চোখের এলার্জি দূর করার ওষুধ

চোখের এলার্জি দূর করার ওষুধের নাম জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে হবে এবং আমাদের এখান থেকে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে হবে তাহলে আপনাদের চোখের যে কোন সমস্যার জন্য কি করতে হবে তা আপনারা জানতে পারবেন। চোখের সমস্যা অনেক জটিল সমস্যা তাই চোখের সঠিকভাবে যদি চিকিৎসা না করা হয় বা সঠিকভাবে মেডিসিন ব্যবহার না করা হয় তাহলে কিন্তু এই সমস্যাগুলো একেবারে ভালো হয় না।

তাই আপনাদের যাদের চোখের এলার্জি রয়েছে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলার্জি সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে দেখবেন যে আপনাদের এলার্জি একেবারে দূর হয়েছে। এলার্জি দূর করার জন্য সবসময় ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না আমরা আপনাদের হাতের আশেপাশের এমন কিছু জিনিসের বিষয়ে বলব যেগুলো ব্যবহার করলে আপনাদের অ্যালার্জি তখনই ভালো হয়ে যাবে।

এলার্জি দূর করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে কারণ ঠান্ডা পানি এলার্জির জন্য অনেক বেশি কাজ করে। ওই যে কথায় আছে পানির অপর নাম জীবন ঠিক তেমনি যখন আপনার অ্যালার্জি হবে চোখে তখন অবশ্যই আপনার পানির প্রয়োজন পড়বে। যখন বুঝতে পারবেন যে আপনার চোখে এলার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বা এলার্জি শুরু হয়েছে তখন অবশ্যই ঠান্ডা পানি ঝাপটা চোখে দেবেন এতে করে আপনার চোখের জীবাণু কেটে যেতে পারে এবং চোখ অনেকটা আরাম পাবে।

এলার্জি দূর করতে হলে প্রথমে জেনে নিতে হবে কি কি কারণে এলার্জি হচ্ছে কারণ অনেক কারণ এলার্জি হতে পারে অনেক সময় কারো খাবারের কারণে এলার্জি হয় অনেক সময় চোখে ধুলাবালি অ্যালার্জি হয় আবার অনেক সময় এমন কিছু বস্তু আছে যেগুলো স্পর্শ করলে এলার্জি শুরু হয়ে যায়। তাই আপনার যদি এলার্জি থাকে তাহলে আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই সকল জিনিসগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে যেগুলোতে এলার্জি শুরু হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া যখন আপনার এলার্জি শুরু হবে তখন আপনি ঠান্ডা পানি চোখে দেবেন এবং তার পাশাপাশি ঠান্ডা পানি দিয়ে কোন কাপড় ভিজিয়ে চোখের উপর রেখে দেবেন এতে করে চোখের জ্বালাপোড়াটা অনেকটা কমবে। এলার্জি শুরু হলে সাধারণত মানুষের চোখ অতিরিক্ত চুলকাতে শুরু করে এবং চোখ লাল হয়ে থাকে ও চোখ ফুলে যায় ও চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে তাই যখন আপনি ঠান্ডা পানি দিবেন তখন এই সব কিছুই একটু করে কম হবে।

এরপরে আপনি শসা গোলমাল করে কেটে চোখের উপরে দিয়ে রাখতে পারেন এতে করে চোখের ফোলা অংশ কমে যাবে এবং চোখের চুলকানো কমবে তাই শসার উপকারটা অনেক বেশি। তবে এলার্জি কমানোর জন্য গোলাপজল খুবই দ্রুত কাজ করে তাই আপনারা সবসময় নিজেদের কাছে গোলাপজল রাখবেন এবং যখন আপনার অ্যালার্জি শুরু হয়ে যাবে তখন এলার্জি কমানোর জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করবেন।

এলার্জি হওয়ার পরে চোখে দুই থেকে তিন ফোটা গোলাপ জল দিবেন দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখবেন কারণ যদি গোলাপ জলের ফোটা চোখ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেটা ভালো মতো কাজ করবে না সেজন্য চোখ বন্ধ করে রাখবেন যেন গোলাপ জলটা চোখের মধ্যেই থাকে। তাহলে দেখবেন যে এটা কত দ্রুত কাজ করে এবং কত তাড়াতাড়ি আপনার এলার্জি সকল জীবনে ও চোখ থেকে দূর করে দেয়। এরপরও এলার্জি কমানোর জন্য লবণ পানি অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।

পানির মধ্যে কিছুটা লবণ মিশিয়ে গরম করতে থাকুন এবং তারপরে সে পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার তুলা দিয়ে চোখ ভালোভাবে মুছতে থাকুন। এতে করে আপনার চোখের মধ্যে যে সকল জীবাণুগুলো রয়েছে সেগুলো বের হয়ে যাবে এবং চোখ চুলকানো ও লাল হাওয়া থেকে মুক্তি পাবেন। আশা করছি এ সকল কাজগুলো করলে আপনারা এলার্জি থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন এবং আপনাদের ওষুধ যদি কাছে না থাকে তারপরও এই জিনিসগুলো ফলো করতে পারলে আপনাদের এলার্জি ভালো হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *