মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ

মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ রয়েছে নির্দিষ্ট একটি বয়সীমার পরে প্রতিটা মেয়েদেরই মাসিক বন্ধ হয়ে যায় সেই সময় কিন্তু অনেক লক্ষণ দেখা দেয়। অনেক সময় অনেক মানুষের লক্ষণ গুলো বুঝতে পারে না যার ফলে তারা নানারকম অস্বস্তির মধ্যে ভোগে আবার অনেক সময় হঠাৎ করে যখন কেউ দেখে যে তাদের মাসিক বন্ধ হয়েছে তখন কিন্তু তারা টেনশনে পড়ে যায়।

তাই এ বিষয়ে জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত। আপনারা যারা মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যা নিয়ে রয়েছেন তারা অবশ্যই এই লেখাগুলো ভালো করে পড়বেন তাহলে খুব সুন্দর মত সবকিছু বুঝতে পারবেন আসলে কোন বয়সের পরে কি হয়। মেয়েদের বয়সন্ধিকাল থেকে মাসিক শুরু হয় আর একেবারে শেষ বয়স পর্যন্ত এটা চলতে থাকে তবে কিছু কিছু সময় কারো আগে হয় আবার কারো পরে হয়ে যায়। তবে যখন মাসিক বন্ধ হয় সেটাকে বলা হয় মেনোপজ আর মেনোপজ হলে কিন্তু নানারকম শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয় আবার নতুনভাবে।

৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে কিন্তু মেনোপজ হয় আর যখনই মেনোপজ হয় তখন কিন্তু শারীরিক পরিবর্তন সহ অনেক কিছু লক্ষণ বোঝা যায়। যাদের বয়স এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে তারা অবশ্যই খেয়াল করবেন আপনাদের মত এই লক্ষণগুলো বোঝা যাচ্ছে কিনা যখন এই লক্ষণ গুলো আপনাদের মধ্যে বোঝা যাবে তখনই ভাববেন যে আপনার হয়তো মাসিক একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

একবার যখন মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে তখন কিন্তু আর আপনি কোনভাবেই মা হতে পারবেন না মানে আপনার বয়স পর্যন্ত শেষ মা হওয়ার। তাই আপনারা যারা এমন বয়সের মধ্যে চলে গেছেন তারা একটু খেয়াল করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আপনাদের মধ্যে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেগুলো কিসের জন্য।

অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যাদের বিয়ে হতে অনেকটা সময় লেগে যায় মানে তারা বিয়ে করে দেরিতে কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের দেরিতে বিয়ে করার কারণে বাচ্চা হতে চাই না আবার কিছুদিন পরে তাদের মেনোপজ হয়ে যায়। যখনই আপনাদের মেনোপজ হবে তখনই ভাববেন যে আপনি চিরদিনের জন্য মা হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক সময় মাসিকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য মানুষের জরায়ু কেটে ফেলা হয় আর যখনই মানুষের জরায়ু কেটে ফেলা হয় তখনই কিন্তু সেই মানুষটা আর কখনোই মা হওয়া সম্ভাবনা রাখে না বা তার আর কখনোই মাসিক হবে না।

যখন আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তখন যে লক্ষণ গুলো আপনারা খেয়াল করবেন। মেজাজ অতিরিক্ত খিটখিটে লাগবে আপনি যতই নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবেন না কেন আপনার মেজাজ কোন সময় ঠিক থাকবে না। আশেপাশে যত মানুষ আছে তাদের সাথে আপনার ভালো আচরণ হবে না কারণ আপনার নিজের যখন খারাপ থাকবে তখন আপনার

সামনে যে কোন কথার উনিশ-বিশ হলে আপনি তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতে শুরু করবেন। এই সময় জরায়ু একেবারে শুকনা থাকবে মানে আপনাদের যে স্বাভাবিক সময় সাদাস্রাব হয় মেনোপজের সময় কিন্তু সেই সাদা স্রাব আর দেখা যাবে না। অনেক সময় প্রসব আটকে রাখার নিয়ন্ত্রণ থাকেনা।

আপনার যখনই মনে হয় যে আপনার প্রস্রাব করা প্রয়োজন ঠিক তখনই যদি আপনি সেটা না করেন তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে আপনাদের কাপড় নষ্ট হয়ে যেতে পারেন। মানে এই সময়টাতে কোনরকম নিয়ন্ত্রণ নিজের শরীরের উপর থাকেনা। অনেক সময় শরীর অনেক দুর্বল দেখায় কারণ এটা শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় থাকে যখনই এটা বন্ধ হয়ে যায় তখনই কিন্তু শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

আশা করছি আপনারা খুব ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি আর আপনারা যারা বুঝতে পারছেন এই লক্ষণ গুলো আপনাদের মধ্যে রয়েছে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মেনোপোজ হয়ে যাবে এটা বোঝা যায়। তবে যদি এমন লক্ষণ দেখেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন কারন বয়সের আগে যদি মেনোপজ হয়ে যায় সেটা ডাক্তারের কাছে গেলে ঠিক করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *