গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাসের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাসের কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণ গুলো সকলের জানা প্রয়োজন কারণ প্রথম মাস এত তাড়াতাড়ি চলে যায় যে অনেকে বুঝতে পারে না তার গর্ভে বাচ্চা আছে কিনা। সাধারণত প্রতি একমাস পরপর মেয়েদের মাসিক হয় কিন্তু যখন একটি মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন কিন্তু তার এক মাসের মাসিকটা হয় না তখনই তাকে বুঝে নিতে হয় যে তার পেটের বাচ্চা আছে।

যেমন ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে কোন মাসিক হবে না এবং এর মধ্যে বুঝতে হবে যে সে গর্ভবতী হয়েছে সে ক্ষেত্রে একটি মাস পারি হয়ে যায় তখন যখন পরীক্ষা করা হয় প্রথমত কাঠি দিয়ে সবাই পরীক্ষা করে তারপরে বুঝতে পারে যে সে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু কাঠিতে পজেটিভ আসার পরেও অনেক সময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করতে হয় কারণ কাঠিতে অনেক সময় নেগেটিভ বা ভুলও দেখাতে পারে।

সেজন্য অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে আর দ্বিতীয় মাস থেকে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিবে যে লক্ষণগুলো থেকে বুঝতে হবে যে প্রেগন্যান্ট মহিলার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা এবং সে কতটা সুস্থ রয়েছে। অনেক সময় প্রথম মাস বুঝতে বুঝতে চলে যায় যেমন ৪৫ দিন যদি হয় তাহলে দেখা যায় যে একমাস পনের দিন হয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে তখন পরীক্ষা-

নিরীক্ষা করা হয় এবং ডাক্তারের কাছে যেতে হয় আর এই একমাস পার হওয়ার সাথে সাথেই দুই মাস প্রায় চলে যায়। তখন দুই মাসে যে সকল লক্ষণ গুলো বেশি বোঝা যায় তা হল মাথা ঘোরা অতিরিক্ত মাথা ঘুরবে সে যতই পুষ্টিকর খাবার হোক না কেন তার মাথা ঘুরতেই থাকবে অনেক সময় মাথা ঘুরে অনেকে পড়েও যায়।

এছাড়াও দ্বিতীয় মাসের লক্ষণের মধ্যে বমির বিষয়টা অনেক বেশি পরে এই সময়টা গর্ভবতী মা অনেক বেশি বমি করতে থাকে। এ সময়ে গর্ভবতী মায়ের মেজাজ কেমন খিটখিটে হয়ে যায় কোন কিছু তার যেন সহ্য হয় না কারণ দুই মাসের পর থেকে গর্ভবতী মায়ের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন আসে যা তার আগে কখনোই হয়নি সে ক্ষেত্রে সবকিছু মেনে নিয়ে তাকে জীবনযাপন করতে হয়।

গর্ভবতীর এ সময়টা অনেক বেশি সেনসিটিভ এবং এই সময়টা একটি মেয়েকে অনেক কিছুই পরিত্যাগ করতে হয় এবং অনেক কিছুই গ্রহণ করে নিতে হয় শুধুমাত্র তার বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে সবকিছু সহ্য করতে হয় সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় মাস থেকে তার শরীরের কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। দ্বিতীয় মাসের পর থেকেই গর্ভবতী মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যদি সেটা তার অপছন্দ হয় তারপরও তার বাচ্চার জন্য সেটা খেতে হবে।

এছাড়া যদি শারীরিক কোন জটিলতা থাকে তাহলে ডাক্তারের কাছে গেলে নানা রকম ওষুধ দেয় এই ওষুধগুলো সব সময় খেতে হবে কারণ দ্বিতীয় মাসে একটি বাচ্চা তার পরিপূর্ণতা অর্জন করতে থাকে এবং আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে সে ক্ষেত্রে ওষুধ গুলো সেবন করা অনেক বেশি প্রয়োজন এবং সতর্ক থাকা খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।তাই যারা নতুন মা হতে চলেছেন তারা অবশ্যই প্রথম দিন থেকেই নিজেকে যত্ন সহকারে রাখবেন যেন কোনরকম কোন ক্ষতি আপনার বাচ্চা না হয় কারণ গর্ভবতী মা যত বেশি ভালো থাকবে তার বাচ্চা তত বেশি ভালো থাকবে।

দ্বিতীয় মাস থেকে এমন কিছু কাজ করা যাবে না যাতে বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় কারণ অনেক সময় অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করলে বাচ্চার ক্ষতি হয় যেমন যখন একটি মেয়ে প্রেগন্যান্ট হবে তখন তার জোরে হাঁটাচলা লাফালাফি এসব কিছু করা যাবে না তাতে তার বাচ্চা নানা রকম ভাবে ক্ষতি হয়।

এ সকল বিষয়গুলো দ্বিতীয় মাস থেকে খেয়াল রাখতে হয় কারণ প্রথম তিন মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আপনারা যদি এই সকল বিষয়গুলো বুঝে থাকেন তাহলে খুবই ভালো এবং সকলে মিলে যখন একটি গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে থাকবেন তখন একটি ফুটফুটে সুন্দর বাচ্চা দুনিয়াতে আসবে এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *