পাঁচ মাসের গর্ভবতী বাচ্চা নড়াচড়া

পাঁচ মাসে গর্ভবতী বাচ্চা নড়াচড়া করে অনেকটাই কারণ এই সময়ে বেশ মোটামুটি বাচ্চাটির হার্টবিট তৈরি হয়ে যায় এবং বাচ্চাটির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হতে থাকে। পাঁচ মাসের পর থেকে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চাটা ঠিক কতটা নড়াচড়া করছে এবং আপনি অনুভব করতে পারবেন আপনার বাচ্চার হার্টবিট।

পাঁচ  মাসের পর থেকে বাচ্চাটির গ্রোথ বৃদ্ধি পেতে থাকে কারণ ততদিনে তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে আপনার বাচ্চা তাই এই সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বুঝতে হবে যে আপনার বাচ্চাটার কেমন নড়াচড়া হচ্ছে এবং কতটা ঠিকঠাক আছে। পেটের মধ্যে বাচ্চার কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা এবং বাচ্চা ঠিকঠাক আছে কিনা শুধুমাত্র একটি মা বুঝতে পারবে সেজন্য আপনাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার বাচ্চা নড়াচড়া করছে কিনা এবং আপনার বাচ্চার হার্টবিট আপনি অনুভব করতে পারছেন কিনা।

যখন আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে তখন আপনি নিয়মিত বুঝতে পারবেন পেটের মধ্যকার অবস্থা এবং নিয়মিত বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চার হার্টবিট ও নড়াচড়া। তবে অবশ্যই আপনি ৫ মাসে একবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করাতে পারেন কারণ ডাক্তার যখন আপনাকে আল্টাসনোগ্রাফি করবে তখন তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে পারবে যে আপনার বাচ্চার কি কি তৈরি হয়েছে এবং আপনার বাচ্চার হার্টবিট কেমন চলছে।

যখন আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং হার্টবিট ঠিক থাকবে তখন আপনি নিশ্চিন্তে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন তবে গর্ভকালীন সময়টা পার করা অনেক বেশি কষ্টের হয় একটি মায়ের কাছে তারপরেও এ কষ্টটা সহ্য করে একটি মা একটি বাচ্চাকে দুনিয়াতে নিয়ে আসে। তাই পাঁচ মাস পর থেকে আপনাকে আরো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং আরো ভালোভাবে আপনার বাচ্চা নড়াচড়া খেয়াল করতে হবে যতদিন যাবে আপনাকে তত বেশি সতর্ক থাকতে হবে। পাঁচ মাসের পর থেকে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে যে খাবারগুলোতে আপনার বাঁচার ক্ষতি হতে পারে যেমন আনারস পেঁপে ও এমন কিছু ফল যেগুলো খেলে আপনার বেবি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এমন কিছু কাজ করা যাবে না যে কাজগুলোতে আপনার বেবির সমস্যা হতে পারে কারণ 5 মাসের পর যদি আপনার বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় তাহলে কোন ওষুধে আবর্তন করা যাবে না তখন শুধুমাত্র ডিএমসি করতে হবে আপনাকে যা অনেক কষ্ট করে একটি বিষয়। পাঁচ মাসের পরে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় সেটা সামাল দেয়া অনেক বেশি কষ্টকর হয় সেজন্য আপনাকে এই সেনসিটিভ সময়টা অনেক সতর্কতার মাধ্যমে পার করতে হবে যে কোন অসাবধানতা হলে আপনার বেবির ক্ষতি হতে পারে সেটা মাথায় রাখতে হবে।

বেবি কনসিভ হওয়ার পরে যদি আপনার শারীরিক কোন জটিলতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেড রেস্ট এবং সাবধানতা আরও ভালো করে অবলম্বন করতে হবে কারণ যে সকল মহিলাদের থাকে তাদের কোনো রকম কোনো কাজ করা উচিত নয়। শারীরিক জটিলতা থাকলে এমন কিছু মেডিসিন দেয়া হয় যে মেডিসিন গুলোর মাধ্যমে বেবি কনসিভ করে থাকে আর যদি সে সকল মেডিসিনগুলো নিয়মিত না দেয়া হয় তাহলে বেবি পেটের মধ্যে থাকবে না নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই যখন আপনি নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন তখন বুঝতে পারবেন যে আপনার শারীরিক কোন জটিলতা আছে কিনা যদি থাকে তাহলে সেভাবে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যখন আপনার সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে তখন দেখবেন যে আস্তে আস্তে আপনার বাচ্চাটা নড়াচড়া শুরু করেছে এবং আপনার বাচ্চার হার্টবিট আপনি অনুভব করছেন এবং আপনার বাচ্চা আপনার পেটে লাথি দেয়া বা নড়াচড়া টা ভালোমতো বুঝা যায়।

আমরা আশা করছি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ লেখা গুলো পড়ে বুঝতে পারছেন যে পাঁচ মাসে ঠিক আপনার বাচ্চা কতটা নড়াচড়া করবে। আমাদের ওয়েবসাইটের থেকে আপনারা যে সকল তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন এগুলোতে আপনি ঘরে বসেই নিজে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন আপনার বাচ্চাকে তার জন্য আপনার হাসপাতালে বা অন্য কারো প্রয়োজন পড়বে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *