মাসে দুই তিন বার মাসিক হওয়ার কারণ

মাসে দুই তিন বার মাসিক হওয়ার কারণ রয়েছে আপনারা যারা এরকম সমস্যা নিয়ে রয়েছেন তারা অবশ্যই এটা সমাধান করে ফেলবেন দ্রুত। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এরকম সমস্যা নেই দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে কিন্তু তারা কোন সমাধানের চেষ্টা করে না বা তারা কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে না এ বিষয়টা নিয়ে।

প্রতিটা মেয়ে মানুষেরই একটি পর্যাপ্ত বয়সের পর মাসিক হয় আর এই মাসিক যদি সঠিক নিয়মে না হয় তাহলে কিন্তু নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। এ সমস্যাগুলোর কথা অনেক জন জানে না বিধায় তারা সমাধানের চেষ্টা করে না মাসিকের যে কোন সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যেই নিয়ে বসে থাকে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য মাসিকের সকল সমস্যা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছি আপনারা যারা মাসিকের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রয়েছেন তারা যদি আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সকল বিষয়ে ভালোমতো জানতে পারবেন।

যদি নিজেরা সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই সকল বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন কারণ আপনি যদি মাসিকের সমস্যা নিয়ে থাকেন তাহলে হয় বিয়ের আগে সমস্যা হবে না হলে বিবাহিত জীবনে সমস্যা হবে। তাই অবহেলা নয় সতর্ক হতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে তবেই দেখবেন যে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারছেন।মাসে যদি দুই তিন বার মাসিক হয় তাহলে কিন্তু বুঝতে হবে যে আপনার শারীরিক অবস্থা একেবারে খারাপ কারণ মাসে কখনো এ মাসে দুই তিনবার হবে না। মাসিকের একটু সঠিক নিয়ম আছে প্রতি মাসে ঠিক সেই নিয়মে মাসিক হতে শুরু করবে কিন্তু প্রতিমাসের ওই নিয়ম বাদ দিয়ে যদি আপনার দুই তিন বার করে মাসিক হয় তাহলে আপনার শারীরিক অবস্থা একেবারে খারাপ হবে।

কারণ যখন মাসে ২-৩ বার করে মাসিক হবে তখন কিন্তু আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত বের হয়ে যাবে আর সেজন্য আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগবেন এবং যখন একটি মানুষের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তখন কিন্তু তার শরীর নানারকম রোগের সৃষ্টি হয়ে যায়। প্রতি মাসে যদি দুই তিনবার করে মাসিক হয় তাহলে বুঝে ফেলবেন যে আপনার ওইটা জরায়ুর কোন সমস্যা রয়েছে না হলে আপনার ভেতরে টিউমার হয়েছে। যখন টিউমারের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয় তখনই কিন্তু সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয় আর যখন জরায়ুতে টিউমার হবে তখন অবশ্যই সেটা জরায়ুর পথ দিয়ে রক্তক্ষরণ টা হবে।

যখন একটি মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন থেকে টিউমার থাকে এবং ওটা যদি অনেক বড় হয়ে যায় সেখান থেকে কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেজন্য আপনাদের দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে এমন কোন সমস্যা দেখা দিলে। যখন টিউমারটি বড় হবে এবং ফেটে যাবে বা একটা থেকে আরো অনেকগুলো তৈরি হতে থাকবে তখন মাসিকের সমস্যা দেখা দিবে। প্রতিমাসে যদি সঠিক নিয়মে আপনার মাসিক হয় তারপরও দেখবেন যে সেটা ক্লিয়ার ভাবে হচ্ছে না আবার মাসে দুই তিনবার করে হচ্ছে। প্রথমবারে যখন ক্লিয়ার হবে না তখন বুঝে ফেলবেন যে ওটা অন্য কোন সমস্যা।

অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা মাসিকের সমস্যাটা ভালোমতো খেয়াল করে না তারা ভাবে যে হয়তো টিউমার নয় এটা মাসিকের সমস্যার জন্য এ মাসে ২-৩ বার করে হচ্ছে। যার ফলে তারা যেকোনো ফার্মেসি থেকে বা যে কোন ছোটখাটো ডাক্তারের কাছে গিয়ে মাসিকের জন্য ওষুধ খায় এদিকে তাদের ভেতরে যে কোন সমস্যা হয়েছে এটা তারা কল্পনাও করতে পারে না।

তারা যখন মাসিকের সমস্যার জন্য ওষুধ খায় তখন কিন্তু সেটা কিছুদিন ভালো থাকে তবে তারপরে আবারও টিউমারটা জেগে উঠে এবং আগের মত সমস্যা হয়ে যায়। তাই আপনারা যারা প্রতি মাসে এটা লক্ষ্য করেন যে ২-৩ বার করে আপনাদের মাসিক হচ্ছে তারা যে কোন ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান ভালোমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন ওইটা কিন্তু বিপদের লক্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *