মেয়েদের মাসিক কতদিন থাকে

মেয়েদের মাসে কতদিন থাকে এটা সবার ভালোমতো জানার প্রয়োজন কারণ যদি এটা সঠিকভাবে জানা না থাকে তাহলে কিছু মানুষের সমস্যা হলেও তারা সেটা বুঝতে পারে না। তাই আমরা আজকে এবার আমাদের ওয়েবসাইটে মাসিক কতদিন থাকে সে সকল বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করব তার জন্য আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত।

যখন সঠিকভাবে আপনাদের এই তথ্যটা জানা থাকবে তখন যেকোনো সমস্যা হলে আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে আসলে এটা মাসিকের জন্য হচ্ছে নাকি অন্য কোন সমস্যার জন্য হচ্ছে। কিছু কিছু বিষয় আছে যা প্রত্যেকটা মানুষের জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ যখনই মাসিকের সমস্যা দেখা দেবে তখন কিন্তু স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকদিন মাসিক থাকবে এবং সেখানে প্রচুর ব্লিডিং হবে। অনেক সময় এমন সমস্যাটা দেখা দেয় কিন্তু মানুষ বুঝে উঠতে পারে না তারা ভাবে যে হয়তো এটা স্বাভাবিক সেজন্য এমনটা হচ্ছে।

যখন আপনারা ভালোমতো এ বিষয়টা জানবেন তখন কিন্তু একটু সমস্যা হলে বুঝে ফেলবেন যে আসলে এটা মাসিকের স্বাভাবিক কোনো নিয়ম না এটা অস্বাভাবিকতার জন্যই এমনটা হচ্ছে তখন আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে। স্বাভাবিক নিয়মে মাসিক সাধারণত ৭ দিন থাকে অনেক সময় কিছু কিছু মানুষের এটার একটু এদিক সেদিক হতে পারে। যেমন যাদের প্রথমবার মাসিক হয় তাদের ৭ দিনের বেশি থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে তাদের ৭ থেকে ৮ দিন বা 9 দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

আবার যে সকল মেয়েদের শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি দুর্বল বা ভালো না তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অনেক দিন থাকে যেমন তাদের ৭ দিনে প্রচুর ব্রিডিং হয় এবং সাত দিন থেকে আট দিন পার হতে পারে। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে যাদের শারীরিক অবস্থা ভালো তাদের 7 দিনে থাকে। অনেক সময় কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের মাসিকের সময় একটু কম হয় যেমন তাদের এক থেকে দুই তিন দিনের মধ্যে অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় এবং আস্তে আস্তে সেটা ভালো হতে থাকে কিন্তু সেটাও সাতদিনের মধ্যেই ভালো হয়।

মাসিকের ব্লিডিং অনুযায়ী অনেক সময় বোঝা যায় যে সে মানুষটার কোন সমস্যা রয়েছে কিনা কারণ মাসিকের বিল্ডিং এর কালার যখন বিভিন্ন রকমের হয় তখন বোঝা যায় তাদের জরায়ু ঠিক আছে এবং খারাপ আছে। তাই যখন আপনাদের মাসিকের ব্রিডিং ৭ দিনের বেশি হবে যেমন ধরুন 8 থেকে 12 দিন পর্যন্ত চলে যাবে তখনই আপনারা বুঝে যাবেন যে এটা অন্য কোন সমস্যা জন্য হচ্ছে কারণ স্বাভাবিক নিয়মে মাসিক কখনোই এতদিন হয় না। এছাড়া অনেক সময় মাসে একবার এমনটা হতে পারে কিন্তু প্রতি মাসে যদি আপনাদের মাসিকের সময় এত বেশি লেগে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে এটা অন্য কোন সমস্যার জন্য হচ্ছে বারবার।

জরায়ু মুখের সমস্যা যখন দেখা দেয় তখন কিন্তু অতিরিক্ত বিল্ডিং হতে পারে আবার জরায়ুর সমস্যা দেখা দিলে মাসে ২-৩ বার করে ব্লিডিং হতে পারে অনেক সময় মানুষ ভাবে এটা হয়তো মাসিকের সমস্যার জন্য এমন হচ্ছে কিন্তু না অনেক সময় টিউমার বা অন্য কোন কারণে এটা হয়ে থাকে। যখন একটি মানুষের টিউমারের সমস্যা হয় এবং সে সমস্যাটা একেবারে খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন অতিরিক্ত ব্লিডিং হতে পারে তখন মানুষ ভাবতে পারে যে এটা হয়তো মাসিকের জন্য হচ্ছে যার ফলে তারা শুধুমাত্র মাসিকের জন্য ওষুধ খায় এবং টিউমারের কোন পরীক্ষা করে না।

এমন অবস্থায় টিউমারটি অনেক খারাপ পর্যায়ে চলে যায় যার ফলে তখন অপারেশন না করা পর্যন্ত এটা ভালো হয় না। তাই আপনারা যারা মাসিকের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রয়েছেন বা যারা বুঝতে পারছেন না যে আসলে স্বাভাবিকভাবে মাসিক কত দিন থাকে তারা অবশ্যই আমাদের লেখাগুলো পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। যখনই দেখবেন যে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত মাসিক হচ্ছে তখন আর দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা পূরণ করবেন এতে করে আপনি সুস্থ নিরাপদে থাকতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *