নয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া

নয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চারা অনেক বেশি নড়াচাড়া করে এবং তারা প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুক্ষণ পরপর নড়তে থাকে আর এই নড়াচড়া দেখে বুঝতে হবে যে আপনার বাচ্চা সুস্থ আছে এবং স্বাভাবিক আছে তার কোন সমস্যা হচ্ছে না। নয় মাসের বাচ্চারা পরিপূর্ণ বাচ্চা হয়ে যায় এবং এই নয় মাসে তাদের দুনিয়াতে আসার সময় হয়ে যায় এই সময় তারা অনেক বেশি নড়াচড়া করতে থাকে।

বাচ্চাদের নড়াচড়া দেখে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার বাচ্চাটা কতটা সুস্থ রয়েছে কারণ যদি তারা নয় মাস বয়সে নড়াচড়া কম করে বা নড়াচড়া করতে চায়না তাহলে বুঝতে হবে যে তার ভেতরে কোন সমস্যা হচ্ছে। শুধুমাত্র বাচ্চা সুস্থ আছে এটা বোঝার একটি মাত্রার উপায় তা হলো বাচ্চার সঠিকভাবে নড়াচড়া করা যদি আপনারা বাচ্চার নড়াচড়া বুঝতে না পারেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অনেক সময় পেটের মধ্যে পানি শুকিয়ে যায় এবং এই পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বাচ্চাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হয় বা তারা নড়াচড়া কম করে ফেলে যার ফলে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যায় আর এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চাদের সিজারের মাধ্যমে তুলে নিতে হয়।

আবার অনেক সময় অক্সিজেনের অভাব হলে বাচ্চারা শ্বাস নিতে পারে না এবং মা যদি বেশি টেনশন করে তাহলে বাচ্চাদের নাড়াচড়া কমে যায় কারণ তারা শ্বাস নিতে পারে না সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মাকে অক্সিজেন দিতে হবে যখনই মা অক্সিজেন পাবে পরিপূর্ণভাবে তখনই বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে বা বাচ্চা নড়াচড়া শুরু করে দেবে আবার আগের মত। তাই নয় মাসে পড়ার পর থেকে মাকে আরও বেশি সাবধানতার সাথে দিন পার করতে হবে কারণ এমন সময় কোন রকম টেনশন নেয়া যাবে না এমন সময় সঠিক পরিমাপের ঘুমাতে হবে এবং সঠিক পরিমাণের পানি পান করতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত পানি পান করলে আবার ক্ষতিও হতে পারে।

তাই নয় মাসের পর থেকে বাচ্চারা সঠিকভাবে অক্সিজেন পাচ্ছে কিনা এবং সঠিকভাবে বাচ্চার মা খাদ্য গ্রহণ করছে কিনা এই সকল বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এবং নয় মাসের বাচ্চার মাকে হাটাহাটি করতে হবে যেন কোন রকম জটিলতা ছাড়া নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয়। বর্তমানে বেবি কন্সিল হওয়ার পর থেকে মানুষের প্রবলেম লেগে থাকে আর এই সকল সমস্যার জন্য ডাক্তাররা তাদের বেড রেস্ট সাজেস্ট করে যার ফলে তারা বেড থেকে কোন কিছু করতে পারে না কোন কাজ করতে পারে না। তবে এমন শারীরিক কোন জটিলতা না থাকলে অবশ্যই হালকা পাতলা কিছু কাজ করতে হবে গর্ভবতী মায়েদের কারণ তারা যত বেশি কাজ করবে তাদের শরীর তত বেশি চলতে থাকবে যার ফলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় তাদের সুবিধা হয়।

এ সকল বিষয়গুলো অনেকেই জানে না না জানার কারণে বসে থাকে বা নড়াচড়া কম করে যার ফলে নরমালে ডেলিভারি হয় না  সিজার করতে হয়। তবে বর্তমানে সিজার সবাই করে আর যখন আপনি ভালো কোন ডাক্তারকে দিয়ে সিজার করাবেন তখন কোন সমস্যা নাই কারণ আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকলে মা সুস্থ থাকবে। যেকোনো ধরনের কোন জটিলতা এড়িয়ে যখন আপনি আপনার বাচ্চাকে সুস্থভাবে দুনিয়াতে আনতে পারবেন তখন সকল কষ্ট দূর হয়ে যাবে সেজন্য আপনাকে এই নয় মাস অনেক বেশি কষ্ট করতে হবে আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য।

নয় মাসের বাচ্চারা পরিপূর্ণভাবে একটি মানুষ হয়ে যায় এবং তখন তারা হাত-পা ছোড়াছড়ি করে এবং নড়াচড়া করতে থাকে পেটের মধ্যে। নয় মাস একেবারে পারফেক্ট সময়ে একটি বাচ্চার জন্মগ্রহণ দেয়ার জন্য এই সময়টা নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যেমন হঠাৎ করে পেন উড়তে পারে যখন লেবার পেন উঠবে তখন যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখতে হবে। অনেক সময় অনেকেই নরমালে চেষ্টা করায় এবং নরমালে না হলে তারপরে সিজারে যায় তাই সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *