দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ রয়েছে অনেক কিন্তু এ কারণগুলো অনেকেই জানে না বিধায় নানা রকম ভাবে চিন্তায় পড়ে যাই। তাই আমরা আজকে আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ সহ এর প্রতিকার নিয়ে এবারের আয়োজনটি করেছি তার জন্য আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত।

মাসিক না হয় একটু বর্ধনের সমস্যা তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের একটু এলোমেলো হলে কিন্তু তারা নানা রকম ভাবে চিন্তায় পড়ে যায়। সেজন্য মাসিক সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো প্রতিটা মেয়ে মানুষকে সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন যেন যে কোনো সমস্যা হলে তারা বুঝতে পারে যে আসলে কিসের জন্য এমনটা হচ্ছে। একটি মেয়ের মাসিক হয় বলে তার মা হওয়ার সম্ভাবনাটা থাকে কিন্তু যদি হঠাৎ করে এটার কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।

বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ রয়েছে যেমন তারা যদি হঠাৎ করে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে এবং তারা যদি পরীক্ষা না করে থাকে তাহলে বোঝা যায় যে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণে পেছনে হয়তো তারা প্রেগন্যান্ট। কারণ মাসিক না হলে বা একটি মেয়ে যদি প্রেগন্যান্ট হয় তাহলে কিন্তু প্রথম এক মাসে বুঝতে পারে না ভালোমতো যে আসলে সে প্রেগনেন্ট আর বুঝতে বুঝতে তার দেড় মাস প্রায় পার হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে দুই মাস মাসিক বন্ধ না হলেও অনেকেই আছে যারা পরীক্ষা করে না।

তাই বলা যায় বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ হতে পারে তারা প্রেগন্যান্ট বা তাদের অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে। যদি আপনার নিয়মিত মাসিক না হয় তাহলে আপনার এমন সমস্যাটা রেগুলার হওয়ার কথা আর যদি আপনার নিয়মিত মাসিক হয় কিন্তু দুই মাস ধরে মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার অন্য কোন সমস্যা হয়েছে। অন্য কোন সমস্যা বলতে অবশ্যই অনেক সময় জরায়ুতে সমস্যা দেখা দেয় যেমন জড়াতে টিউমার সিস্ট এগুলোর জন্য কিন্তু মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে।

এগুলো অনেক বাজে ধরনের সমস্যা এগুলো হলে মানুষ সহজে বুঝতে পারে না কারণ জরায়ুতে যখন টিউমার হয় বা ক্যান্সার হয় তখন কিন্তু মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলতে থাকে এবং হঠাৎ করে তাদের সমস্যা এত বেশি বৃদ্ধি পায় যে তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং অনেকটা যন্ত্রণা শুরু হয়। তবে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে এটা ঠিক কতদিন পর পর হচ্ছে আপনার যদি বেশ কিছুদিন পর পর এমনটা হয় তাহলে ঘরে বসে থাকা যাবে না আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়মে মাসিক দুই মাস বন্ধ থাকতে পারে কিন্তু আপনার যদি প্রায় বছরে ২-৩ বারই এরকম হয়ে থাকে যে দুই মাস পর পর মাসিক বন্ধ থাকছে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে কারণ এটা অন্য কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যখন আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন তারা আপনাকে সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন এবং তারপরে চিকিৎসা প্রদান করবেন আর যখন আপনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দেয়া হবে তখন কিন্তু আপনার অভিনয় করা সহজ হবে এবং আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন তাড়াতাড়ি।

আবার অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের সমস্যাটা বর্তমানে অনেক বেশি দেখা দেয় কারণ তাদের শরীরের অবস্থা যদি ভালো না হয় তাহলে কিন্তু তাদের এক মাসের জায়গায় দুই মাসও মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে কেন তার দুই মাস মাসিক বন্ধ হয়েছে বা কোন সমস্যার জন্য তাই যদি আপনি পারেন তাহলে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে মাসিক হওয়ার চেষ্টা করবেন।

আর যদি তাতেও কাজ না হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। আশা করছি এ বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন তাই যাদের দুই মাসের বেশি বা দুই মাস মাসিক বন্ধ থাকে তারা ঘরে বসে না থেকে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ ফলো করলে দেখবেন যে আপনাদের এই সমস্যা দূর হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *