এম এম কিট খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়

এম এম কিট খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় এবং এম এম কিট কি এ বিষয়ে অনেকেই জানেন বা অনেকেই জানেন না তাই আমরা আজকে আপনাদের এম এমকির সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয়ার জন্য আমাদের এই আয়োজনটি করেছি। যারা এম এম কিট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটে আসলে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং এখান থেকে অনেক কিছুই তথ্য সংগ্রহ করে উপকারিতা লাভ করবেন বলে আশা করছি।
এম এম কিট কেন খাওয়া হয় এবং এটা খাওয়ার পরে কতদিন পর মাসিক হয় এটা অনেকেরই প্রশ্ন আর এ বিষয়গুলো জেনে রাখা অনেক ভালো কারণ কখন কোন জিনিসের প্রয়োজন পড়ে এবং এটা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস এটা জেনে রাখা ভালো। যারা বিয়ের পরে অনিয়ন্ত্রিত প্রেগনেন্সির জন্য পিল খায় বা যারা হুটহাট বাচ্চা নিতে চায় না তাদের জন্য এম এম কিট অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। হঠাৎ করে যদি কেউ প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় বা বিয়ের পরে যদি বাচ্চা নিতে না চায় কিন্তু প্রেগনেন্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনারা এম এম কিট গ্রহণ করতে পারবেন কারণ এম এম কিট সাধারণত বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটা একটি পিল বা ওষুধ বলা চলে এই এম এম কি ব্যবহারের ফলে দ্রুততম পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এবং মাসিক ক্লিয়ার হয়ে যায়।
তাই আমরা এবার এম এম কিট সম্পর্কে আপনাদের যে সকল তথ্যগুলো দিব আপনারা এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করে এম এম কিট নির্দ্বিধায় সেবন করতে পারেন বা এম এম কিট সেবন করলে কত দিনের মধ্যে মাসিক হবে সেটা জানতে পারবেন। এম এমকির সাধারণত ইমার্জেন্সি পিল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে অসাবধানতার কারণে গর্ভবতী হয়ে গেলে গর্ভপাতের জন্য বা মাসিক নিয়মিত করার জন্য এই এম এম কিটের অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে। এম এম কিট মহিলাদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের 63 দিন বা 9 সপ্তাহের মধ্যে এম এম কি গ্রহণ করে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করা এবং মাসিক নিয়মিত করার জন্যই ব্যবহার করা হয়।
তাই যদি কোন কারনে গর্ভধারণের সময় নয় সপ্তাহের বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ না সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে এম এম টি আর কাজ করবে না সেজন্য অবশ্যই আপনাকে সপ্তাহের হিসাবটা ঠিকঠাক রাখতে হবে। বিয়ের পর অনেক সময় অনেকে আছে যারা দ্রুত বাচ্চা নিতে চায় না কিন্তু অসাবধানতার কারণে পেটে বাচ্চা চলে আসে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এটা ব্যবহার করা যেতে পারে এটা পেটের বাচ্চা নষ্ট করে এবং অতিরিক্ত ব্লিডিং শুরু হয়ে যায় আর এই বিষয়ে যদি আপনি সঠিকভাবে সঠিক তথ্যগুলো না জানেন তাহলে অতিরিক্ত ব্লিডিং এর কারণে অন্য কোন সমস্যা হয়ে যেতে পারে বা মানুষ দুর্বল হয়ে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
এম এম কিট যেভাবে খাবেন এম এম কিট খাওয়ার আগে আপনাকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন অনেকেই কোন কারনে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে ভাবে সে হয়তো প্রেগন্যান্ট হয়েছে এবং এম এম কিট গ্রহণ করে এতে তার শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। মাসিক বন্ধ থাকা অবস্থায় যদি আপনি এটা গ্রহণ করেন তাহলে সাইড ইফেক্ট পরবে এতে আপনার কিডনি বা লিভারের সমস্যা হয়ে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই এটা খাওয়ার আগে নিশ্চিত হবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা।
এম এম কিটের একটি প্যাকেটে মোট পাঁচটি ট্যাবলেট থাকে যেখানে একটি বড় ট্যাবলেট রয়েছে এবং বাকি চারটি ছোট ছোট আকারের ট্যাবলেট রয়েছে। এম এম কিট খাওয়ার হচ্ছে প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি যথাসম্ভব ডাক্তারের সামনে বসে খাবেন তারপর 24 ঘন্টা পরে বাকি চারটি ছোট ছোট ট্যাবলেট বের করে জিহ্বার নিচে রেখে দিন।
আধাঘন্টা এভাবে রাখতে হবে যেন ট্যাবলেট গুলো গলে পেটে যায় ওই সময় মুখে থুতু আসলেও ফেলা যাবে না আধা ঘন্টা যদি ট্যাবলেট শেষ না হয় মুখ আটকে থাকে তাহলে পানি দিয়ে খেয়ে নিবেন। ওষুধগুলো সেবনের পর যদি মারাত্মক কোন সমস্যা দেখা দেয় বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ওষুধ খাওয়ার কিছুদিন পর হসপিটালে গিয়ে টেস্ট করে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার গর্ভপাত হয়েছে কিনা।