নয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

নয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় এবং কোন খাবার কোন সময় খেতে হবে এই সকল বিষয়ে তথ্য দিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছি। অনেক সময় অনেকে আছে যারা ডাক্তারকে দেখায় কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ভালো মতো বুঝতে পারে না বা সঠিকভাবে সেগুলো ফলো করতে পারে না তাই যখন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে আসবেন তখন জানতে পারবেন নয় মাসের গর্ভবতী মা কি আসলে কি কি খাবার খেতে হবে।

৯ মাস এমন একটি সময় যা একটি বাচ্চাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার সময় হয়ে যায় এমন সময় মাকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয় এবং এমন কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় যা খেয়াল করে না রাখলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। নয় মাসের সময় নানা রকম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় একটি মাকে কারণ এই সময়টা ডেলিভারির সময় এমন তেমন কিছু অনিয়ম হলেই বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই এই নয় মাসে পড়ার পর থেকে বাচ্চার মাকে অনেক বেশি পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে কারণ এই সময়টা যত বেশি ইমিউনিটি এবং পরিষ্কার খাদ্য খাবে বাচ্চা তত বেশি সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারবে।

প্রোটিন ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং প্রতিদিন নিয়মিত পানি পান করতে হবে পানি খাওয়াতে কোন ঘাটতি রাখা চলবে না। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোনরকম কোন খাবার খেলে যেন আপনার বাথরুম কষা না হয়ে যায়। যখন এ ধরনের সমস্যা হবে তখন আপনাকে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে কারণ এমন কোন সমস্যা হলে আপনি কোন ওষুধ সেবন করতে পারবেন না যখনই আপনি কোন পাওয়ারফুল ওষুধ সেবন করতে যাবেন তখন আপনার বাচ্চার ক্ষতি হয়ে যাবে তাই এ সকল সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হবে।

আপনাকে ফল খেতে হবে তবে এমন নিয়মে ফল খেতে হবে যেন কোন রকম গ্যাস্টিকের সমস্যা না দেখা দেয় কারণ যখনই আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিবে তখন আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে শুরু করবে সেজন্য খাদ্য তালিকা গুলোর মধ্যে একটু চেঞ্জ আনতে হবে এবং দেখেশুনে তারপরে খেতে হবে। যেহেতু আপনি কোন ওষুধের মাধ্যমে কোন অসুখ ভালো করতে পারবেন না সেহেতু আপনি যতদিন সুস্থ না হবেন আপনার বাচ্চা ততটাই কষ্ট পেতে থাকবে সেজন্য আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং খাদ্য তালিকাগুলো সঠিকভাবে দেখে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

যেকোনো খাবার খেলে কখনোই আপনাকে খিদা পেতে থাকতে হবে না যত দ্রুত সম্ভব পেট ভরে খেতে হবে কারণ এই সময় আপনার অতিরিক্ত খিদা বাড়বে কারণ নয় মাস বয়সে পেটের বাচ্চা একেবারে পরিপূর্ণ বাচ্চা হয়ে ওঠে সে খাবারের ঘাটতি কোনরকম এই গ্রহন করতে পারে না। তাই নিয়ম করে এই সময় খেতে হবে। ৯ মাস হলে আপনাকে পরিমাণ মতো দুধ ডিম সবকিছু খেতে হবে তবে দেখতে হবে যে আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা যদি আপনার এমন কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে দুধ ডিম আপনি একটু মাপ মতো খাবেন তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।

যে সকল খাবারে প্রচুর পরিবারের প্রোটিন রয়েছে সে সকল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে আপনাকে তিন বেলাতেই সুষম খাদ্যের একটি আইটেম রাখতে হবে যেন কোন রকম কোন ইমিউনিটির ঘাটতি আপনার বাচ্চা না হয়। যখন আপনি সঠিক মাপের খেতে শুরু করবেন তখনই আপনি আপনার বাচ্চার গ্রোথ বৃদ্ধি করতে পারবেন কারণ আপনি যত বেশি খাবেন বা পুষ্টিকর খাদ্য খাবেন তত বেশি সুস্থ থাকবে আপনার বাচ্চা। অনেক সময় জন্মগ্রহণের পর বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় এটার একমাত্র কারণ হলো তারা যখন পেটের মধ্যে ছিল তখন তারা ভাল ছিল না বা তাদের নানারকম সমস্যা হতো।

এ বিষয়গুলো যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করবেন যা পেটের মধ্যে আপনার বাচ্চাকে সঠিক পুষ্টি যোগাবে এবং জন্মগ্রহণের পরে সে বাচ্চার ইমিউনিটি অনেক ভালো থাকবে এবং সে সুস্থ থাকতে পারবে। আশা করছি আমাদের এই তালিকা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন কোন কোন খাদ্য কোন কোন সময় আপনাকে গ্রহন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *