গর্ভবতী মায়ের দোয়া ও আমল

গর্ভবতী মায়ের দোয়া ও আমল কিভাবে করতে হয় এটা জানতে হলে আমাদের লেখাগুলো পড়তে হবে কারণ আমরা আজকে গর্ভবতী মায়েদের কিভাবে দোয়া করতে হবে এবং কিভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যারা আমাদেরই লেখাগুলো পড়বেন তারা এই সকল বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

গর্ভবতী মায়েদের কিভাবে দোয়া করতে হয় এবং কিভাবে আমল করতে হয় এ বিষয়গুলো অনেকেই জানে না কারণ এগুলো জানা অনেক বেশি প্রয়োজন। গর্ভবতী অবস্থায় একটি মেয়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়টা তার জীবন মরণের অনেক বেশি ঝুঁকি থাকে কারণ সে যদি একটু সতর্ক ও সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে থাকে তারপরেও তার জীবনের রিক্স থেকে যায়।

সেজন্য এই সময় কিভাবে চলতে হবে এবং কি কি করলে জীবনে ভালো থাকা যাবে বা সুস্থ সন্তান জন্ম দেয়া যাবে সে সকল বিষয়ে জানতে হবে। গর্ভকালীন অবস্থায় আপনি যতই ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট নেন না কেন আল্লাহ না চাইলে আপনি কখনো সুস্থ থাকতে পারবেন না সেজন্য আল্লাহর কাছে আপনাকে কিছু দোয়া ও আমল করতে হবে যেগুলো আল্লাহ সন্তুষ্ট হবে।

আল্লাহ যখন আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকবে তখন আপনার সকল বিপদ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন কারণ এই নয় মাস বা ১০ মাস আপনাকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়।গর্ভবতী একটি মহিলা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কিছু কষ্ট করে চলতে হয় এবং অনেক কিছু মেন্টেন করতে হয় যেমন তার পছন্দের খাবার গুলো তাকে এড়িয়ে চলতে হয় যেমন তার যেগুলো অপছন্দ সেগুলো করা লাগতে পারে আবার যদি আপনি আল্লাহকে নিয়মিত না ডাকেন বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করেন তাহলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন না।

গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে পাঁচ ওয়াক্ত এবং এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি আপনাকে এমন কিছু দোয়া রয়েছে যেগুলো নিয়মিত আমল করতে হবে তাহলে দেখবেন যে আল্লাহ আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে এবং আপনার কোন রকম কোনো বিপদ হবে না। গর্ভবতী অবস্থায় আস্তে আস্তে মেয়েদের পেট বড় হতে থাকে মানে বাচ্চা ভেতরে বড় হতে থাকলেই পেট বড় হয় সেই ক্ষেত্রে নামাজ পড়াটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায় কিন্তু তারপরও যদি আপনি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে না পারেন তাহলে বসে হলেও আপনাকে নামাজ পড়তে হবে।

অনেক মানুষ আছে যাদের গর্ভবতী অবস্থায় নানা রকম বিপদ হয়ে যায় যেমন অনেক সময় অনেকের অনেক সমস্যা হয় অনেকেই একবারে বেড রেস্টে থেকে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি বেডে বসে থেকে নামাজ পড়তে পারেন এবং পেটে বসে থেকে দোয়া ও কালেমা পাঠ করতে পারেন যেগুলোতে আল্লাহ আপনার সকল বিপদ থেকে দূরে রাখতে পারে।

জীবনে সঠিকভাবে সবকিছু করতে হলে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে কারণ আল্লাহ ছাড়া বিপদ থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না সেজন্য বিপদের দোয়া পড়তে হবে বারবার। গর্ভবতী অবস্থায় পাক পবিত্র থাকতে হবে সব সময় কোন রকম কোন মনোভাব পোশাক বা কোন রকম খারাপ কাজ করা যাবে না যেমন মিথ্যা বলা যাবে না অন্যের খারাপ চাওয়া যাবে না সব সময় পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করতে হবে। যখনই আপনি অন্য কোন মানুষের বিষয়ে বেশি নাক গলাতে যাবেন তখনই আপনার সমস্যা হবে কারণ এটা আপনার প্রেসারের সমস্যা হয়ে যেতে পারে সেজন্য অন্য মানুষের বিষয়ে কখনো খারাপ চিন্তা করা যাবে না।

গর্ভকালীন অবস্থায় আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে কারণ আপনি যত আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বেন আল্লাহ তত আপনাকে ক্ষমা করবে এবং আপনার পথ আরো বেশি সহজ করে দেবে সেজন্য আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার কোন বিকল্প পথ নেই। আপনি যত বেশি আল্লাহকে স্মরণ করবেন আল্লাহর পথে চলবেন এবং নিজের বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আল্লাহকে ডাকবেন তত বেশি ভালো হবে সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের এ সকল আমলনামা গুলো করা অনেক বেশি প্রয়োজন এবং এই যে দোয়াগুলো পড়তে হবে তাও পেয়ে যাবেন আমাদের এখান থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *