যটাই নির্ভর করে বাচ্চার পুষ্টির উপরে।

এছাড়া যখন গর্ভবতী মায়ের মাথাব্যথা করবে বা গা গোলাবে তখন কিন্তু সে কোন রকম কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে পারবে না কারণ যখনই সে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে যাবে তখনই তার বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই গর্ভবতী মায়ের প্রাথমিক অবস্থায় এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে কারণ শুরুতেই এ ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেবে এবং তার মধ্যে অস্থিরতা অস্বস্তি বোধ হবে।

অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে এবং কোন কিছু ভালো লাগে না। তাই গর্ভবতী অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং গর্ভবতী মায়ের সাথে কোন রকম খারাপ আচরণ করা যাবে না গর্ভবতী মা যেন সবসময় টেনশন মুক্ত থাকে সেদিকে খেয়াল করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *