গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ শব্দের কিছু লক্ষণ রয়েছে এই লক্ষণ গুলো আপনাদের ফলো করতে হবে তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে একটি গর্ভবতী মাকে প্রতিনিয়ত কতটা যত্ন সহকারে রাখতে হয় এবং তার যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল করতে হবে।

যদি আপনারা গর্ভবতী মাকে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে যত্ন না নেন তাহলে হঠাৎ করেই তার নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ অনেক সময় চতুর্থ সপ্তাহে মানুষের বাঁচা নষ্ট হয়ে যায় এবং যদি আপনাদের চতুর্থ সপ্তাহে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রের গর্ভবতী মা অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে যায়। চতুর্থ সপ্তাহে কিন্তু একটি বাচ্চা পরিপূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যায় তখন শুধু তার আস্তে আস্তে বড় হওয়া বা বিকাশ হওয়ার সময় যেটুকু লাগে সেক্ষেত্রে যদি নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চাটি তখন তাকে ডিএমসি করা ছাড়া কোনোভাবে বের করা যায় না।

তাই চতুর্থ সপ্তাহে যেন আপনার বাচ্চার মা সুস্থ থাকে বা গর্ভবতী মা সুস্থ থাকে সেদিকে খেয়াল করতে হবে নিয়মিত ভাবে যেন কোনো রকম কোনো সমস্যা তা না হয়। গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রথম তিন মাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ শেষে তিন মাসও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মাঝখানে যে সময় গুলো আছে সেগুলো কিন্তু আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়টাই গর্ভবতী মা কে বেশ সাবধানতার সাথে চলতে হয়।

চতুর্থ সপ্তাহে অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের মাথা ঘুরতে পারে খাদ্যে অরুচি আসতে পারে আবার অনেক সময় এমন কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেটার জন্য দুটো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে। আবার এমন কিছু বিষয় রয়েছে অনেক সময় মানুষ বুঝতে পারে না যে সে বেবি কনসিভ করেছে যেমন অনেকের মাসিকের সমস্যা থাকে যার ফলে তারা ভাবে যে হয়তো প্রেগনেন্ট হয়নি এবং এমন অবস্থায় তারা সহবাস করে ও বেবি না নেয়ার জন্য পিল খায় কিন্তু তাদের পেটে বাচ্চা থেকে যায়।

এ ধরনের বাচ্চাগুলোই কিন্তু অটিজম হয় বা এদের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় অনেক সময় বাচ্চাগুলো মারাও যেতে পারে। তাই বিবাহিত মানুষের যদি মাসিকের সমস্যা থাকে এবং সেটা যদি তিন থেকে চার মাসের বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করুন বা ডাক্তারের কাছে গিয়ে অল বডি চেকআপ করার অনেক সময় বেবি থেকে যেতে পারে। আর আপনাদের একটি ভুলের জন্য একটি বাচ্চার প্রাণ চলে যেতে পারে সেজন্য আপনাদের এই বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে এবং যারা গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস করতে চান তারা অবশ্যই এই সময়টায় সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

এই সময় যদি আপনারা সাবধানতা অবলম্বন না করেন তাহলে বেবির এবং গর্ভবতী মায়ের নানা রকম ভাবে ক্ষতি হতে পারে সেই জন্য এই সকল বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে এবং সকলের জেনে রাখা প্রয়োজন।গর্ভবতী মায়ের চতুর্থ লক্ষণ গুলো হলো তার পেট আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই পেট বেড়ে যাবে। চতুর্থ সপ্তাহে গর্ভবতী মায়ের খিদা অতিরিক্ত হবে সে কোনভাবেই খিদা সহ্য করতে পারবেনা এবং তার পছন্দের খাবার গুলো তাকে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে যেন বাচ্চা কোনরকম ক্ষতি না হয় বা বাচ্চার খাবারের সমস্যা না হয়।

চতুর্থ সপ্তাহ থেকে গর্ভবতী মাকে ঢিলাঢালা পোশাক করতে হবে যেন টাইট পোশাকে বেবির বড় হতে সমস্যা না হয়। এছাড়াও বেশি করে পানি খেতে হবে তা না হলে প্রসাবে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। সেজন্য আপনাদের এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রয়োজন পড়লে গর্ভবতী মাকে বেড রেস্টে রাখতে হবে যেন কোন রকম কোন সমস্যা তার না হয়।

আশা করছি আপনারা গর্ভবতী মায়ের চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ গুলো বুঝতে পেরেছেন এবং গর্ভবতী মাকে যত্ন সহকারে রাখবেন যেন তার বাচ্চা সুস্থভাবে দুনিয়াতে আসতে পারে। গর্ভবতী মাকে যত বেশি যত্ন করবেন তার বাচ্চা তত বেশি ভালো হবে এবং পুষ্টি সম্পন্ন হবে কারণ গর্ভবতী মায়ের যত্নের উপরে বাচ্চা সুস্থতা অর্জন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *