গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বোঝা যায়

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বোঝা যায় এটা অনেকেই খেয়াল করে রাখতে পারে না তাই আমরা আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বোঝা যায় সে সকল বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করব আশা করছি আপনারা আমাদের এই লেখাগুলো পড়লে সঠিকভাবে সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন।গর্ভবতী সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ

এই সময়ে একটি মেয়ে মানুষ তার সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করে একটি বাঁচার জন্য এবং অনেক যত্ন সহকারে সে বাচ্চাটাকে লালন-পালন করার চিন্তা করে। তবে অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা গর্ভবতী হয়ে যায় কিন্তু বুঝতে পারে না যে তাদের পেটে বাচ্চা আছে এবং নানা রকম ভুল করে ফেলে যার ফলে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায় আবার অনেক সময় এ ধরনের বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের সমস্যা ঘটে।

তাই সবার জানা প্রয়োজন গর্ভবতী হওয়ার পরে কি কি লক্ষণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারবে সে মহিলা প্রেগনেন্ট। তাই আগে থেকে যদি আপনি সবকিছু জেনে থাকেন তাহলে গর্ভবতী হওয়ার পরে কোন রকম কোন সমস্যা ছাড়া আপনার বাচ্চাকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারি করতে পারবেন। গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় এই সময়টাতে যত ধরনের বিপদ আসতে পারে।

যেমন গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি কোন রকম কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেজন্য এই প্রথম তিন মাস ডাক্তারের কনসাল্ট্রেশনের মধ্যে থাকতে হবে এবং সবকিছু সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। শেষের তিন মাসে যদি গর্ভবতী মা কোন রকম ভাবে আঘাত পায় বা পেটে কোনভাবে ব্যথা পায় তাহলে কিন্তু তার হঠাৎ করে লেবার পেন শুরু হয়ে যেতে পারে বা তার সময় যদি একেবারে শেষের পথে চলে আসে তখনও কিন্তু তার লেবারপেন শুরু হয়ে যেতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

কারণ সেই সময় যদি আপনারা কোন রকম ভাবে লেবারের সিমটমগুলো না বুঝে থাকেন তাহলে কিন্তু গর্ভবতী মায়ের সময় পার হয়ে যাবে এবং পেটের মধ্যে বাচ্চার সমস্যা হতে শুরু করবে। তাই এ সকল বিষয়গুলোর উপর সবার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন যেন গর্ভবতী মায়ের কোন রকম কোন সমস্যা হলে সবাই এগিয়ে আসতে পারেন এবং সবাই সুস্থভাবে একটি বাচ্চাকে ডেলিভারি করাতে পারেন।

গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম অবস্থাতেই বোঝা যায় প্রায় একমাস পরে সবাই বুঝতে পারে যে সে গর্ভবতী কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটা মেয়ে মানুষের এক মাস পর পর মাসিক হয়। গর্ভবতী অবস্থায় বা গর্ভধারণের পর যখন মাসিক বন্ধ হয় তখনই মানুষ বুঝতে পারে সে প্রেগনেন্ট হয়েছে সেজন্য বুঝতে বুঝতে সময় লেগে যায় প্রায় এক মাস।

যেমন আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার ডেট এর পরে যদি আপনি সহবাস করেন তারপর থেকে প্রায় একমাস পরে আপনার মাসিক হবে না আর যখন আপনার মাসিক হবে না বা ৪০ থেকে ৪৫ দিন হয়ে যাবে ঠিক তখন আপনার মনের মধ্যে একটু সন্দেহ হতে পারে যে কেন মাসিক হচ্ছে না আপনি বেবি কনসিভ করেছেন কিনা। ঠিক সেই সময় যদি আপনি কাঠি দিয়ে বা ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করেন যে কেন আপনার মাসিক হচ্ছে না মাসি কেন বন্ধ তখন আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে প্রেগনেন্ট হয়েছেন কিনা।

তাই সাধারণত আপনারা একমাস পরে বুঝতে পারবেন যখন থেকে মাসিক বন্ধ হবে তখন থেকে বুঝতে পারবেন প্রেগন্যান্ট হয়েছেন কিনা। যখন থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনারা প্রেগনেন্ট বা গর্ভবতী হয়েছেন তখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে সিওর ভাবে পরীক্ষা করবেন তাহলে আর কোনরকম কোন কনফিউশন থাকবে না এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে নিয়মিত পরামর্শ গ্রহণ করবেন চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তাহলে সুস্থ ভাবে একটি বাচ্চা ডেলিভারি করাতে সুবিধা হবে। আশা করছি এ সকল বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং এই তথ্যগুলোতে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *