মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ রয়েছে এই লক্ষণগুলো আপনারা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। তবে অনেক মানুষ আছে যারা লক্ষণ গুলো জানে না বিধায় বুঝতে পারে না তাই এবার আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এই লক্ষণগুলো নিয়ে কিছু তথ্য দেব।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে খুব ভালোমতো বুঝতে পারবেন মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতীদের কি কি লক্ষণ বোঝা যায়। এরকম গুলো জেনে রাখা কিন্তু অনেক প্রয়োজন কারণ যদি আপনি সহবাস করে ফেলেন এবং তখন যদি আপনাদের পেটে বাচ্চা চলে আসে সে ক্ষেত্রে যদি আপনি তখন করলে না বুঝতে পারেন তাহলে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। যেমন অনেক সময় কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মের জন্যই মাসিক বন্ধ থাকে সেক্ষেত্রে যদি আপনারা ভাবেন যে আপনাদের পেটে বাচ্চা আসে এই মাসে কি এমনিতেই বন্ধ রয়েছে তখন যদি নিজের যত্ন না নেন তাহলে কিন্তু বাচ্চার ক্ষতি হবে এবং বাচ্চাটার সঠিকভাবে যত্ন নেয়া হবে না।

বাচ্চা যখন পেটের মধ্যে থাকে তখন তার মায়ের যত্ন মানে বাচ্চার যত্ন মাকে যত বেশি যত্ন সহকারে রাখা যাবে তত বেশি বাচ্চার যত্ন হবে। তাই একটি মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন নিতে হয় তার খাবারের দিকে খেয়াল করতে হয় সে কি কাজ করছে না করছে সেগুলোর উপরে গুরুত্ব দিতে হয়। এমন সময় যদি আপনারা না বুঝে থাকেন যে আপনারা প্রেগনেন্ট সে ক্ষেত্রে তো সেই মায়ের যত্ন নেয়া হবে না যার ফলে বাচ্চার উপর প্রভাব পড়বে। মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হলে যে লক্ষণ গুলো হবে সেই লক্ষণ গুলো এবার আপনাদের জানাবো।

সহবাস করার একমাস পরে যদি মাসিক না হয় তাহলে অনেক সময় বোঝা যায় বা মনে হয় যে হয়তোবা প্রেগন্যান্ট তখনই মানুষ শুধুমাত্র পরীক্ষা করে। এছাড়াও সহবাস করার পরে যদি আপনারা বেবি কনসিভ করেন তাহলে কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো বুঝতে পারলে বুঝে যাবেন যে হ্যাঁ আপনি প্রেগন্যান্ট। যেমন ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ করেই দেখবেন যে আপনার মাথা ঘুরছে এবং কোন কারন ছাড়াই আপনার অনেক বেশি দুর্বলতা অনুভব হচ্ছে। হঠাৎ করে দেখবেন নিজের পছন্দের খাবার খেতে পারছেন না আবার যে কোন ধরনের গন্ধ নিজে নিতে পারছেন না।

এছাড়া অনেক সময় যে কোন খাবার খেলে বমি হয়ে যায় আবার খাবার না খেলেও বমি বমি ভাব লাগে সাথে মাথা ঘুরায়। অনেক সময় ব্রেস্ট ব্যথা করে। এছাড়া এসবের লক্ষণগুলো ব্যতীত আপনি দেখবেন যে জরায়ু দিয়ে কিছু তরল বের হচ্ছে যেগুলো শুধুমাত্র পেটে বাচ্চা আসার পরে বের হয় এগুলোকে সাদা স্রাবও বলা যেতে পারে।

তাহলে হয়তো আপনাদের আর বুঝতে বাকি থাকল না প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কি কি লক্ষণ গুলো ধরা পড়ে। অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা এই সকল বিষয়গুলো একেবারে বুঝতে পারি না আর বুঝতে না পারার কারণে তারা একমাস অপেক্ষা করে আর সেই মাসেও যদি মাসিক না হয় তাহলে তারা পরবর্তী মাসে অপেক্ষা করে এবং তারপরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বুঝতে পারে তারা প্রেগন্যান্ট।

এতে করে তাদের অনেকটা সময় পার হয়ে যায় এই সময়টাতেও কিন্তু বাচ্চাদের যত্নের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পেটে বাচ্চা আসলে প্রথম তিন মাস এবং পরের তিন মাস অনেক বেশি সেনসিটিভ সময়ে এই তিন মাসের মধ্যে যদি সঠিকভাবে যত্ন নেয়া না হয় তাহলে কিন্তু সে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাই মাসিক বন্ধ হওয়ার আগের এই লক্ষণ গুলো সবার খেয়াল করা প্রয়োজন তাহলে দেখবেন যে বাচ্চাটা পেটে এসেছে সেটা সঠিক সময় জানতে পারবেন যার ফলে আপনারা সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারবেন। নিজেই সকল বিষয়গুলো জেনে নিন এবং আশেপাশের মানুষদেরও জানেন যারা বেবি কনসিভ করতে চাচ্ছে তারাও যেন এ সকল বিষয়গুলো জেনে নেয় তাহলে তাদের জন্য অনেক বেশি সুবিধা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *