গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধ

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যাবে কিনা বা গ্যাসের ওষুধ খেলেও কেমন ধরনের ওষুধ খেতে হবে এই বিষয়গুলো সকলে জেনে রাখা প্রয়োজন কারণ একটি গর্ভবতী মায়ের কি কি করা উচিত এবং কি কি ওষুধ খাওয়া উচিত কোন রোগের জন্য এ বিষয়গুলো যদি জানা না থাকে তাহলে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।

কারণ গর্ভকালীন অবস্থাটা এমন একটি অবস্থা এটাতে অনেক সতর্কতার সাথে দিন পার করতে হয় পুরো দশ মাস অনেক সাবধানতার সাথে সময় গুলো পার করতে হয় তা না হলে নানা রকম সমস্যা হয়ে যেতে পারে। গর্ভকালীন অবস্থায় কোন রকম কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না কারণ যখন আপনারা বড় ধরনের কোনো এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন তখন গর্ভবতীর অনেক সমস্যা হতে পারে।

যেমন ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারনে অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে আবার অনেক সময় ব্রিডিং শুরু হয়ে যেতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং গর্ব অবস্থায় যেকোনো রোগ হলে ডাক্তারকে না জানিয়ে কোনো রকম কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না যাতে গর্ভবতী সমস্যা হয় কারণ অনেক সময় এমন কিছু খাবার দাবার আছে যেগুলো খেলে বাথরুম কষা হয়ে যায় আবার অনেক সময় অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হয়ে যায়।

আবার গর্ভবতীর যদি শারীরিক কোন জটিলতা দেখা দেয় যেমন প্রসাবে ইনফেকশন এটা কিন্তু একটি বড় ধরনের সমস্যা কারণ যদি কোন গর্ভবতী মহিলার প্রসাবে ইনফেকশন দেখা দেয় তখন তাকে আরও সতর্কতার সাথে দিন পার করতে হয় কারণ তাকে সেই ওষুধটা খেতে হয় আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয় নিয়মিত। এছাড়াও যদি বাথরুমে কোন সমস্যা দেখা দেয় তখনও কিন্তু নানা রকম ভাবে ক্ষতি হয় কারণ বাথরুমে যখনই সমস্যা দেখা দিবে তখন তাকে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে বলতে হয় আর এ সাপোজিটরি ব্যবহারে যদি একটু এদিক সেদিক হয় তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হবে আবার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সেজন্য এই সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এমন কিছু কাজ করা যাবে না যাতে গর্ভবতী মায়ের কোন রকম কোন সমস্যা হয়। ঠিক তেমনভাবে যদি গ্যাসের কোন সমস্যা থেকে থাকে বা এমন কোন খাবার খাই যেটাতে অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কিন্তু গ্যাসের কোন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যাবেনা বাজারে যে ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যেমন অ্যান্টাসিড বা লিকুইড গ্যাসের ওষুধ থাকে সেগুলো ছাড়া অন্য কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। অনেক সময় অনেকে না বুঝে ভাবে যে গ্যাসের সমস্যা হয়েছে যে কোন ধরনের একটি ওষুধ খেলে হয়তো ভালো হয়ে যাবে কিন্তু না বেশি পাওয়ারের ওষুধ যখনই খেতে যাবে তখনই বাচ্চা সমস্যা হবে সেজন্য গ্যাস হবে এ ধরনের খাবার কোন খেতে হবে না।

নিজে এবং বাচ্চাকে যদি সুস্থ রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই এই সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে কারণ যখনই আপনি একটু অনিয়ম করবেন তখনই আপনার বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে। অনেক মানুষ আছে যারা এ সকল বিষয়গুলো একেবারেই মানতে চায় না তারা ভাবে যে গর্ব অবস্থায় মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করলেই হয়তো গর্ভবতী মা ভালো থাকে কিন্তু তাদের ধারণা ভুল বর্তমানে যেমন ভেজাল খাবার তৈরি হয় তেমন নানা রকম ভাবে জটিলতা তৈরি হয় সেজন্য একটু সতর্ক না থাকলে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।

আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা হলে অবশ্যই তাকে অ্যান্টাসিড বা লিকুইড গ্যাসের ওষুধ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া যদি অন্যান্য কোন সমস্যা দেখা দেয় যেমন জ্বর সর্দি কাশি হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করা যাবে না কারণ যখনই আপনি নিজে থেকে কোন ওষুধ খেতে যাবেন তখন আপনার বাচ্চার প্রতি ঝুঁকি হতে পারে সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে এবং সঠিকভাবে চলাফেরা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *