গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাসের খাদ্যের তালিকা

গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাসের খাদ্যের তালিকা তাও সবার অনেক বেশি জানা প্রয়োজন কারণ আপনি প্রথম থেকে যেমন যত্ন নিচ্ছেন তখন শেষের দিকে আরো বেশি যত্ন নিতে হবে কারণ সে সময়ে গর্ভবতী মায়ের যত্নের বেশি প্রয়োজন।প্রথম দিকে যেমন গর্ভবতী মায়ের খেয়াল না রাখলে চলে না তেমন শেষে তিন মাসে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই শেষে তিন মাসের গর্ভবতী মা যেমন খাবার খাবে তার শরীরে তেমন রক্ত হবে এবং বাচ্চার বিকাশ ততটাই ঘটবে এরপরেও যদি ডেলিভারির কথা বলি তাহলে তোর রক্তের অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে সেজন্য শেষে তিন মাসের খাদ্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়।

একজন গর্ভবতী মাস এসে তিন মাসে যত বেশি ভালোভাবে থাকবে তার বাচ্চা তত বেশি ভালোভাবে জন্মগ্রহণ করবে কারণ এই শেষে তিন মাসে অনেক জটিলতা চলে আসে এ শেষে তিন মাসের মা ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারে না উঠতে বসতে পারেনা অনেকটা কষ্ট হয় কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে তাকে সঠিকভাবে থাকতে হয়। শেষের তিন মাসে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিছুই করা যায় না।

কারণ এই শেষে তিন মাসে যদি একটু এদিক সেদিক হয়ে যায় তাহলে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে আবার হঠাৎ করে যদি ব্যথা উঠে যায় সেখানে সমস্যা সময়ের আগে সবকিছু হলে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে সেজন্য এই শেষের তিন মাসে অনেক গুরুত্ব সাথে পার করতে হয়।সকল গুরুত্বের মধ্যেও শেষের তিন মাস বিশেষ করে যে গুরুত্বটা দিতে হয় সেটা হল খাদ্যের ওপরে কারণে শেষে তিন মাসে যত ভালো খাবে তত বেশি রক্তের পরিমাণ শরীরে বাড়বে এবং বাচ্চা ততই সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারবে।

গর্ভবতী মাকে শেষের তিন মাসে যে সকল খাবার গুলো খেতে হবে তা হল আয়রনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে কারণ আইরনের মাধ্যমে বাচ্চার বাকি বিকাশ ঘটবে এবং যে সকল খাবারে আয়রন রয়েছে সে সকল খাবার শাকসবজি ফলমূল খেতে হবে। আয়রন যুক্ত সবজিগুলো হল সবুজ শাকসবজি মটরশুঁটি পালং শাক ইত্যাদি। প্রতিদিন খাদ্যের তালিকায় অবশ্যই এই শাকসবজি গুলো রাখবেন কারণ শাকসবজি যত বেশি খাবে আয়রন ততো বেশি শরীরে হবে সেজন্য কোন খাবারে শাকসবজি বাদ দেয়া যাবে না এবং মা যেন রুচিসমৃদ্ধ এই সকল খাবার গুলো খেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তারপরে খেতে হবে ডাবের পানি মসুরের ডাল বাদাম কলা এই ধরনের ফলমূল। এই ধরনের ফলগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের আয়রন সেই জন্য প্রতিদিন খাবার তালিকায় অবশ্যই কোনো না কোনো ফল রাখবেন যদি এগুলো খাবার তালিকায় নায়ও রাখেন তারপরেও যদি মা কখনো খিদাই থাকে তখন এ ধরনের খাবারগুলো খেতে দিবেন কারণ এগুলো যত বেশি খাবে তত বেশি উপকার হবে বাচ্চার সেজন্য এইসব খাবারগুলো সবসময় ঘরে রাখার চেষ্টা করবেন গর্ভবতী মায়ের জন্য।

এছাড়াও শেষে তিন মাসে ভিটামিন সি-এর অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে যে সকল ফলগুলোতে রয়েছে সাইট্রাস সকল ফলগুলো খাবারে চেষ্টা করবেন কারণ এই খাবারগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ সময়ে। যখন আপনি গর্ভবতী মাকে বুঝে বুঝে খাওয়াবেন তখন অল্প কোন জিনিস এই সে ভালো খাবার বা ভালো ধরনের পুষ্টি পেয়ে যাবে কিন্তু অনেকে আছে যারা এই সকল বিষয়গুলো বুঝে না এবং গর্ভবতী মাকে সব ধরনের খাবার খাওয়াতে থাকে।

যার ফলে পুষ্টিকর খাবার গুলোই গর্ভবতী মা খেতে পারে না কিন্তু অপুষ্টিকর খাবার গুলো পেট ভরে খায় তার থেকে গর্ভবতী মাকে সে ধরনের খাবার গুলো বেশি দেয়ার চেষ্টা করবেন যেগুলো খেলে তার শরীরে পুষ্টি হবে এবং তার সিজার বা ডেলিভারির সময় কোন রকম কোন ক্ষতি যেন না হয়। আশা করছি এ বিষয়গুলো আপনারা খুব ভালো মতো বুঝেছেন এবং যাদের বাসায় গর্ভবতী মা রয়েছে তারা অবশ্যই গর্ভবতীকে এই সকল খাবারগুলো খাওয়াবেন এবং অনেক যত্ন সহকারে রাখবেন যেন বাচ্চা ও মা দুজনের সুস্থ ভাবে থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *