ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোজা রাখা কি
![ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোজা রাখা কি](https://i0.wp.com/livedoctorlist.com/wp-content/uploads/2023/05/ওষুধ-খেয়ে-মাসিক-বন্ধ-করে-রোজা-রাখা-কি.jpg?resize=716%2C403&ssl=1)
ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোজা রাখা হারাম এবং এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য পেতে আমাদের এই লেখাগুলো পড়তে হবে। ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রেখে কোন সময় রোজা রাখা যাবে না কারণ স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিটা মেয়ে মানুষের এক মাস পর পর মাসিক হয় আর এই এক মাসের মধ্যে রোজা যদি পরে তাহলে কোন ভাবে ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখা যাবে না কারণ এটা হল হারাম কাজ।
যখন আপনার রোজার মধ্যে মাসিক হবে তখন অবশ্যই সে কয়টা রোজা আপনি পরে করে নিতে পারবেন কিন্তু কোন ভাবে ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রেখে যদি আপনি পুরো ৩০টা রোজা করেন তাহলে সেটা সম্পূর্ণ হবে না। কারণ ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রেখে কোন সময় রোজা করা উচিত নয় এতে অনেক বেশি পাপ হয়। মেয়েদের মাসিকের বিষয়টা আল্লাহ তায়ালা নিজে তৈরি করেছেন সে ক্ষেত্রে যদি আপনার রোজার মধ্যে মাসিক হয় তাহলে আপনি কিছুদিন রোজা বিরতি রাখতে পারেন সর্বোচ্চ সাত দিন হয়তো রোজা ভাঙ্গা পড়তে পারে।
এ সাত দিন সাতটা রোজা আপনি পরবর্তীতে করে দিতে পারেন কিন্তু ওষুধ খেয়ে কোনভাবেই মাসিক বন্ধ রাখা যাবে না। রোজার মধ্যে প্রত্যেকটা মেয়ে মানুষেরই রোজা ভাঙ্গা পরে কারো হয়তো বেশিদিন থাকে কারো আবার কোন দিন মাসিক থাকে। কিন্তু তার জন্য তো ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রেখে রোজা করা উচিত নয়।এ সকল বিষয়গুলো প্রতিটা মেয়ে মানুষের জানা উচিত কারন এই বিষয়গুলো অনেক বেশি খারাপ যখনই আপনি রোজার জন্য মাসিক বন্ধ রাখবেন তখন পরবর্তীতে আপনার নানা রকম সমস্যা হতে পারে।
যেমন যদি আপনি মাসিক বন্ধ রাখেন এবং পরবর্তীতে ওষুধ খাওয়ার জন্য যদি মাসিক আর না হয় তাহলে আপনি একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাবেন তার থেকে যেটা স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকে সেটা চলতে দিতে হবে। যদি আপনার খুব বেশি সমস্যা না হয় তাহলে আপনি কেন ওষুধ খেয়ে বন্ধ রাখবেন মাসিক রোজার মধ্যে। এটাতো একটি স্বাভাবিক নিয়ম প্রত্যেকটা মেয়ে মানুষই হবে সে ক্ষেত্রে কারোর ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখা উচিত নয় আপনি পুরো রোজার মধ্যে যে কয়টা ভাঙ্গা পড়বে আপনি পরের মাসে সেটা করে দিতে পারবেন।
তাই যারা হারাম বা হালাল বিবেচনায় আনেন তারা অবশ্যই এ বিষয়টা খেয়াল রাখবেন কারণ হারাম কাজকে আল্লাহ কখনোই প্রাধান্য দেয় না এবং সেটা মেনে নেয় না। তাই রোজার মধ্যে আমরা সকল হারাম কাজ থেকে দূরে থাকবো এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হালাল কাজ করব। যতটা পারি রোজা রাখব এবং যখনই মাসিকের জন্য রোজা ভাঙ্গা পড়বে তখন সেটা আমরা ওষুধের মাধ্যমে কখনোই ধরে রাখবো না। রোজা হল পবিত্র মাসে এই পবিত্র মাসে আমরা যত পারি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হারাম কাজ থেকে দূরে থাকবো এবং হালাল কাজ করার চেষ্টা করব।
যে সকল হালাল কাজ করলে আল্লাহ আমাদের ওপর খুশি হবেন এবং আমাদের উপসন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন সে সকল কাজগুলো আমরা বারবার করার চেষ্টা করব। রোজার মধ্যে আমরা আমাদের আশেপাশের গরীব দুঃখী মানুষদের সেবা করবো তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব এবং আমরা আল্লাহর কাছে অনেক অনেক ক্ষমা চাইবো আল্লাহ যেন আমাদের ক্ষমা করে দেয়। রোজার এই পবিত্র মাসে আমরা যেন কোনরকম মিথ্যা কথা না বলি কোনরকম পাপ কাজ না করি সকল পাপ থেকে দূরে থাকবো এবং আল্লাহ যেন আমাদের ক্ষমা করে দেয় সেটার চেষ্টা করব।
সেজন্য আমরা এই পবিত্র মাসে কখনোই হারাম কাজ করবো না আর যদি আপনি ওষুধের মাধ্যমে মাসিক বন্ধ রেখে পুরা ৩০ টা রোজা করেন তাহলে সেটা হারাম কাজের মধ্যে পড়বে সেজন্য আমরা এই ধরনের ভুল কাজ করবো না এবং চেষ্টা করব স্বাভাবিক নিয়মে রোজা রাখার।আল্লাহ তো নিজের থেকেই নির্দেশ দিয়েছেন মেয়েদের এই সমস্যা হলে অবশ্যই রোজা ভাঙ্গা যাবে সেক্ষেত্রে কেন আমরা আল্লাহর কথা অমান্য করে পাপ কাজ করব।