পাঁচ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

৫ মাসে একটি গর্ভবতী মা কি কি খাবার খাবে এবং এ সকল খাবারের পুষ্টি গুন কেমন তা দিয়ে আমাদের এবারের তালিকা তৈরি করেছে আপনারা যারা এই সকল তালিকা গুলো খুঁজছেন তারা আমাদের ওয়েব সাইটে আসলে পেয়ে যাবেন এবং জানতে পারবেন পাঁচ মাসের গর্ভবতী মেয়েদের কি কি খাবার খাওয়া উচিত।

এই তালিকা গুলো জানা থাকলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে এই পাঁচ মাস বয়সে গর্ভবতী মহিলাদের কি কি খেতে হবে এবং এ সকল খাদ্যের গুনাগুন কেমন এবং এই সকল খাদ্যগুলো বাচ্চার কি কি উপকার করবে। একটি মেয়ে যখন বেবি কনসিভ করে তখন খাবারের মাধ্যমে সে বেবিটি বড় হয় এবং খাবারের মাধ্যমে সেই বেবিটি বাড়তে থাকে অবশ্যই এই খাদ্যগুলো হতে হবে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এই সময়ে যদি শারীরিক কোন জটিলতা না থাকে তাহলে ডক্টর রা কোন ওষুধ দেয় না এবং খাদ্য তালিকা থেকে এমন কিছু পুষ্টিকর খাদ্য খেতে বলে যেগুলো খেলে অবশ্যই বাচ্চার পুষ্টি হবে এবং যেকোনো সমস্যা হলে সে সমস্যা গুলো দূর হবে।

গর্ভকালীন এই অবস্থায় বিশেষ করে 5 মাসের পর থেকে বেবির হার্টবিট বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বেবির অঙ্গ পতঙ্গ তৈরি হতে থাকে সেজন্য এই সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো বাচ্চার পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করবে। পাঁচ মাসের গর্ভবতী মায়েদের যে সকল খাবারগুলো খাওয়া উচিত তা হলো নিয়মিত শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবে তবে শাকসবজির সাথে আমিষ ভিটামিন কার্বোহাইড্রেট মিনারেল এই সকল খাবার গুলো অবশ্যই খেতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের সব সময় টাটকা এবং পরিষ্কার খাবার খেতে হবে আপনি যদি একটি ফল খান তাহলে সেই ফলটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে খেতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যে খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনার বাচ্চার গ্রোথ বৃদ্ধি পাবে।

আপনাকে প্রতিদিন খাদ্যে তালিকায় শাক রাখতে হবে সবজি রাখতে হবে এবং মাছ মাংস বা ডিমের মধ্যে যেকোনো একটি রাখতে হবে যদি এই সকল খাবার গুলো না থাকে তাহলে মসুরের ডাল আপনি খেতে পারেন নিয়মিত কারণ এই খাদ্যগুলোর শারীরিক পুষ্টি বৃদ্ধি করে। এছাড়া আপনাকে যখন খিদা লাগবে তখনই পুষ্টিকর কিছু ফল খেতে হবে। বাদাম কিসমিস কাঠবাদাম থেকে শুরু করে যে কোন জিনিস আপনি নিয়মিত খেতে পারেন কারণ এই খাদ্যগুলো অনেক বেশি পুষ্টিকর। ফাইবার যুক্ত খাবার এবং নিয়মিত পরিমাণ মত পানি পান করতে হবে।

গর্ভকালীন অবস্থায় যেন কোন রকম কনস্টিপেশন না হয় সেজন্য আপনাকে তরল কিছু খাবার খেতে হবে যেন সবসময় আপনার এই সমস্যাগুলো থেকে আপনি দূরে থাকতে পারেন। আবার গর্ভবতী মহিলাদের যে ধরনের সমস্যা হয় যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিম্ন রক্তচাপ যখন আপনার এই সমস্যাগুলো দেখা দিবে তখন আপনি নিয়ম করে কিছু খাবার খেতে পারেন। যেমন গর্ভাবস্থায় আপনাকে নিয়মিত ডিম খেতে হবে কিন্তু যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় তাহলে আপনার ডিম বা দুধ খাওয়া যাবে না তখন আপনাকে একটু সতর্কতার সাথে কিছুদিন পর পর খেতে হবে তবে নিয়মিত আপনাকে পেশার মাপতে হবে।

আর যদি আপনার লোপ এসে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই নিয়মিত এ খাবার গুলো খেতে হবে এবং নিয়মিত মেপে দেখতে হবে যে আপনার কন্ডিশন ঠিক কেমন। যখন আপনার শারীরিক কোন জটিলতা দেখা দেবে না তখন আপনি স্বাভাবিকভাবে এই সকল খাদ্যগুলো খেতে পারেন তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে পাঁচ মাসের পর থেকে আপনার বাচ্চা সঠিকভাবে নড়াচড়া করছে কিনা এবং নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে যে বাচ্চা ও মাছ দুজনে সুস্থ আছেন কিনা।

যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে অবশ্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে এবং এমন কিছু মেডিসিন গ্রহণ করতে হবে যেগুলো গ্রহণ করার কিছুদিনের মধ্যে আপনার জটিলতা দূর হয় তবে এই পাঁচ মাসে খাদ্যের মাধ্যমে বিশেষ করে সকল পুষ্টি শরীরে অর্জন করতে হয়। কারন এই সময় যেকোনো মেডিসিন গ্রহণ করা যায় না তাই বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে হবে খাদ্য তালিকার মাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *