দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ রয়েছে অনেকগুলো আপনাদের এই লক্ষণ গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে তাহলে আর গর্ভবতী হওয়ার পরে আপনাদের কোন রকম কোন সমস্যা হবে না। প্রতিটা বিষয়ে প্রতিটা মানুষের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন কারণ প্রেগন্যান্ট মহিলা দের কতটা যত্নে রাখতে হয় এবং তাদের সাথে কিভাবে কি করতে হয় এ বিষয়গুলো যদি আপনাদের জানা না থাকে তাহলে কিন্তু প্রেগন্যান্ট মহিলার অনেকটা কষ্ট হয়ে যায়।
সে ক্ষেত্রে যদি প্রথম বাচ্চা থাকে তাহলে অন্য কথা আর প্রথম বাচ্চা যদি কোনভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বার যদি আবার গর্ভবতী হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু তার যত্নটা বেশি করতে হয় তাই আমরা এবার আপনাদের সুবিধার জন্য দ্বিতীয়বার গর্ভবতীর লক্ষণ হওয়া নিয়ে আলোচনা করেছি আপনারা যদি আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো ঠিক প্রথমবারের মতোই কিন্তু অনেক সময় প্রথম বাচ্চা হওয়ার পরে দ্বিতীয়বার অনেকেই আছে যারা একেবারে গুরুত্ব দেয় না বা তারা ভাবে যে হয়তো বাচ্চা হবে না।
কিন্তু অসতর্কতার মাধ্যমে যদি দ্বিতীয়বার বাচ্চা চলে আসে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সেটা সিরিয়াস নিয়ে নিতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাটা যেন সুষ্ঠুভাবে দুনিয়াতে আসতে পারে।সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো আপনাকে জেনে নিতে হবে সেটা মা এবং বাবা দুজনের জন্য জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলেও ঠিক প্রথমবারের মতোই সবকিছু হবে কিন্তু আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে প্রথম বাচ্চা যদি আপনার সিজার করে হয় তাহলে দ্বিতীয়বারের বেলায় কিন্তু আপনার পেটের কিছু আঘাত লাগতে পারে বা পেটের কোন সমস্যা হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতার সাথে দিন পার করতে হবে।
প্রতিটা বাচ্চা মায়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং অনেক ভালবাসার হয় সেক্ষেত্রে বাচ্চা পেটে আসা থেকে শুরু করে বাচা হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সবাই অনেক বেশি খুশি থাকে এবং নানা রকম চিন্তাভাবনার মাধ্যমেই গর্ভবতীকে যতনাত্তি করতে থাকে। আর গর্ভবতী মাকে যত বেশি যত্নে রাখা যায় পেটের বাচ্চা ও ঠিক তত বেশি সুষ্ঠুভাবে জন্ম নেয়। দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যেও হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু হবে এবং বমি বমি ভাব হবে নিজের সবচেয়ে পছন্দের খাবারটা খেতে গেলে অনেক বেশি গন্ধ লাগবে এবং খাওয়ার সাথে সাথে বমি হয়ে যাবে।
ঘুম থেকে ওঠার পরে হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যাবে এই মাথাব্যথা যেন কোনো রকম ভাবেই থামতে চাইবে না মোট কথাই দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার সময় ও আপনার প্রথমবারের মতোই শারীরিক কিছু দুর্বলতা এবং কিছু সমস্যা দেখা দেবে।এ সকল সমস্যাগুলো আপনাকে খেয়ালে রাখতে হবে এবং সবথেকে বড় বিষয় যেটা আপনার মাসিক ঠিকমত হচ্ছে কিনা বা মাসিক বন্ধ আছে কিনা সে বিষয়টা খেয়াল করতে হবে।
যদি আপনার মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে আপনাকে প্রথম অবস্থায় কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে যদি সেখানে পজেটিভ আসে তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কারণ আপনি যদি প্রথম থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখেন তাহলে কিন্তু আপনার সকল জটিলতা দূর হবে এবং আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে। কমপক্ষে চারবার গর্ভবতীকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে এবং দেখতে হবে বাচ্চা সঠিকভাবে আছে কিনা। এছাড়াও দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলেও কিন্তু প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাই এই সময়টা যেন গর্ভবতির কোনো রকম কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গর্ভবতীর যদি প্রথমবার সিজার করা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু দ্বিতীয়বার গর্ভবতীর সময় তাকে ভারী কোন কাজ করতে দিতে হবে না যেন সে পেটে আঘাত না পায়। আপনারা যদি একটি গর্ভবতী মাকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই লক্ষণ কোন খেয়ালে রাখতে হবে তাহলে দেখবেন যে কোন সমস্যা হচ্ছে না এবং আপনাদের ঘরে ফুটফুটে একটি সুন্দর বাচ্চা চলে আসছে সুস্থ ভাবে।