বিয়ের পর মাসিক না হওয়ার কারণ

বিয়ের পর মাসিক না হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে এই সকল কারণগুলো জানতে হলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন শেষ পর্যন্ত। বিয়ের পর মাসিক না হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে যেমন অনেক সময় যে সকল মহিলাদের বিয়ের আগে মাসিকের সমস্যা থাকে তাদের কিন্তু বিয়ের পরেও এই সমস্যাটা থেকে যায়।

আবার নতুন বিবাহিত মানুষরা বিয়ের পরে নানা রকম ওষুধ সেবন করতে ব্যস্ত থাকে আর এই সকল ওষুধ সেবনের মাধ্যমে তাদের ক্ষতি হয় যার ফলে তাদের মাসিক একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আপনারা যারা সচেতন ব্যক্তিগণ রয়েছেন তারা অবশ্যই জানেন যে পিল খাওয়া একটি মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর কিন্তু এটা অনেক মানুষের বোঝেনা তারা বাচ্চা না নেয়ার জন্য নিয়মিত পিল খেতে থাকে। যার ফলে হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় আর যখনই মাসে বন্ধ হয়ে যায় তখন কিন্তু নানা রকম টেনশনে পড়ে যাই অনেকে ভাবে সে হয়তো প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছে আবার অনেকে ভাবে যে অন্য কোন সমস্যা হয়েছে।

যখনই একটি মানুষের নিয়মিত মাসিক হবে না বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে তখনই কিন্তু হঠাৎ করে সেই মানুষটার শরীর অনেক বেশি মোটা হতে শুরু করবে যার ফলে তার শরীরের চর্বি জমে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে সে আর বাচ্চা জন্মদান দিতে পারবে না। সেজন্য প্রতিটা মানুষের উচিত বিয়ের পরে যেন মাসিক নিয়মিত হয় সে সকল বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া আর সকল বিষয়ে সঠিকভাবে তথ্য জেনে নেয়া। আপনারা যখন জন্ম বিরতি ট্যাবলেট খান পিল খান তখন কিন্তু এটার সাইড ইফেক্ট থাকে সেজন্য যে কোন ফার্মেসি থেকে একটা না কিনে যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে এ ধরনের ওষুধ সেবন করতে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাদের এই ধরনের সমস্যাগুলো আর হয় না।

এছাড়া মাসিক বন্ধ হওয়ার নানা রকম কারণ রয়েছে যেমন শারীরিক অন্য কোন জটিলতা থাকলে কিন্তু মাসিক হতে দেরি হয়। আর যখনই একটি মানুষের বিয়ের পরে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তখনই কিন্তু নানা রকম টেনশন শুরু হয় যেমন যদি তার কখনো বাচ্চা না হয় তাহলে কিন্তু সে ওই পরিবারের একেবারে ভালো থাকতে পারবে না। বিবাহিত জীবনে একটি বাচ্চা হওয়া মানেই সেই মানুষটার অন্যরকম সম্মান পাওয়া সবার কাছে কিন্তু যখনই তার মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে তখনই কিন্তু তার বাচ্চা না হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই আপনারা যারা বিয়ের পরে নিয়মিত সহবাস করেন তারা অবশ্যই পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন যদি আপনারা অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে সেটা করবেন।

যখনই আপনি নিয়মিত পিল খেতে শুরু করবেন তখন আপনার শরীরে দুর্বলতা চলে আসবে অনেক সময় শরীরের দুর্বলতা এবং রক্তের ঘাটতির কারণে কিন্তু মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।আবার অনেক সময় অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে শরীরের চর্বি জমে যায় যার ফলে মাসিক হতে গেলে অনেকটা সমস্যা দেখা দেয় এবং মাসিক ক্লিয়ার হয় না আস্তে আস্তে সেটা বন্ধই হয়ে যায়। এ সকল বিষয়গুলো প্রতিটা মেয়ে মানুষের জানা প্রয়োজন কারণ যাদের বিয়ের আগে মাসিকের সমস্যা থাকে তারা কিন্তু বিয়ের পরেও এই সমস্যাটা নিয়ে ভুগতে থাকবেন। তাই বিয়ের আগে যদি পারেন এই সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন।

আপনাদের যদি দুই তিন মাসের বেশি মাসিক বন্ধ থাকে তখন আপনারা টেস্ট করতে পারেন যে আপনি প্রেগনেন্ট কিনা যদি আপনি প্রেগনেন্ট না হওয়ার পরেও আপনার মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করবেন। অনেক সময়ে জড়াইতে টিউমারের কারণে ও মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে যার ফলে মানুষ ভাবে যে অন্য কোন সমস্যা বা সে হয়তো প্রেগনেন্ট সেজন্য তার মাসিক হচ্ছে না।

আর যখন আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে এবং আসলে আপনার কোন সমস্যার জন্য মাসিক হয় না সে বিষয়টা ভালোভাবে লক্ষ্য করা যাবে যার ফলে আপনি চিকিৎসা পাবেন। বিয়ের পরে যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় অবশ্যই চিকিৎসা করানো অনেক বেশি প্রয়োজন আর সেটা যত দ্রুত সম্ভব করাতে হবে তা না হলে পরবর্তীতে আরও বেশি সমস্যা দেখা দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *