গর্ভবতী গাভীর খাদ্যের তালিকা

গর্ভবতী গাভীর খাদ্যের তালিকা টা জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ যখন একটি গাভী গর্ভবতী হয় তখন তাকে অনেক বেশি খাবার দিতে হয় কারণ যত বেশি আপনি গাভীকে খাবার দেবেন গাভীর পেটের বাছুরটা তত বেশি সুন্দর হবে সেজন্য গাভীর যত্ন অনেক বেশি নিতে হয়।

গর্ভবতী গাভীর খাদ্যের তালিকা একটি ভিন্ন রকম হয় কারণ তার খাদ্যের তালিকা তে এমন কিছু খাবার রাখতে হয় যাতে দেশের সম্পূর্ণ পুষ্টি একসাথে পায় এবং তার সেই পুষ্টি পাওয়ার কারণে তার বাসর যেন অনেক বেশি সুন্দর হয়। গর্ভবতী গাভীকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হলেও খাদ্যের উপর নির্ভর করে অনেকখানি কারণ যখন আপনি সঠিক খাবার একটি গাভীকে দিবেন তখন গাভীটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং তাকে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগবে।

যখন কোন একটি মানুষ একটি গাভীকে পালন করতে শুরু করে তখন তাকে সঠিক পরিমাণের খাদ্য দিতে হয় কারণ গাভী থেকে অনেক বেশি লাভ হয় আপনাদের যেমন দুধ পাওয়া হয় সে দুধ বিক্রি করে অনেক টাকা পান আপনারা। আবার গাভীর পরিচর্যা যদি সঠিকভাবে করেন তাহলে গাভীর থেকে যে বাচ্চাটা হবে সেখান থেকেও আপনারা অনেক বেশি টাকা পাবেন সেজন্য একটু কষ্ট করে হলেও গর্ভবতী অবস্থায় গাভীকে সঠিকভাবে পরিচর্যা এবং সঠিক খাদ্য দিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় আপনি যা যা খাবার গাভীকে খাওয়াবেন তা হল গাভীকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ কেজি সবুজ ঘাস খাওয়াবেন। কারণ গাভীর সব থেকে পছন্দের খাবার হল সবুজ ঘাস যখন আপনি সবুজ ঘাস গাভীকে খাওয়াবেন তখন তার পুষ্টি বেশি হবে এবং গাভি সবুজ ঘাস খেতে বেশি পছন্দ করে যার ফলে সে রুচি সমৃদ্ধ ভাবে সে ঘাসটি খাবে। এরপরে তিন থেকে চার কেজি খর দিতে হবে খড় গাভীর অনেক পছন্দ সেজন্য গাভীদের যেমন খাবার তেমন খাবার দিতে হবে ঘর যদি আপনি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কেজি দেন তাহলে বুঝতে হবে যে গাভী পেট ভরে খাচ্ছে।

দুই থেকে তিন কেজি দানাদার খাদ্য একসঙ্গে মিশে খাওয়াতে হবে আপনি গাভীকে যত বেশি দানাদার খাদ্য দিবেন গাভীর দুধ তত বেশি হবে সেজন্য গাভীর খাবারে কোনরকম কোন কমতি রাখা যাবে না। যখন একটি গাভী গর্ভবতী হবে তখন সব দিক দিয়েই তা নজর রাখতে হবে এবং গর্ভবতী অবস্থায় গাভীর দুধ অনেক বেশি হয় সেজন্য তাকে পরিপূর্ণ খাবার দিতে হবে যেন কোন রকম কোন অপূর্ণতা তার মধ্যে না থাকে। গাভীকে পর্যাপ্ত পরিমাণের ক্যালসিয়াম প্রোটিনযুক্ত কিছু খাবার দিতে হবে যা দানাদার খাদ্যের মধ্যে রয়েছে এবং যখন নিয়মিত সে দানাদার খাদ্য খাবে তখন তার সকল পুষ্টি পাবে সে।

দানাদার খাদ্য খাবারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু উপাদান রয়েছে যেমন শুধুমাত্র দানাদার খাদ্য বলতে কি কি বোঝায় এটা কিন্তু অনেকে জানে না। তাই দানাদার খাদ্য বলতে যে সকল জিনিসগুলো মিশ্রিত করে দানাদার খাদ্য তৈরি করা হয় তা হল গমের ভুসি এক কেজি। তার সাথে খেসারি ভাঙ্গা এক কেজি এবং খোল ২৫০ গ্রাম। তারপরে এর সাথে মিশাবেন চাউলের গোড়া ৫০০ গ্রাম আরব হিসেবে চিটাগোর ২৫০ গ্রাম। খনিজ মিশ্রিত মিশ্রণ ৫০ গ্রাম এবং লবণ ৫০ গ্রাম।

যখন আপনি এই সবকটা উপাদান একসাথে মিশ্রিত করবেন তখন হবে একটি দানাদার খাদ্য তৈরি আর এ দানাদার খাদ্য যখন আপনি গাভীকে নিয়মিত খাবেন তখন তার শরীরের সকল পুষ্টি যাবে এবং যখন সে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাবে তখন তার পেটের বাচ্চাটা অনেক বেশি পুষ্ট হবে ও সুন্দর হবে। সেজন্য যারা গরু পুষেন বা গাভী পুষেন তারা একটু কষ্ট হলেও গাভীদের ওপর বিশেষ নজর রাখবেন এবং তাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

আর যদি আপনাদের ঘরে অনেক বেশি গরু থাকে তাহলে তো তাদের সকলকে একইভাবে পরিচর্যা করতে হবে সেজন্য এই ধরনের খাদ্য তালিকাগুলো জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন। গর্ভবতী একটি গাভীকে যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার না দেন তাহলে তার পেটের বাচ্চাটি অনেক বেশি অপসিতায় ভুগে বা বাচ্চাটা বড় হতে অনেক বেশি সময় লাগে। আমাদের এই তালিকা থেকে আপনারা যা বুঝতে পেরেছেন তা খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন আশা করছি আপনাদের গাভী অনেক বেশি ভালো থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *