গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয় এটা অনেক মানুষ বুঝতে পারে না কারণ অনেকে যে গর্ভবতী হয়েছে বা তার পেটে বাচ্চা আছে এ বিষয়টা বুঝতে পারে না কিন্তু যখন থেকে বমি শুরু হয় তখন থেকে বোঝা যায় যে সে প্রেগন্যান্ট বা তার বেবি হতে পারে।সেজন্য এই বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন কারণ গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয় এ বিষয়টা অনেকে জানে না কিন্তু এটা যদি জানা থাকে তাহলে আগে থেকে অন্য মানুষ বুঝতে পারবে বমির ধরন দেখে যে হয়তো এই মানুষটা প্রেগনেন্ট সেজন্য বমি করছে।

একটি মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় বা বেবি কনসিভ করে তখন অবশ্যই এমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যে লক্ষণ গুলো দ্বারা বুঝতে হবে যে সে মানুষটা প্রেগন্যান্ট। গর্ভবতী হওয়ার ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে যদি মাসিক না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে সে মানুষটা প্রেগন্যান্ট তবে এর মধ্যে তার কিছু সিমটম দেখা দেবে যেমন অতিরিক্ত মাথা ঘোরা এবং বমি হতে থাকবে সে যে খাবারটাই খাবে সেটাতে তার বমি হতে শুরু করবে।

সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে গর্ভবতী হওয়ার পরে ঠিক ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই বমি হওয়া শুরু হয় এবং এই বমি থেকে অনেক সময় মানুষের মনে সন্দেহ জাগে এবং তারপরে সে টেস্ট করে প্রথম অবস্থায় কাঠি দিয়ে টেস্ট করতে হয়। কাঠি দিয়ে টেস্ট করার পরে যদি দেখা যায় যে পজেটিভ তাহলে সেটা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝে নিতে হবে যে আসলেই সেটা পজেটিভ ছিল কিনা বা সেই গর্ভধারণ করেছে কিনা।

তবে গর্ভবতী হওয়ার অনেকদিন পর্যন্ত এই বমি হয় অনেক সময় অতিরিক্ত বমি হতে শুরু করে কারণ এই সময়টা একটি মেয়ের উপর দিয়ে অনেক কষ্টের সময় পার হয় এই নয় মাস থেকে দশ মাসে অনেক কষ্ট করে পার করতে হয়। প্রথম কিছুদিন অতিরিক্ত বমি হতে থাকে এবংই বন্ধ হওয়ার জন্য অবশ্যই ওষুধ বা ইনজেকশন নিতে হয় তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিন্তু অনেকেই আছে যারা বমি বন্ধ হওয়ার জন্য কোন ওষুধ খায় না কিন্তু এতে তার বাচ্চার ক্ষতি হয়।

যখন বমি বন্ধ হওয়ার জন্য কোন কিছু খাবেন না বা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না তখন অতিরিক্ত বমির জন্য বাচ্চার ক্ষতি হবে কারণ 40 থেকে 45 দিনের মধ্যে বাচ্চাটা বিকাশ করতে শুরু করে এবং সে বাচ্চাটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে সে জন্য যদি আপনার বমি হতে থাকে তাহলে বাচ্চার নানা রকম ভাবে ক্ষতি হতে থাকে।যারা প্রথমে বেবি নেন তারা এই সকল বিষয়গুলোতে একেবারে অজানা থাকতে পারেন সেজন্য আপনাদের আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং জেনে নিতে হবে সবকিছু বিষয়ে কিন্তু যাদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় নাম্বার বেবি তারা অবশ্যই এ বিষয়গুলো ভালোমতো বুঝবেন।

গর্ভবতী মা যখন বমি শুরু করে তখন তার পেটের উপর অনেক বেশি আঘাত করে আর এই আঘাতটা বাচ্চার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর সেজন্য চেষ্টা করতে হবে বমি বন্ধ করার ব্যবস্থা করার কারণ যত তাড়াতাড়ি বমি বন্ধের ব্যবস্থা করবেন বাচ্চা তত সুস্থ থাকবে। গর্ভবতী মা যদি বমি করতে থাকে তাহলে তার পেটে কোন খাবার থাকে না যার ফলে বাচ্চা অভুক্ত থাকে সেই জন্য বমি বন্ধ করা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

তাই আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন যে গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয় তারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে কিছুদিনের মধ্যেই বমি শুরু হয়ে যায় প্রায় 40 থেকে 45 দিনের মধ্যে আপনি শিওর হবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা কিন্তু এর মধ্যে আপনার বমি শুরু হয়ে যাবে ও সাথে আরো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।আশা করছি এ বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং যারা একেবারেই বোঝেন না তারা এই ধরনের সমস্যা হলে বুঝে ফেলতে পারবেন যে আপনার কি হয়েছে বা কেন এত বমি হচ্ছে আশা করছি আপনারা সুস্থ থাকবেন এবং সুস্থভাবে একটি বাচ্চা দুনিয়াতে আনতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *