মাসে একাধিক বার মাসিক হওয়ার কারণ

মাসে একাধিক বার মাসিক হওয়ার কারণ রয়েছে আর আপনারা যারা এই সকল কারণগুলো জানেন না কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। যখন আপনার এই তথ্যগুলো জানতে পারবেন তখন আসলে আপনাদের অনেক বেশি উপকার হবে কারণ যারা এই সমস্যা রয়েছেন তারা যদি ভালোভাবে এটার প্রতিকার না জানেন বা কারনগুলো না জানা থাকেন তাহলে কিন্তু দিন দিন আরো বেশি সমস্যা সম্মুখীন হয়ে পড়বেন।

তাই আমরা আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য মাসে একাধিক বার মাসিক হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা করব আপনারা যারা এই সমস্যায় রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে এটা সমাধানও বুঝতে পারবেন। বিভিন্ন কারণে মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে তবে যদি এক মাসে একাধিকবার মাসিক হতে থাকে তাহলে কিন্তু এটা খুবই জটিল সমস্যা বলে ধরা চলে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিমাসে একবার করে মাসিক হয় এটা হয়তো মাসের শুরুতে হতে পারে আবার মাসের শেষে হতে পারে কিন্তু এটা একই নিয়মে হতে থাকে প্রতি মাসে।

অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়মের কারণে পাঁচ দিন আগে হতে পারে বা পাঁচ দিন পরে হতে পারে তবে এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। কারণ প্রতিমাসেই প্রায় এমনটা হয়ে থাকে সবার। কিন্তু এরপরেও যদি মাসের মধ্যে কয়েকবার মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই চিন্তার বিষয় কারণ এটা কিন্তু স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। মাসের মধ্যে যদি কয়েকবার মাসিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে কারণ এটা কিন্তু বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যেমন ধরেন আপনাদের যদি জরায়ুতে কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু এই সমস্যাটা হতে পারে।

যে সকল মহিলাদের জরায়ুতে টিউমার রয়েছে এবং টিউমার অনেক বেশি খারাপ অবস্থায় চলে গেছে সে ক্ষেত্রে কিন্তু মাসের মধ্যে কয়েকবার মাসিক হতে পারে। হয়তো বা এটা মাসিকের জন্য রক্তক্ষরণ নাও হতে পারে কারণ যখন আপনার জরায়ুতে টিউমার হবে তখন ওই টিউমার থেকে কিন্তু রক্ত বের হতে শুরু করবে যা আপনার মাসিকের রাস্তা দিয়ে মাসে কয়েকবার বের হতে শুরু করবে। এমন সময় মানুষ অবশ্যই ভাবতে শুরু করে যে এটা হয়তো মাসিকের জন্যই মাসে ২-৩ বার করে মাসিক হচ্ছে তখন মানুষ গিয়ে হোমিও ওষুধ থেকে শুরু করে যে কোন ফার্মেসি থেকে মাসিকের ওষুধ খেয়ে ফেলে।

অনেক সময় মানুষ ভাবে যে এটা হোমিও ওষুধ খাওয়ার পরে ভালো হয়ে যাবে আর সবাই কিন্তু মাসিক বন্ধ হওয়ার জন্য ওষুধটা খায় এতে করে তাদের পরবর্তী মাসে স্বাভাবিক যে মাসিকটা হয় সেটাতে ক্ষতি করে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনাদের জরায়ু সে টিউমারটা ভালো হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু এই সমস্যাটা হতেই থাকবে সেজন্য যখন আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে তখনই আসলে আপনার সমস্যাটা ধরা পড়বে।

এছাড়াও যাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরও কিন্তু মাসে ২-৩ বার করে মাসিক হতে পারে এটা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারে আবার অনেকেই বুঝতে পারে না। একটি বিষয় ভাবুন একটি মানুষের শরীর থেকে যদি মাসে ২-৩ বার করে রক্ত বের হতেই থাকে সেক্ষেত্রে কিন্তু সে মানুষটা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়বে কোনভাবেই সে মানুষটাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো যাবে না। যত বেশি খাবার খান পুষ্টিকর ততই কাজ হবে না কারণ মাসে যদি ২-৩ বার করে মাসিক হয় তাহলে আপনার শরীর থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত রক্ত বের হতে থাকবে যার ফলে আপনার শারীরিক অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যাবে।

শরীরে যখন রক্ত থাকবে না তখন দুর্বলতা থেকে শুরু করে নানা রকম সমস্যা কিন্তু সৃষ্টি হয়।তাই দেরি না করে যখনই আপনারা বুঝতে পারবেন যে আপনাদের প্রায় প্রতিমাসেই দুই থেকে তিনবার করে মাসিক হচ্ছে তখন আপনারা দ্রুত ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এতে করে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *