কতদিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় এই বিষয়টা অনেকেই জানে না তাই আপনারা যারা এ সকল বিষয় জানতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে পেয়ে যাবেন আপনাদের এই সকল সমস্যার সমাধান। কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় এটা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো পড়তে হবে কারণ যারা জানে না এ বিষয়গুলো তারা সাধারণত অনেক বিষয়ে ভুল করে সেজন্য এগুলো জেনে রাখা প্রত্যেকটা মানুষের উচিত।

সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে আপনি শিওর হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কারণ এই সময়ের মধ্যে আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে এবং বুঝে নিতে হবে যে আপনি প্রেগনেন্ট কিনা। আপনার যদি এক মাসের বেশি মাসিক বন্ধ থাকে বা 40 থেকে 45 দিন হয়ে যায় এর মধ্যে আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে। প্রথম অবস্থায় আপনি কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন যখন আপনি কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করবেন তখন যদি পজেটিভ আসে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে হয়তো আপনি প্রেগন্যান্ট তার পরে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে শিওর হওয়ার জন্য।

তারপরেও অনেক সময় কাটিতে ভুল রেজাল্ট আসে যদি আপনার ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করার পরে যদি কাটিতে পজেটিভ আসে তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট আর যদি নেগেটিভ আসে কিন্তু মাসিক না হয় সে ক্ষেত্রে আপনার অন্য কোন সমস্যা হয়েছে এটা বোঝা যেতে পারে। তবে সব সময় কাঠিতে সঠিক ভাবে রেজাল্ট আসে না সেজন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন যদি আপনার মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা করে বুঝে নিতে হবে যে আসলে আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা অন্য কোন সমস্যার জন্য আপনার মাসিক বন্ধ হয়েছে।

সাধারণত প্রতিটা মেয়ে মানুষের এক মাস পর পর বা ২৫ থেকে ৩০ দিন বা ৩০ দিন থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে মাসিক হয় এ সময়ের মধ্যে কারো আগে হয় আবার কারো পরেও হয়। তাই বলে যে ৪০ থেকে ৪৫ দিন যদি মাসিক না হয় তাহলে আপনি ধরে নিবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট এমনটা নয় আপনাকে মেলামেশা করতে হবে বরের সঙ্গে তারপরে এটা শিওর হতে পারবেন যে আসলে 40 থেকে 45 দিনের মধ্যে কেন আপনার মাসিক হচ্ছে না বা আপনার প্রেগনেন্টি পজেটিভ কিনা।

অনেক সময় অনেক মানুষ এগুলো বোঝে না অনেকে আবার ভুলবশত ভেবে নাই ৪০ দিন থেকে ৪৫ জনের মধ্যে মাসিক না হলে যে সে হয়তো প্রেগন্যান্ট কিন্তু না অনেক সময় এটা পজিটিভ হতে পারে অনেক সময় নেগেটিভ হতে পারে সেজন্য ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। তবে যেটাই হোক এই সকল বিষয়ে সকলের সঠিকভাবে জেনে রাখা উচিত কারণ যদি আপনি সঠিকভাবে জেনে না রাখেন তাহলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের আবার অনেক দিন বা দুই তিন মাসেও এরকম বন্ধ থাকে তারা ভাবে হয়তো তারা প্রেগনেন্ট হয়েছে তারা অনেক খুশি হয়ে যায় কিন্তু অন্যান্য কারণের জন্য এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই এমন কোন সমস্যা দেখা দিলে বা মাসিক হতে যদি দেরি হয় তাহলে অবশ্যই আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে আবার যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা অবশ্যই ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। অনেক সময় অনেক মেয়েদের বাচ্চা হয় না যাদের মাসিকের সমস্যা রয়েছে তাদের এরকম ২-৩ মাস পর পর মাসিক হয় কিন্তু যদি তারা ভেবে থাকে যে পেটে বাচ্চা এসেছে সে ক্ষেত্রে তাদের ধারণাটা ভুল হতে পারে।

তাই মাসিক বন্ধ থাকার এবং প্রেগনেন্ট হওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা কারণ এমন অবস্থায় যেকোনো একটি রেজাল্ট আসতে পারে তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দিয়ে মহিলাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে। তারপরে আসলে বোঝা যাবে যে কত দিন মাসিক না হলে পেটে বাচ্চা আসে বা আসে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *