মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন পর টেস্ট করতে হয়

মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন পর টেস্ট করতে হয় আপনি প্রেগনেন্ট কিনা এই বিষয়টা যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে আপনাদের যাদের বেবি কোনসিভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা অবশ্যই সঠিক নিয়মে পরীক্ষা করতে পারবেন। এ বিষয়গুলো সঠিক ভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন কারণ হঠাৎ করে যদি কারো পেটে বাচ্চা চলে আসে তখন যদি আপনি লক্ষণগুলো বুঝতে না পারেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে সে বাচ্চাটা নষ্ট করা যাবে না।

তাই এই সকল বিষয় নিয়ে অবহেলা করা যাবে না সঠিক তথ্য সঠিক ভাবে জানতে হবে। আমরা এবার আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সকল বিষয়ে জানানোর জন্য কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছি। আপনারা যারা মাসিকের সমস্যা রয়েছেন বা মাসিক নিয়ে সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্য আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন। মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন পর টেস্ট করতে হয় প্রায়ই আপনি এক থেকে দেড় মাস পরে এটা টেস্ট করতে পারবেন।

সাধারণত একটি মেয়ের মাসে থাকে সাত দিন এবং এই সাত দিন পরে যদি আপনারা সহবাস করেন তাহলে কিন্তু আপনাদের বেবি কনসিভ হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে যদি আপনাদের পেটে বাচ্চা আসে বা আপনি যদি বেবি কনসিভ করেন সে ক্ষেত্রে আরও অনেক রকমের লক্ষণ আপনার দেখা দেবে যদি লক্ষণ গুলো বুঝতে পারেন তাহলে আপনি আগে থেকেই বুঝে যাবেন যে আপনি বেবি কনসিভ করেছেন। অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়মের জন্য মাসিক বন্ধ থাকে এতে করে অনেক মানুষ ভাবে তারা হয়তো বেবি কনসিভ করেছে যার জন্য তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু এটা এমনিতে হতে পারে আবার যখন কেউ সেটা নিয়ে চিন্তা করেনা।

যেহেতু এক মাস পর পর মাসিক হয় সেক্ষেত্রে যারা সহবাস করে তারা অবশ্যই সহবাস করার এক থেকে দেড় মাস পর টেস্ট করবে তারা কনসিভ করেছে কিনা। যখন পেটে বাচ্চা আসে তখন মাসিক হয় না সে ক্ষেত্রে প্রথম এক মাসে মাসিক হবে না আর যখন আপনার এটা বুঝতে পারবেন যে আপনাদের মাসিক বন্ধ রয়েছে তখনই আপনারা পরীক্ষা করতে পারেন। তাই বলা যেতে পারে মাসিক বন্ধ হওয়ার এক মাস পরে আপনারা যদি পরীক্ষা করেন তাহলে ভালোমতো বুঝতে পারবেন যে আপনারা বেবি কনসিভ করেছেন।

এছাড়াও যারা বাচ্চা নিতে চান না তারাও যদি এক মাসের মাসিক না হয় তাহলে পরীক্ষা করতে পারেন কারণ আপনারা যখন সঠিকভাবে পরীক্ষা করবেন তখনই বুঝতে পারবেন যে আসলে কি হয়েছে। প্রথম অবস্থায় আপনারা কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন বাসায় কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করলে অনেক সময় পজেটিভ দেখায় আবার অনেক সময় নেগেটিভ দেখায় সে ক্ষেত্রে আপনারা চিন্তা করবেন না। আপনাদের যদি সহবাস করার পরে মাসিক বন্ধ থাকে তখন আপনারা অবশ্যই কাটি দিয়ে পরীক্ষা করবেন কাঠিতে পরীক্ষা করার পরে যদি ধরা না পড়ে তাহলে আপনারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

যখন আপনার ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন ভালোভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হবে এবং তখনই বোঝা যাবে যে আপনারা বেবি কনসিভ করেছেন কিনা। অনেক সময় কাটিতে ভুল দেখায় অনেক সময় অনেক জন আর পজেটিভ দেখায় কিন্তু তারা বাচ্চার কনসিভ করতে পারে না সে ক্ষেত্রে যখন আপনার ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন সঠিকভাবে সঠিক তথ্যটি জানতে পারবেন এতে করে আপনাদের কোন ভুলভ্রান্তির মধ্যে থাকা লাগবে না।

আর যখনই আপনাদের একমাস মাসিক বন্ধ থাকবে এবং আপনারা কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করে পজেটিভ পাবেন তখন তো দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কারণ বেবি কনসেপ্ট করার পরে যে সকল ফরমালিটি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে এবং খুব ভালোমতো যত্ন নিতে হবে। যদি আপনারা প্রথম থেকে ডাক্তারের কাছে যান তাহলে কিন্তু আপনাদের বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং আপনার বাচ্চার কোন পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে সেটাও খুব ভালো মতো বুঝতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *