চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া

চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চারা কিছুটা নড়াচড়া করবে কারণ এই সময় বাচ্চাটা অনেকটাই বড় হয়ে যায় কিন্তু এই সময় আপনাকে আরো বেশি সতর্কতার সাথে থাকতে হবে। যখন আপনার চার মাস হবে তখন অবশ্যই আপনার বাচ্চাটার কিছু কিছু অংশ তৈরি হবে পেটের মধ্যে এবং সে বাচ্চাটা হালকা পাতলা নড়াচড়া শুরু করবে কিন্তু এই সময় আপনাকে এতটা সতর্কতার সাথে চলতে হবে যেন কোন রকম কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।

চার মাস পর থেকে বাচ্চা তার অঙ্গ পতঙ্গ তৈরি করতে শুরু করে তবে এই সময় আপনাকে খাদ্য তালিকা ঠিক রাখতে হবে এবং আপনাকে অনুভব করতে হবে যে আপনার বাচ্চা নড়াচড়া করছে কিনা এবং আপনার বাচ্চা সুস্থ আছে কিনা। যে সকল মহিলাদের প্রেগন্যান্ট হবার পরে নানারকম জটিলতা বেড়ে যায় তারা অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং এই সময় আপনাকে নির্দিষ্ট কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে যদি কোন জটিলতা থাকে তাহলে।

এ সময় আপনাকে যদি ডাক্তার বেড রেস্টে থাকতে বলে তাহলে বেড রেস্ট থাকবেন আর তা না হলে অবশ্যই আপনাকে চলাফেরা হাটা এমন ভাবে করতে হবে যেন আপনার বাচ্চা আপনার পেটের মধ্যে অনেক ভালোভাবে থাকতে পারে এবং নড়াচড়া করার জায়গা পায় বা সময় পায়। তবে এই সময় যদি আপনি বেশি পরিশ্রম করতে শুরু করেন তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হবে কারণ এই সময়টা কেবল আপনার বাচ্চার মধ্যে কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হওয়া শুরু হয় যদি আপনি এই সময়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে থাকেন বা এমন কিছু আঘাত জনিত কাজ করতে থাকেন যাতে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হয়ে যাবে সেজন্য আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সাবধানতার সাথে চলতে হবে এই সময়টা।

চার মাসে আপনার বাচ্চা কেমন নড়াচড়া করবে সেটা আপনি বুঝতে পারবেন কারণ এই সময়টা অনেক হালকা ভাবে নড়াচড়া করবে বাচ্চারা। এটা শুধুমাত্র একটি গর্ভবতী মা অনুভব করতে পারবে এ বাচ্চাটা নড়াচড়া এবং আপনি যেভাবে চলাফেরা করবেন আপনার বাচ্চাটা ঠিক সেভাবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকবে। তবে বাচ্চাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে হলে আপনাকে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে এবং সঠিক সময়ে সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। চার মাস বয়স থেকে আপনি নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের কাছে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে পারেন কারণ তখন যদি আপনি ডাক্তারের কাছে যান তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চার হার্টবিট তৈরি হয়েছে কিনা।

চার মাস বয়সও আপনার পেট খুব একটা বড় হবে না তবে হালকা কিছুটা বড় হবে যেটা দেখলে আপনাকে প্রেগন্যান্ট মনে হবে। বাচ্চা কনসিভ করা থেকে শুরু করে পুরো নয় মাস একটি মহিলার জন্য অনেক বড় জার্নি হয়ে থাকে এই সময় নানারকম সমস্যা দেখা দেয় এবং নানা রকম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় একটি মেয়েকে তারপরে পৃথিবীতে আসে একটি বাচ্চা। এ সময় মহিলাদের নানারকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন অনেক সময় গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস দেখা দেয় আর যখনই একটি মেয়ের ডায়াবেটিস দেখা দেয় তখন সে ভালোমতো খাবার খেতে পারে না এবং নিয়মিত তাকে মেডিসিন গ্রহণ করতে হয়।

কারণ ডায়াবেটিস শুরু হলে তো হাঁটাচলা করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায় বাচ্চা পেটে থাকলে সে জন্য নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় এবং খাদ্য তালিকা গুলো সব আলাদা হয়ে যায়। গর্ভকালীন অবস্থায় তো মেয়েদের প্রচুর খেতে হয় এবং মনে যা চায় তাই খেতে দিতে হয় কিন্তু এমন সময় যদি ডায়াবেটিস দেখা দেয় তাহলে কিছু কিছু খাদ্য তালিকা ভিন্ন হয়ে যায় এবং আলাদাভাবে তাদের খাবার দিতে হয়।

এজন্য এই সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে এবং চার মাস বয়সী আপনার বাচ্চা কতটা নড়াচড়া করছে সেটা আপনি আল্টাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। এই সময়টায় আপনি খুব বেশি অনুভব করতে পারবেন না যে আপনার বাচ্চাটা অনেক বেশি নড়াচাড়া করছে বা কেমন নড়াচড়া করছে সেজন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং আল্টাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে হবে যে আপনার বাচ্চাটা কেমন আছে এবং সুস্থ আছে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *