মাসে দুই-তিনবার মাসিক হওয়ার কারণ

মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ রয়েছে আপনারা যারা ভাবছেন হয়তো মাসে আপনাদের ২-৩ বার মাসিক হয় এটা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা। একটি মেয়ে মানুষের কখনো মাসে ২-৩ বার মাসিক হবে না যখনই আপনাদের এমন কোন সমস্যা দেখা দেবে তখনই আপনারা দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিটা মেয়ে মানুষের এক মাস পর পর মাসিক হয় অনেক সময় পাঁচ দিন আগে হতে পারে আবার অনেক সময় পাঁচ দিন পরে হতে পারে কিন্তু মাসে ২/৩ বার মাসে কখনোই হতে পারে না।

আজকে আমরা এ বিষয়ে আপনাদের কিছু তথ্য জানাবো আপনারা যারা এমন সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন কারণ আপনারা যারা ভেবে আছেন যে হয়তো মাসে আপনাদের মাসিকের সমস্যার জন্য দুই তিনবার করে মাসিক হচ্ছে তারা অনেক ভুল ধারণায় রয়েছেন। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে কিন্তু এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে কারণ এই থেকে আপনাদের অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে যার ফলে আপনারা পরবর্তীতে পস্তাতে থাকবেন। তাই প্রথম অবস্থায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং মাসিকের সকল সমস্যা দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তা না হলে আপনি কোনভাবে সুস্থ হতে পারবেন না।

বিভিন্ন কারণে কিন্তু মানুষের শরীর থেকে ব্লিডিং হতে পারে তবে এই ব্লিডিং এর রাস্তা কিন্তু মাসিকের রাস্তায় হয়ে থাকে। একটি মানুষের যখন প্রথম থেকে স্বাভাবিকভাবে মাসিক হয় এবং আস্তে আস্তে যখন তার এক মাসের মধ্যে দুই থেকে তিনবার মাসিক হতে শুরু করে তখন অবশ্যই বুঝে ফেলা উচিত যে এটা অন্য কোন রোগের কারণে হচ্ছে। অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যাদের অনেক জটিল রোগ হয়ে থাকে কিন্তু তারা মাসিক হচ্ছে বা মাসিকের সমস্যা হচ্ছে বিধায় মাসিকের জন্য ওষুধ খায় কিন্তু মাসিকও ভালো হয় না আবার দুই তিনবার মাসিক হওয়ার সমস্যাটাও দূর হয় না।

যে সকল মানুষের জড়ায়ুতে টিউমার রয়েছে তাদের কিন্তু প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার করে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে এটা মাসিক নয় এটা টিউমারের ব্লাডটাই আসে কিন্তু সবাই ভাবে হয়তো মাসিক হচ্ছে। যখন মাসে ২-৩ বার মাসিক হবে তখন কিন্তু একটি মানুষের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে সে যতই পুষ্টিকর খাবার খাই আর যতই ভালো থাকার চেষ্টা করুক সে কোনোভাবে ভালো থাকতে পারবে না কারণ তার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে যাবে।

কারণ প্রতিটা মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন পড়ে যখন এক মাসে ২-৩ বার মাসিক হয় এবং অতিরিক্ত রক্ত বের হয়ে যায় তখন কিন্তু সেই মানুষটা রক্তশূন্যতায় ভোগে সে মানুষটা হয়তো বুঝতে পারে না স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে কিন্তু আস্তে আস্তে তার অবস্থান ও খারাপ হয়ে যায়। যখন জরায়ুতে টিউমার হয় সে টিউমার টার কিন্তু হালকা ব্যথা অনুভব হয় কিন্তু অনেক মানুষ ভাবে যে এটা মাসিকের ব্যথা কারণ জরায়ুতে কোন সমস্যা হলে যখন মাসিক শুরু হয় তখনই সেটা জেগে ওঠে এবং সেই সময়টাই ব্যথা হয়। যার ফলে অনেক মানুষ ভাবে হয়তো এটা মাসিকের ব্যথা এবং তার জন্য তারা চিকিৎসা নিতে চায় না।

আস্তে আস্তে যখন টিউমারটা বড় হয়ে যায় এবং কোনোভাবেই যখন সে মানুষটাকে আর সামাল দেয়া যায় না তখন মানুষটা বুঝতে পারে যে হ্যাঁ এটা হয়তো মাসিকের জন্য না এটা অন্য কোন সমস্যার জন্য হয়েছে। এমন অবস্থায় চিকিৎসা নিতে গেলে সে মানুষটার জরায়ু একেবারে কেটে ফেলতে হয় তাই যখনই আপনারা বুঝতে পারবেন যে মাসে ২-৩ বার মাসিক হচ্ছে তখন দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন। স্বাভাবিক নিয়মে মাসে কখনোই ২-৩ বার মাসিক হতে পারেনা।

অনেক সময় মাসিকের ডেট আগায় যেতে পারে যেমন এক মাসের যদি আপনার 27 তারিখে ডেট থাকে তাহলে হয়তো ২৫ তারিখে হচ্ছে এমনটা হতে পারে কিন্তু কখনোই ২-৩ বার হবে না তাই সতর্ক হোন এবং সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *