ছয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া

ছয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চারা অনেক বেশি নড়াচড়া করবে এবং ছয় মাসে একটি বাচ্চার পরিপূর্ণ অঙ্গ তৈরি হয়ে যায় এবং হার্টবিট পরিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ছয় মাসে বাচ্চারা যে নড়াচড়া করবে এটা অবশ্যই বাচ্চার মা বুঝতে পারবে কারন এই নড়াচড়া টা অনেকটা জোরে হবে এবং স্বাভাবিকভাবেই হবে।

একটি বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকবে তখন অবশ্যই একটি মা বুঝতে পারবে যে তার বাচ্চাটা সুস্থ আছে কিনা কারণ ৬ মাসের পর থেকে বা ছয় মাস থেকে বাচ্চাটা এত সুন্দর ভাবে নাড়াচড়া করতে থাকবে যে বাচ্চার মা নড়াচড়া দেখে বুঝতে পারবে তার বাচ্চা স্বাভাবিক আছে এবং সুস্থ আছে। তবে যখনই হঠাৎ করে বাচ্চা নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাবে বা বাচ্চার কোন সমস্যা হবে তখনই সে নড়াচড়া বন্ধ করে দিবে তখন দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে বাচ্চা কেমন আছে সুস্থ আছে কিনা।

প্রতিটা গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখা কারণ যখন আপনি আলোচনাগ্রাফি করবেন তখন বাচ্চার হার্টবিট থেকে বাঁচা নড়াচড়া সবকিছুই আপনি দেখতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন খুবই সহজে। একটি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার এত বেশি সহজ নয় পুরা নয় মাসের অনেক কষ্টের একটি জার্নি শেষ হয় একটি মায়ের একটি বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য। আর এই নয় মাসে বাচ্চার মাকে অনেক কিছু কষ্ট সহ্য করতে হয় অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে বাচ্চাটাকে দুনিয়াতে নিয়ে আসতে হয় সেজন্য যে কোন সমস্যা হলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

পেটের মধ্যে বাচ্চা কেমন আছে কিভাবে বুঝবেন তার একটি মাত্র উপায় হচ্ছে আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং বাচ্চার নড়াচড়া উপলব্ধি করা। যখন বাচ্চার মা সঠিকভাবে বুঝতে পারবে তার বাচ্চা নড়াচড়া করছে তখন বুঝে নিতে হবে তার বাচ্চা সুস্থ আছে এবং প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে বাচ্চা নড়াচড়া করবে কিছুক্ষণ পর পর আবার যখন বাচ্চার শারীরিক পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং বাঁচা বড় হতে থাকবে তখন তার নড়াচড়া বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এই সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে বোঝা যাবে যে বাচ্চা সুস্থ আছে এবং স্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে।

বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেমন খাদ্যের তালিকা সঠিকভাবে মেন্টেন করতে হবে এবং এমন কিছু কাজকাম রয়েছে যেগুলো কখনোই করা যাবে না প্রেগন্যান্ট অবস্থাতে। প্রেগনেন্ট অবস্থাতে ভারি কোন জিনিস ছাড়া যাবে না এবং একেবারে শুয়ে বসে থাকা যাবে না হালকা কিছু কাজ করতে হবে তবে কাজের ধরন আছে ভিন্নধর্মী যদি আপনি একেবারে শুয়ে বসে থাকেন তাহলে বাচ্চার ভিতরে নড়াচড়া করবে কিন্তু একটু কম করবে।

প্রেগনেন্ট অবস্থায় যদি আপনার কোন সমস্যা না থাকে আর আপনি যদি একেবারে কোন কাজ কাম বা নড়াচাড়া কম করেন তাহলে বাচ্চাটি স্বাভাবিক থাকলেও আপনার নরমাল ডেলিভারি হতে অনেকটা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যখন প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আপনি সুস্থ থাকবেন এবং বেশি বেশি নড়াচড়া করবেন বা হাঁটাহাঁটি করবেন তখন আপনার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি কারণ আপনার শারীরিক অবস্থা যাতে ভালো থাকে এবং আপনি যদি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে দেখা যাচ্ছে নরমাল ডেলিভারি হতে বেশি সময় লাগে না।

একটি মায়ের পক্ষে নরমাল ডেলিভারি হওয়া অনেক কষ্টকর কিন্তু নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পরে সেই মাটা সারা জীবনের জন্য সুস্থ থাকতে পারে কিন্তু যখনই আপনারা সিজার করবেন তখনই একটু সমস্যা দেখা দেয় তবে সিজার করলেও বর্তমানে অনেক ভালো থাকা যায়। নরমাল ডেলিভারি বা সিজার করে ডেলিভারি এটা কোন ব্যাপার নয় বাচ্চা সুস্থ এবং মা সুস্থ থাকলে সবকিছু ভালো সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে প্রত্যেকটা বিষয়ে। আর ছয় মাসের বাচ্চা নড়াচড়া টা বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে কারণ আপনার বাচ্চা তখন থেকে বেশি বেশি নড়াচড়া শুরু করতে থাকবে একবারে শেষ সময় পর্যন্ত এবং এই বিষয়গুলো আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে খেয়াল রাখতে হবে নিয়মিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *