মাসিক কত দিন হয়

মাসিক কত দিন হয় এটা যাদের প্রথমবার মাসিক হয়েছে তারা কিন্তু জানে না আবার যাদের মাসিকের সমস্যা রয়েছে তারাও কিন্তু সঠিকভাবে বলতে পারে না যে আসলে মাসিক কতদিন হয়। মাসিকের একটি স্বাভাবিক নিয়ম রয়েছে আপনারা যদি দেখেন যে এই নিয়মটার বাইরে আপনার মাসিক হচ্ছে তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে সেটা নিয়ে চিন্তিত হতে হয়।

যারা মাসিকের সঠিক নিয়মটা জানে তারা কিন্তু অন্য মানুষকে সঠিকভাবে বোঝাতে পারে যে আসলে কয়দিন থাকে কতটা হলে স্বাভাব। তবে যাদের একটু সমস্যা দেখা দেয় তাদের কিন্তু এটা একটু বেশিদিন থাকতে পারে সেজন্য চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে কিন্তু এই সমস্যাটা দূর হয়ে যেতে পারে। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সুবিধার জন্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি বা সঠিক তথ্য দিয়েছে। এই তথ্যগুলো যখন আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন তখন বুঝবেন যে আসলে আপনারা জেনেশুনে কতটা ভুল করেন এবং এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে রাখা কতটা প্রয়োজনীয়।

একটি মেয়ে মানুষের জীবনে বিবাহের পরে কিন্তু সন্তান জন্মগ্রহণ দেওয়াটা হলো সব থেকে বড় একটি বিষয় কিন্তু আপনার যদি মাসিকের কোনরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। তাই অবশ্যই এই সকল বিষয়গুলোর উপর আপনাদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং সঠিকভাবে জানতে হবে। অনেক মানুষ আছে যারা মাসিকের সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন রয়ে যায় কিন্তু তারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছেও যায় না আবার তারা আশেপাশের কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেবে সেটাও করে না। তারা ভাবে এটা হয়তো গোপন বিষয় সবাইকে জানানো যাবে না সবার সাথে পরামর্শ নেয়া যাবে না কিন্তু এটা সবথেকে বড় ভুল আপনারা যখনই এমনটা করে রোগ নিয়ে বসে থাকবেন তখনই কিন্তু আপনাদের সমস্যারও বেশি হবে।

মাসিকের সমস্যা থেকে কিন্তু জরায়ুর টিউমার হয়ে যায় জরায়ু ক্যান্সার হয়ে যায় সেজন্য সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। মাসিক হওয়ার কিছু স্বাভাবিক নিয়ম রয়েছে যেমন মাসিক কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সাত দিন থাকে। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকে এবং এর সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় সুস্থ হয়ে যায়। তবে যাদের সমস্যা রয়েছে জরায়ুতে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু মাসিকের সময়কালটা বেশিদিন হতে পারে। যেমন আপনাদের জরায়ুর সমস্যা থাকলে কিন্তু মাসিকের সময়টা আরো বৃদ্ধি পাবে যেমন সাতদিনের জায়গায় দশ দিন হতে পারে 12 দিন হতে পারে।

আর যদি মাসিকের সময় তাহলে এরকম বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে একটু সময় ওই মানুষটা একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়ে কারণ যখনই আপনাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে শুরু করবে তখন কিন্তু সে মানুষটা দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই রেগুলার যাদের 10 থেকে 12 দিন পর্যন্ত মাসিক থাকে তারা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন কারণ মাসিক শুধুমাত্র ৭ দিন থাকে খুব জোর হলে আর থেকে নয় দিন পর্যন্ত হতে পারে কিন্তু এ বেশি হলে আপনারা অবশ্যই চিকিৎসা নেবেন। এছাড়াও যাদের অনেক বেশি সমস্যা হয় মাসিকে তাদের কিন্তু প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার করে মাসিক হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া খুবই জরুরি বিষয়।

তবে শুধুমাত্র যে মাসিক সাত দিন থাকে এমনটাও কিন্তু নয় শুরু হওয়ার দিন থেকে শুরু করে তিন দিনেও ভালো হয়ে যেতে পারে অনেক সময় 5 দিনও ভালো হয়ে যেতে পারে। তাই এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নয় কারণ শুরু হওয়ার দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এটা আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে কারো ভালো হয়ে যায় কারো আবার পুরো ৭ দিনই থাকে। ধন্যবাদ সবাইকে আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন এবং সবাই এ বিষয়টা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *