কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়

কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় এবং কিভাবে আপনাদের মাথায় চুল গজাবে সে সকল বিষয় নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন আপনারা যারা চুলের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের এখান থেকে কিছু পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এবারের আয়োজনটি করেছি এবং যাদের কপালে একেবারে চুল নাই বা মাথার সামনের অংশে চোর পড়ে যাচ্ছে তাদের জন্য এই ধরনের টিপস গুলো অনেক বেশি কাজে লাগবে। আপনারা আমাদের এখান থেকে টিপসগুলো সংগ্রহ করে নিজেদের মতো করে যদি এপ্লাই করতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনেক বেশি উপকারে আসবে।

চুল পড়া সমস্যা অনেক রয়েছে আবার অনেক সময় মানুষের সামনের অংশ চুল থাকে না একেবারে উঠে যায় আবার পেছনের অংশে অনেক চুল থাকে সেক্ষেত্রে অনেকে চিন্তিত হয়ে যায়। কারণ যখন সামনের অংশে কেউ থাকবে না বা কপালে চুল থাকবে না তখন মানুষকে দেখতে অনেক বাজে দেখায় কারণ পেছনে যতই বড় বড় চুল হোক না কেন সামনে যদি ফাঁকা হয়ে যায় বাট পড়ে যায় সেটা দেখতে ভালো লাগে না।

তাই সামনের অংশে চুল গজানোর জন্য যে সকল কাজগুলো আপনাদের করতে হবে তা হলো প্রথমত যখন একটি বাচ্চা ছোট থেকে বড় হবে তখন তার সামনের অংশের চুল গুলো বেশি বেশি করে নাড়ু করে দেবেন। পুরো মাথার সাথে তার স্বামীর অংশ নাড়ু করবেন তাহলে দেখবেন যে সেখানকার চুল গুলো বেশি ঘন হবে।এরপরে যখন বড় হতে থাকবে তখন তো স্বাভাবিক নিয়মে বা এমন কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে মানুষের মাথার চুল উঠতে শুরু করে এবং যখন একবার চুল ওঠা শুরু হয় তখন কোনোভাবেই চুল যেন বন্ধ হতে চায় না পড়া।

সে ক্ষেত্রে প্রথমে জানতে হবে কোন কোন কারণে আপনাদের চুল পড়া শুরু হয়েছে এবং কোন কোন কারণ থেকে দূরে থাকলে এই চুল পড়া বন্ধ হবে। কপালে চুল গজানোর জন্য আপনাকে বেশি বেশি করে মাথায় তেল দিতে হবে এবং সুন্দর করে সামনের অংশ মেসেজ করতে হবে যেন কোন রকম আঘাত না লাগে চুলে। কোন কিছু করে চুল টাইট করে বাধা যাবে না আবার চুল বেশি আঘাত দেয়া যাবে না যখন আপনি চুল আঁচড়াবেন তখন খুব সুন্দর করে সামনের অংশ নরম ও মুসলিম ভাবে আঁচড়াবেন। যখন আপনি চুল বাঁধবেন তখন সামনের চুলগুলোতে খুব বেশি টানটান করে বাধবেন না এতে চুলের গোড়া নড়ে যায় সেজন্য আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং সাবধানতার সাথে চুল বাধতে হবে।

আবার যারা কপালে নতুন চুল গজাতে চাইছেন তারা অবশ্যই সামনের অংশে তেল দিবেন ঘন ঘন এবং তেল দেয়ার পরে সেটাকে শ্যাম্পু করলেও সামনের অংশে কম শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। আমরা সাধারণত শ্যাম্পু করার সময় মাথার সামনের অংশে বেশি শ্যাম্পু করে আর শ্যাম্পুতো কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয় সেজন্য সামনের অংশ থেকে চুল পড়া বেশি শুরু হয় এর জন্য যখন শ্যাম্পু করবেন তখন শুধুমাত্র ময়লা কাটানোর জন্য যেটুকু দরকার সেটুকু ব্যবহার করবেন অতিরিক্ত শ্যাম্পু তুলে দেয়া যাবে না।

যখন আপনি অতিরিক্ত চুলে শ্যাম্পু দিবেন তখন চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাবটা নষ্ট হয়ে যাবে যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে এবং চুল বেশি পড়া শুরু করবে। তারপরে যে ধরনের তেলগুলো ব্যবহার করলে চুল নতুন ভাবে গজায় সে তেল গুলো আপনাদের নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে আপনি যদি চুলে তেল দেয়ার সময় না পান বা ব্যস্ততার কারণে চুলের যত্ন নিতে পারেন না।

তারপরও আপনাকে সময় বের করতে হবে চুলের জন্য আপনি সপ্তাহে দুই দিন অন্তত চুলে তেল দিবেন এবং শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘন্টা তেল দিয়ে মেসেজ করতে পারেন। এ ধরনের কাজগুলোর ফলে আপনার চুল অনেক পুষ্টি পাবে কারণ চুল সব সময় ভালো হয় তেলের জন্য আর যখন আপনি তেল দিবেন না তখন আপনার পুরো মাথার চুলে উঠতে শুরু করবে। তাই যারা সামনের কপালের চুল গজানোর জন্য চিন্তিত তারা অবশ্যই একটু সতর্কতার সাথে চলাফেরা করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং সামনের চুল নতুন ভাবে গজাতে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *