গর্ভবতী মায়ের হিমোগ্লোবিন কত থাকলে রক্তের প্রয়োজন
গর্ভবতী মায়ের হিমোগ্লোবেন কত থাকা প্রয়োজন এবং কতটা হিমোগ্লোবিন থাকলে তাকে সাধারণভাবে ধরা চলে এ বিষয়গুলো জানতে হলে আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। প্রতিটা মানুষের শরীরে রক্তের একটি পরিমাপ রয়েছে এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি পরিমাপ মতো থাকে তাহলে আর রক্ত দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না কিন্তু গর্ভবতী মানুষের রক্তের প্রয়োজন একটু বেশি পড়ে।
কারণ একটি মানুষের শরীরে যখন অন্য একটি মানুষের অভাব ঘটে তখন রক্তের অনেক বেশি প্রয়োজন ঘটে কারণ রক্তের মাধ্যমে সে মানুষটি তৈরি হতে থাকে। সেজন্য গর্ভবতী মহিলাদের অনেক বেশি রক্তের প্রয়োজন হয় তাই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তখন ডাক্তাররা তাদের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার দেয় যাতে তাদের রক্ত তৈরি হয়। কারণ একটি গর্ভবতী মহিলা শরীলে যত বেশি রক্ত থাকবে বাচ্চা তত বেশি সঠিকভাবে পরিপূর্ণভাবে বড় হতে থাকবে এবং বাচ্চার ইমিউনিটি বাড়তে থাকবে কারণ ওই বাচ্চাটা রক্তের মাধ্যমে সঠিকভাবে বড় হয়।
সেজন্য একটি গর্ভবতী মায়ের সঠিক পরিমাণ হিমোগ্লোবিন থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন যদি তার শরীরের সঠিকভাবে হিমোগ্লোবিন না থাকে তাহলে রক্ত দিতে হয় কারণ রক্ত শূন্যতা দেখা দিলে বাচ্চা একেবারেই অপুষ্টিতে ভুগে এবং তাড়াতাড়ি বড় হয় না ও বাচ্চার নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এ বিষয়গুলো অনেকেই খেয়াল করে না যার ফলে তারা নিয়মিত চেকআপ করে না এবং জানেও না যে গর্ভকালীন অবস্থায় একটি মহিলার কতটা হিমোগ্লোবিন থাকা প্রয়োজন।
আর এটা না জানার কারণে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খায় না পুষ্টিকর যার ফলে তাদের বাচ্চার নানা রকম ভাবে সমস্যা হয় এই সকল বাচ্চাগুলোর জন্মগ্রহণের পরে এত বেশি অসুস্থ থাকে যে তাদের আবার এক্সট্রা করে চিকিৎসা দিতে হয়। বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় গর্ভবতী নারীকে রক্ত দিতে পরামর্শ দেন কারণ তাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে আবার অনেক সময় সিজারের সময় অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন পড়ে তাই আগে থেকেই যদি আপনারা পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে রক্তের পরিমাণটা অনেকটা ঠিক থাকে। গর্ভের শিশু সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে হলে অবশ্যই রক্তের প্রয়োজন আর তা একেবারে সঠিক পরিমাপে থাকতে হবে একটি গর্ভবতী মহিলার শরীরে।
এ সম্পর্কিত বিস্তারিত বিস্তারিত আরো অনেক কিছু রয়েছে কারণ অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন যে একটি মহিলার শরীরে ১৩ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকা প্রয়োজন। তাই বলা যায় যে গর্ভবতী মায়ের হিমোগ্লোবিন যদি ১৩ থেকে ১৬র মধ্যে থাকে তাহলে তাকে রক্তের প্রয়োজন পড়ে না আর যদি এর থেকে কম থাকে তাহলে অবশ্যই রক্ত দিতে হবে। সেজন্য গর্ভবতী মহিলাকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয় কারণ ডাক্তারের কাছে গেলেই বোঝা যাবে যে আপনার শরীরে কতটা রক্ত রয়েছে কতটা হিমোগ্লোবিন রয়েছে।
যদি আপনার শরীরের ১৬ থেকে ১৩র মিলিগ্রামের কম হিমোগ্লোবিন থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেটার মাধ্যমে আপনার শরীরে রক্ত হয় আবার অনেক সময় আপনাকে রক্ত দিতে হতে পারে। পেটের মধ্যে একটি বাচ্চা সুস্থ ভাবে তখনই গড়ে উঠতে পারে যখন তার মায়ের শরীরে পর্যন্ত পরিমাণে রক্ত থাকে এবং অন্যান্য পুষ্টি থাকে সেজন্য রক্তের বিষয়টা সবার জানা উচিত। বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই হিমোগ্লোবিনের পরিমাণটা ঠিক রাখতে হবে তবে আপনার বাচ্চা সঠিকভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারবে এবং সঠিকভাবে মায়ের পেটে বেড়ে উঠতে পারবে।
আশা করছি আপনারা যারা এ সকল বিষয়গুলো জানতেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই লেখাগুলো পড়ে সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন এবং আপনারা অবশ্যই একটি সুস্থ বাচ্চাকে জন্মদান দিতে হলে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন যেন আপনার শরীরে থাকে সেদিকে খেয়াল করবেন। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেন এবং ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট গুলো ফলো করুন তাহলে আর কোনো রকম কোনো সমস্যা হবে না সঠিকভাবে বের হতে পারবে আপনার সন্তান।