সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

সাত মাসের গর্ভবতী মায়েদের যে সকল খাদ্য খেতে হবে তা তালিকা দিয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা আমাদের এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন এই তালিকা গুলো। সাত মাসে গর্ভবতী মায়েদের যে সকল খাবার খেতে হবে তার তালিকা এবং কোন সময় কোন খাবার খেতে হবে সকল তথ্য আমাদের এখানে রয়েছে।

আপনারা যদি নিয়মিত এই খাবারগুলো খান তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চার ইমিউনিটি পুষ্টি এবং শক্তি অনেক বেশি হবে। একটি মা যখন সঠিকভাবে নিয়ম করে খাদ্য খাবে তখন তার বাচ্চার পুষ্টিগুণ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে আর বাচ্চার যখন পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে তখন সে সঠিকভাবে দুনিয়াতে আসতে পারবে এবং সঠিকভাবে ইমিউনিটি গ্রহণ করে সুস্থ থাকতে পারবে। অনেক সময়ই দেখা গেয়েছে যে মা অনেক খায় কিন্তু বাচ্চার শরীরে কিছু নাই বা বাচ্চার ওজন অনেক বেশি কম বা বাচ্চা অপুষ্টি জনিত সমস্যায় ভুগছে কারণ হলো মা ভালোভাবে পুষ্টিকর খাদ্য খায়নি বিধায় বাচ্চার এই অবস্থা।

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিগুণ সমিত খাবার খেতে হবে এবং যে সকল খাবারে অনেক বেশি পুষ্টি রয়েছে ইমিউনিটি রয়েছে সে খাদ্যগুলো খেতে হবে যেন আপনার বাচ্চা সঠিকভাবে ইমিউনিটি পায়। বাচ্চা জন্মগ্রহণের পর যদি সুস্থ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি সঠিকভাবে ইমিউনিটি গ্রহণ করেছেন কারণ অনেক সময় জন্মগ্রহণের পরে বাচ্চারা এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যা হাসপাতালের থাকা লাগে অনেক দিন।

তাই আপনি যদি গর্ভকালীন অবস্থায় একটু সুস্থ থাকেন বা আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে সঠিকভাবে তালিকা অনুযায়ী খাদ্য খান তাহলে দেখবেন যে আপনার বাচ্চাও সুস্থ আছে এবং আপনিও সুস্থ থাকতে পারবেন।অনেক সময় প্রেগন্যান্ট অবস্থায় তো মহিলারা খাবার খেতে পারে না খাদ্যে অরুচি চলে আসে কিন্তু একটু কষ্ট করে হলেও আপনাদের সঠিক সময় সঠিক খাবার গুলো খেতে হবে কারণ আপনাদের বুঝতে হবে যে আপনারা খেলে আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে। যখন আপনার বাচ্চাকে আপনি সুস্থ রাখতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেমন কোন সময় আপনাকে খিদা পেটে থাকা যাবে না আর আপনার হাতের কাছে কিছু ফল রাখতে হবে নিয়মিত ফল খেতে হবে কারণ ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে।

যখন আপনি ফল খাবেন তখন অবশ্যই পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন এবং হাত পরিষ্কার করে রাখবেন। প্রেগনেন্ট অবস্থায় সবসময় আপনাকে টাটকা খাবার খেতে হবে কোনরকম বাসি খাবার খেলে চলবে না এবং আপনার যখন যেটা খেতে মন চাইবে তখন সেটা খেতে হবে। প্রেগনেন্ট অবস্থায় সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন এবং পরিষ্কার কাপড়-চোপড় পড়বেন। প্রেগন্যান্ট অবস্থাতে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে কারণ পানি আপনার শরীরকে সতেজ রাখবে এবং যদি আপনি কোম্পানি খান তাহলে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হবে কারণ পেটের মধ্যে বাচ্চার পানির অনেক প্রয়োজন পড়ে।

আপনাকে নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে যেন কোন রকম কনস্টিপেশন আপনার না হয়। আপনাকে দুধ টিম নিয়মিত খেতে হবে যেন দুর্বলতা অনুভব না হয়। আপনাকে সব সময় ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং যেকোনো সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ও ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে আপনারা আমাদের এখান থেকে খাদ্য তালিকার সংগ্রহ করে এই সকল নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন কারন এই তালিকা গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে সাত মাসে আপনি অবশ্যই এগুলো সেবন করতে পারেন।

প্রেগনেন্ট অবস্থাতে কোন ওষুধ সেবন করা যায় না খাদ্যের মাধ্যমে সকল পুষ্টি গ্রহণ করতে হয় সেজন্য বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে খাবার গুলো নিয়মিত খেতে হবে। আপনাকে জানতে হবে কোন খাবারে কোন পুষ্টিগুণ রয়েছে তাহলে ওই খাবারগুলো বেশি বেশি খেলে আপনি এবং আপনার বাচ্চা দুজনে সুস্থ থাকতে পারবেন। সঠিক তালিকা অনুযায়ী খাবার খেলে আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং সুস্থভাবে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ডেলিভারি হওয়ার পরেও আপনার বাচ্চা স্বাভাবিকভাবেই থাকতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *