সাত মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া

সাত মাসের গর্ভবতী বাচ্চারা অনেক বেশি নড়াচাড়া করবে কারণ এই সাত মাসে তারা পরিপূর্ণ একটি ছোট বাচ্চা তৈরি হয়ে যায়। এই সময় বাচ্চাদের হাত-পা নাক কান চোখ মুখ সবকিছুই তৈরি হয়ে যায় এবং তাদের স্বাভাবিকভাবেই হার্টবিট বাড়তে থাকে। তাই সাত মাসের গর্ভবতী বাচ্চারা অনেক বেশি নড়াচড়া করে ও তারা স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন নড়াচড়া করে যেটা একটি মা অনুভব করতে পারে এবং সঠিকভাবে বুঝতে পারে যে তার বাচ্চারা সুস্থ আছে।

অনেক সময় মায়েদের জটিলতার জন্য ৭ মাসে বেবিদের উঠিয়ে নেওয়া হয় সিজার করে কারণ এই সাত মাসে বেবিরা পরিপূর্ণ একটি বাচ্চা হয়ে যায় সে সময় যদি তাদের সিজার করে তুলে নেয়া হয় তাহলে তারা সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তবে সাত মাসের বাচ্চাদের ওজন খুব কম হয় কারণ তারা তাদের হাতমুখ নাক কান সবকিছু তৈরি হলেও তাদের গ্রোথ বৃদ্ধি পায় না গ্রোথ বৃদ্ধি পেতে তাদের পুরোপুরি নয় মাস সময় লাগে।

মায়ের ওজন যতই বেশি হোক মা যতই শক্তিশালী হোক না কেন আর সাত মাসের বাচ্চাদের গ্রোথ অনেকটা কম হয় সেজন্য পরিপূর্ণ সময় অনুযায়ী বা ৪২ সপ্তাহ পর্যন্ত অবশ্যই বাচ্চাদের পেটের মধ্যে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৪২ সপ্তাহের আগে বাচ্চা তুলে নেয়া যায় কিন্তু পরিপূর্ণতা আসে না সেজন্য সাত মাস বয়সী বাচ্চাদের নড়াচড়া অনেক বেশি থাকে তবে তারা পরিপূর্ণভাবে গ্রোথ বৃদ্ধি করে বড় হতে পারে না। অনেক সময় সাত মাসের বাচ্চাদের জন্ম গ্রহণের পর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় কারণ তাদের ওজন অনেক কম থাকে যার ফলে তাদের শরীরে ইমিউনিটি শক্তি কম থাকে।

সেজন্য যখন একটি মা বুঝতে পারে সে প্রেগন্যান্ট তখন থেকে তার বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য তাকে পরিপূর্ণ খাবার খেতে হবে এবং নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে যেন তার বাচ্চাটা যে কোন সমস্যা হলে সিজার করে তুলে নিলে যেন সুস্থ থাকতে পারে। যে সকল মায়েদের জটিলতা দেখা দেয় গর্ভকালীন অবস্থায় তাদের আরো বেশি যত্নশীল হতে হয় কারণ যে কোন সময় তাদের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বা যেকোনো সময় তাদের বাচ্চা তুলে নিতে হতে পারে সে ক্ষেত্রে যদি সে পুষ্টি জনিত খাবার খায় এবং সে যদি সঠিকভাবে থাকে তাহলে ওই সময় তার বাচ্চা গ্রোথ ভালো হবে।

শুধু বাচ্চা জন্মগ্রহণ দেয়াটাই কথা নয় অনেক কষ্ট করতে হয় একটি মাকে একটা বাচ্চা জন্মগ্রহণ দিতে হলে। অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে একটি মাকে বাচ্চার সবকিছু খেয়াল রাখতে হয় এবং বাচ্চার অনুভূতি অনুভব করতে হয়। অনেকেই আছে যারা প্রথম বেবি কনসিভ করে তারা কোনভাবে বুঝতে পারে না বেবির নড়াচড়া বা বেবির অনুভব টা কেমন হবে তবে তারা যদি একটু ঠান্ডা মাথায় খেয়াল করে তাহলে দেখবে যে সাত মাস বয়সে বাচ্চা অনেক বেশি নড়াচড়া করছে।

সাত মাস বয়সে বাচ্চার এত বেশি নাড়াচড়া করে যে বাইরে থেকেও কেউ যদি অনুভব করতে চায় তাহলে গর্ভবতী মায়ের পেটে হাত দিয়ে সেটা বুঝতে পারে যে বাচ্চাটা নড়াচড়া করছে। আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে আপনাকে বুঝতে হবে বাচ্চা যত বেশি নড়াচাড়া করবে তত বেশি সুস্থ আছে এটা বুঝে নিতে হবে যখনই আপনার বাচ্চা নড়াচড়া কমিয়ে দেবে বা নড়াচড়া করবে না বুঝতে পারবেন ঠিক তখনই ডাক্তারের কাছে জানতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিজ্ঞাসা গ্রহন করতে হবে।

তবে প্রেগনেন্ট হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ডাক্তার দেখানো পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে ও নিয়মিত আলট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চা কতটা সুস্থ আছে কতটা নড়াচড়া করছে। এই অবস্থায় আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে কারণ বাচ্চার তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন আপনি পুষ্টিকর খাবার খাবেন কারণ আপনি যত বেশি খাবার খাবেন আপনার বাচ্চার ইমিউনিটি তত বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং আপনার বাচ্চা সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *