গর্ভবতী হওয়ার পর সহবাসের নিয়ম

গর্ভবতী হওয়ার পর সহবাসের কিছু নিয়ম রয়েছে এই নিয়মগুলো যদি আপনারা না জেনে থাকেন তাহলে বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে সেজন্য আমরা আজকে আপনাদের জন্য এই ধরনের কিছু তথ্য দিয়ে আমাদের এই আয়োজনটি করেছি। আপনারা আমাদের এই লেখাগুলো শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন যে গর্ভবতী অবস্থায় কিভাবে সহবাস করতে হয়।

একটি মেয়ে যখন প্রেগনেন্ট হয় তখন তাকে অনেক বেশি সাবধানতার সাথে দিন পার করতে হয় কারণ প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস মেয়েদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। এই সময়টা অনেকটা জটিলতার মাধ্যমে পার করতে হয় এই সময়ে একটি মেয়ের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে এবং এই সময়ে মেয়েটিকে যখন তার পছন্দের জিনিসগুলো বাদ দিতে হয় তখন তার মনের মধ্যে অনেকটা খারাপ লাগে কিন্তু তারপরও একটি বাচ্চার আশায় সে মেয়েটির সবকিছু মেনে নেয়।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাস থেকেই মেয়েটার খাদ্য চলাফেরা সবকিছু আলাদা হয়ে যায় এবং সতর্কতার সাথে দিন পার করতে হয় কারণ পুরো নয় মাস থেকে ১০ মাস এই সময়টা সবটাই মেয়েটাকে সাবধানতার সাথে পার করতে হয় কিন্তু তার মধ্যে দিয়েও এ কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা একেবারেই পালন করতে হয়।

যেমন খাবারের বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কারণ যখন আপনি পুষ্টিকর খাবার খাবেন তখন আপনার বাচ্চা ভালোভাবে পুষ্টি ও ইমিউনিটি পাবে এবং আপনার বাচ্চা যত বেশি ইমিউনিটি পাবে সে তত তাড়াতাড়ি বড় হতে থাকবে এবং তার গ্রোথ তত বেশি ভালো থাকবে সে ক্ষেত্রে মা যত বেশি ভালো খাবে বাচ্চা তত বেশি ভালো থাকবে।

এ বিষয়গুলো অনেকেই জানে না যার ফলে তারা গর্ভবতী অবস্থায় যেকোনো খাবার খেয়ে পেট ভরে ফেলে কিন্তু প্রয়োজনীয় যে সকল খাবার হয়েছে যেমন কোন ফলমূল বা কোন শাকসবজিতে বেশি ভিটামিন রয়েছে সে সকল খাবার গুলো খায় না। এ বিষয়গুলো তো খেয়াল দিতে হবে।এবার আসি আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী অবস্থায় সহবাসের নিয়ম অবশ্যই আপনারা গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস করতে পারবেন কিন্তু তার কিছু নিয়ম রয়েছে।

গর্ভবতী অবস্থায় যদি সহবাস করতে চান তাহলে খুবই সাবধানে কারন এমন সময় বাচ্চাদের নানা রকম ক্ষতি হতে পারে কারণ যদি আপনি এমন সময় অনেক বেশি প্রেসার দিয়ে ফেলেন গর্ভবতী মাকে তাহলে বাচ্চার ব্রেনে আঘাত লাগতে পারে এবং বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় অনেক বাচ্চারা প্রতিবন্ধী হয় বা তাদের নানা রকম সমস্যা হয় ব্রেনের বিকাশ ঘটতে পারে না এটা ধারণা করা যায় যে সহবাসের সময় যদি মাকে অতিরিক্ত কষ্ট দেয়া হয় বা আঘাত দেয়া হয় তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হয়।

তাই আপনারা যদি গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস করতে চান তাহলে প্রথম তিন মাস এবং শেষে তিন মাসের মধ্যে অনেক সাবধানতার সাথে করতে হবে যেন কোন রকম কোন ক্ষতি বাঁচে এবং বাচ্চার মায়ের না হয়। তবে গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস না করাটাই সব থেকে ভালো, জানো কোন রকম কোন ক্ষতি বা না হয়।

আপনারা বাচ্চার মাকে যত বেশি যত্নে রাখবেন বাচ্চাও ঠিক তত বেশি ভালো হয়ে দুনিয়াতে আসতে পারবে সেই ক্ষেত্রে কোন রিক্স না নিয়ে বাচ্চাকে সঠিকভাবে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন। সব সময় খেয়াল রাখবেন গর্ভবতী মা সুস্থ আছে কিনা তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা এবং যেকোন সমস্যা হলেও দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা রাখবেন।

পারলে গর্ভবতী মায়ের দেখাশোনার জন্য কোন মানুষ রাখবেন কারণ অনেক সময় বাড়িতে কেউ থাকেনা বা খেয়াল রাখা হয় না সে ক্ষেত্রে যদি গর্ভবতী মায়ের লেবার পেন উঠে তাহলে দ্রুত যেন ডাক্তারের কাছে যায় সেদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন। গর্ভবতী অবস্থায় মা যতটা সুস্থ থাকবে ভেতরের বাচ্চা ততটা সুস্থ থাকবে এবং সুস্থ সবল ভাবে দুনিয়াতে আসতে পারবে অনেক বাচ্চা আছে যারা ইমিউনিটির অভাবে জন্মের পরে অনেকটা অসুস্থ থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *