মাসিক হলে কোন কোন কাজ করা যাবে না
মাসিক হলে যে সকল কাজগুলো করা যাবে না সে সকল কাজের তালিকা আমরা তৈরি করেছি আপনারা যারা জানেন না যে কোন কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ওই কাজগুলো যারা করে ফেলেন তাতে তাদের শারীরিক অবস্থা কতটা খারাপ হতে পারে সে বিষয়ে আজকে আমরা জানাবো।
এ বিষয়গুলো জেনে রাখা সবার প্রয়োজন কারণ প্রতিটা মেয়ে মানুষের প্রতি মাসে কিন্তু মাসিক হয় আর আপনারা যারা না জেনে ওই ধরনের কাজগুলো করতে থাকেন তাতে আপনাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ যে মানুষের জড়ায়ুতে টিউমার হচ্ছে জরায়ুতে ক্যান্সার হচ্ছে কিন্তু এটা কেন হচ্ছে অনেকেই জানে না অনেকে এভাবে হয়তো অন্য কোন সমস্যার জন্য এগুলো হচ্ছে কিন্তু না অনেক সময় মাসিকের কারণেও কিন্তু এমন সমস্যা হয়ে থাকে।
তাই যখন আপনারা সঠিক ভাবে জানতে পারবেন যে মাসিক হলে কোন কোন কাজ করা যাবে না তখনই বুঝতে পারবেন যে আপনার আপনাদের জীবনে কতটা ভুল করেন মাসিকের সময়। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই মাসিকের সময়টাতে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এই সময়টা একটি সেনসিটিভ সময় এই সময়টা হয়তো যখন হয় তখন কোন সমস্যা দেখা দেয় না কিন্তু পরবর্তীতে ওখান থেকেই আরো নানারকম সমস্যার তৈরি হয়ে যায়।
মানুষের শরীরে রোগ কিন্তু নিয়ম করে হয় না কিন্তু মাসিক নিয়ম করে হয় সেজন্য এ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং এ বিষয়ে সকল সমস্যাকে জানতে হবে। একটি মেয়ে যখন স্বাভাবিক ভাবে মাসিক হয় তখন কিন্তু বোঝা যায় যে সেই মেয়েটি মা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের তৈরি এবং সেই সময় থেকে কিন্তু সেই মেয়েদের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। যে সকল অবিবাহিত মেয়ে বা বিবাহিত মেয়েদের মাসিকের সমস্যা রয়েছে তাদের কিন্তু বেবি কনসিভ করতে অনেকটা সময় লেগে যায় অনেক সময় অনেক মেয়েদের হতেও চায় না শুধুমাত্র তাদের কিছু ভুলের জন্য।
মাসিক হওয়ার পরে অবশ্যই আপনাদের অতিরিক্ত দৌড়ঝাপ করা যাবে না কারণ যখন আপনি মাসিকের সময় দরজা করবেন এতে করে কিন্তু আপনার ওই জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারণ সেখানে আঘাত লাগা মানে ক্ষতি হওয়া। সেজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন মাসিক হলে কোনরকম দৌড়ঝাপ লাফানো এই সকল কাজগুলো থেকে দূরে থাকার।
তবে যারা প্রফেশনালি কোন কাজ করেন বা দৌড়ঝাপের মধ্যে থাকেন তারা অবশ্যই এই সময়টাতে বুঝে শুনে কাজ করবেন অবশ্যই আপনারা সবকিছু বুঝেন বলেই এই সময়টাতেও এগুলো করে থাকেন। মাসিক হওয়ার পরে ময়লা কাপড় বা ভেজা ন্যাপকিন কখনো ব্যবহার করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব এটা চেঞ্জ করে ফেলবেন কারণ যখন আপনি এই ভেজা ন্যাপকিন বারবার ব্যবহার করতে থাকবেন তখন কিন্তু সেখান থেকে আপনার ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে আর যখনই ইনফেকশনটা হয়ে যাবে তখন কিন্তু অবস্থান একটা খারাপ হয়ে যাবে।
অনেক সময় যখন আপনি ভেজা ন্যাপকিন ব্যবহার করতে থাকেন তখন কিন্তু ওই ভেজা ভাবটা ভেতরে দিকে চলে যায় এবং ওখান থেকেই পরবর্তী সময়ে ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেজন্য এ বিষয়টাতে সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়টা সব সময় চেষ্টা করবেন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং নিজের মাথা ঠান্ডা রাখা কোনরকম টেনশন নিজের মত রাখবেন না। আবার অনেক সময় এই সময়টাতে ঘুম হতে চায় না কিন্তু ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে আপনার শারীরিক রেজিস্টার প্রয়োজন পড়বে এই সময়।
তাই অতিরিক্ত প্রেসার নেবেন না যে কোন কাজ ঠান্ডা মাথায় করার চেষ্টা করবেন। মাসিক হলে সাইকেল চালাবেন না এতে করে ক্ষতি হতে পারে। এ সকল কাজগুলো আপনারা করতে পারবেন তবে সাত দিন পরে বা মাসিক হওয়ার প্রথম তিন দিন তো একেবারেই এগুলো কাজ করা উচিত নয়। অনেকেই না বুঝে এ সকল কাজগুলো করে ফেলে যার ফলে পরবর্তী সময় তাদের সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়গুলো জানা থাকলে অবশ্যই আপনারা মাসিক হওয়ার পর এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখবেন ধন্যবাদ।