ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর কতদিন পর মাসিক হয় এবং ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত। অনেকে আছে যারা ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা আবার অনেকে আছে যারা সঠিক নিয়মে খেতে জানে না তাদের জন্য আমাদের এবারের আয়োজন।
ইমারজেন্সি পিল নিয়ে যারা সঠিক তথ্য খুঁজছেন তারা সবাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন সকল তথ্য। অনেক মানুষ আছে যারা ইমারজেন্সি বিল কিভাবে খেতে হয় বা কেন খেতে হয় এগুলো জানে না আবার অনেকে আছে যে না জেনে খেয়ে ফেলে তাই সঠিকভাবে সকল বিষয়ে জানা উচিত কারন এই সকল ইমারজেন্সি পেলে ক্ষতিকর কিছু ব্যাপার রয়েছে যা আপনারা না জেনে খেলে আপনাদের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইমার্জেন্সি পিল কি এবং কেন খেতে হয় এ ধরনের প্রশ্ন সবাই রয়েছে এবং এই প্রশ্নগুলো সঠিক উত্তর জানা খুবই বেশি দরকার।
এমার্জেন্সি পিল সাধারনত হঠাৎ করে প্রেগন্যান্ট হওয়া থেকে প্রতিরোধ করার ট্যাবলেট কে বোঝায়। ইমারজেন্সি পিল খেলে অনিয়ন্ত্রিত প্রেগন্যান্টসি থেকে মুক্তি মেলে। হঠাৎ করে অনেকেই প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় যখন তারা বাচ্চা নিতে চায় না কিন্তু পেটে বাচ্চা চলে আসে সে ক্ষেত্রে আপনাদের এই ইমার্জেন্সি পিল সেবন করা উচিত। অনেক সময় যে সকল মহিলাদের নতুন বিয়ে হয়েছে তারা সহজে বাচ্চা নিতে চায় না কিন্তু হঠাৎ করে পেটে বাচ্চা চলে আসছে বা তাদের সন্দেহ হয় যে পেটে বাচ্চা আসতে পারে সেক্ষেত্রে যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমারজেন্সি পিল খাওয়া হয় তাহলে বাচ্চা আসবে না পেটে।
অনেকে আছে যারা এগুলো জানতে পারে না এবং ৭২ ঘন্টার পরে পিল খায় এবং নিশ্চিন্তে বসে থাকে যে হয়তো বা বেবি পেটে আসবে না সেক্ষেত্রে এই তথ্যগুলো জেনে রাখা ভালো কারণ যদি 72 ঘন্টা পার হয়ে যায় তাহলে পিল কোন কাজ করবে না। তাই আপনি যে ধরনের ইমারজেন্সি পিল খান না কেন অবশ্যই আপনাকে এটা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে এবং খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে।
আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে যে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কত ঘন্টা পর বা কত দিন পর মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে আমরা বলব তাড়াহুড়ার কিছু নেই। মেয়েদের মাসিক সাধারণত অনেক সময় দেরিতে হয় যেমন একুশ দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে এটা শুরু হতে পারে অনেক সময় কারো আগে হয় আবার অনেক সময় কারো অনেক দিন পরে হয়।
তাই যখন আপনারা এমার্জেন্সি পিল খাবেন তখন সঠিক নিয়মে হতে পারে আবার ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। তাই ইমারজেন্সি পিল খেলে তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য ধরে থামতে হবে তারপরে দেখতে হবে যে আপনার 10 থেকে 12 দিনের মধ্যে মাসিক হচ্ছে কিনা। এই সময়ের মধ্যে যদি মাসিক না হয় তাহলে অবশ্য আপনাকে গাইনি ডাক্তারকে দেখাতে হবে কারণ আপনার ভেতরে কোন সমস্যা বা ওষুধের কোন সাইড ইফেক্ট এর কারণে হয়তো এমনটা হতে পারে সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যোগাযোগ করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
এ সকল এমারজেন্সি পিল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় কারণ যখনই আপনি এ প্রিল গুলো নিয়মিত খেতে শুরু করবেন তখনই আপনার শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবেন। অনেক সময় এই পিল অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে বাচ্চা হতে চায় না বা শরীরের চর্বি জমে যায় এই পিলের সাইড ইফেক্ট এর কারণে। সেজন্য আপনারা কখন খাবেন এবং কয়টা খাবেন সেটা আপনাদের উপর নির্ভর করে কারণ যখনই আপনি অতিরিক্ত খাবেন তখন আপনার অন্য দিক দিয়ে ক্ষতি হতে থাকবে সেজন্য এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জানা প্রয়োজন।
যারা জানেন তারা অবশ্যই নিয়ম করে খাবেন বা অতিরিক্ত সেবন করবেন না যাতে আপনাদের পরবর্তীতে আর কোন সমস্যা না হয়। আশা করছি আপনারা বুঝতে পারছেন ইমারজেন্সি পিল কখন খেতে হবে এবং কিভাবে খেতে হবে। ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরে টেনশনের কিছু নাই সময় মতো মাসিক হয়ে যাবে এবং যদি আপনার সময়মতো মাসিক না হয় তাহলে নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।