প্রথমবার মাসিক হলে কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়

প্রথমবার মাসিক হলে কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ আপনার যদি হঠাৎ করেই প্রথমবার মাসিক হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে যদি আপনি যে সকল কাজগুলো করলে শরীরের ক্ষতি হবে সে সকল কাজগুলো করে থাকেন তাহলে কিন্তু বিপদ বাড়তে পারে। সেজন্য আপনাদের প্রথমে জেনে নিতে হবে যে আপনার পরিবারের যে কারোর প্রথমবার যদি মাসিক হয় তাহলে তার সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে এবং তার কি কি কাজ করা চলবে এবং কি কি কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা মেয়েদের এ বিষয়গুলো একেবারেই বুঝতে চায় না মেয়েদের যখন প্রথমবার মাসিক হয় তখন সেই এই বিষয়টা ভালোমতো জেনে থাকে না যার কারণে সে বিষয়টা নিয়ে অনেকটা টেনশনে পড়ে যায়। এমন সময় যদি পরিবারের মানুষজন তাকে সাপোর্ট না করে এবং ভালোমতো তাকে এ বিষয়গুলো বুঝিয়ে না দেয় তাহলে কিন্তু সেই মানুষটার ডিপ্রেশনে চলে যায় সেজন্য একটি মেয়ের প্রতি আপনাদের যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে এবং এ বিষয়গুলো ভালো করে বুঝাতে হবে। যেহেতু বয়সন্ধিকাল পার হতে না হতেই প্রতিটা মেয়ে মানুষেরই মাসিক শুরু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে মাসিক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ বিষয়টা ভালোমতো তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।

একটি মেয়ের যখন বয়সন্ধিকালে আসে তখন কিন্তু সে বাচ্চাই থেকে যায় নানা রকম ভাবে ঘোরাফেরা করে দৌড়ঝাপ করে সে বোঝেনা কোনটা খারাপ কোনটা ভালো কিন্তু এমন সময় যদি তার মাসিক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাকে কিছু কিছু কাজ বুঝে শুনে করতে হবে। যেমন প্রথম বার মাসিক হলে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে এবং সেই ব্যথা নিয়ে যদি সে মেয়েটা খেলাধুলা করে এবং দরজা করে তাহলে কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে। তাই প্রথমবার যখন মাসে খাবে তখন অবশ্যই তোর যা করা যাবে না এবং অবশ্যই সেই মেয়েটাকে ভালোমতো সকল বিষয় বুঝিয়ে দিতে হবে এবং তাকে রেস্টে থাকার বুদ্ধি দিতে হবে।

যেহেতু প্রথমবার মাসিক হলে সেই মেয়েটা কিছুই জানবে না সে ক্ষেত্রে তাকে এমন কিছু খাবার খাওয়াতে হবে যাতে তার শারীরিকভাবে দুর্বলতা না আসে এবং তার যেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মাধ্যমে শরীর দুর্বল না হয় পরে। বলা যেতে পারে প্রথমবার মাসিক হওয়ার পর বা যতবারই মাসিক হোক না কেন একটি মেয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া খুবই প্রয়োজন কারণ এই খাবারের মাধ্যমে তার শরীরে আবার ইমিউনিটি তৈরি হবে এবং রক্তশূন্যতা দূর হবে। প্রতিমাসেই একবার করে মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে কিন্তু একটি মেয়ের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নেয়া প্রয়োজন।এই সময় কোন কাজের প্রেসার সে মানুষটার মাথার উপর দেয়া যাবে না মানে অতিরিক্ত টেনশন এবং উত্তেজিত করা যাবে না।

মাসিক হওয়ার পর কিন্তু মেজাজ ভালো থাকে না এবং শারীরিকভাবে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব হয় যার ফলে কোন কথাই ভালো লাগে না। পরিবারের প্রতিটা মানুষকে এ বিষয়গুলো বুঝতে হবে এবং যখন পরিবারের কোনো মেয়ের মাসিক হবে তখন তাকে ভারী কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে যেন সে বেশি ব্যথা অনুভব করতে না পারে। প্রথমবার মাসিক হওয়ার পরে অবশ্যই একটি মেয়েকে এই বিষয়ের গুরুত্ব গুলো ভালোভাবে জানাতে হবে যেন সে পরবর্তীতে নিজেকে সাবধানতার সাথে এই দিনগুলো পার করতে পারেন।

আশা করছি আপনারা যারা প্রথমবার কোন কোন কাজ করতে হবে সে বিষয়গুলো ভালোমতো জানতে পেরেছেন এবং এগুলো জানার পরে আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনারা ভাল ব্যবহার করবেন এবং মেয়ে বাচ্চাদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন। তাদের যদি অতিরিক্ত পেন ওঠে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে কারণ প্রথমবার বিষয়টা অন্যরকম সেনসিটিভ হয়। ধন্যবাদ সবাইকে এই বিষয়গুলো সব সময় মনে রাখবেন এবং সতর্ক হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *