গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় মাসের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় মাসের লক্ষণগুলো সবার জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় মাস থেকে একটি বাচ্চা আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করে এবং এই তৃতীয় মাস থেকে বাচ্চাটির চোখ নাক মুখ সবকিছু তৈরি হয়ে যায়।শুধুমাত্র তৃতীয় মাসের পর থেকে গর্ভের সন্তানটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে সেজন্য গর্ভবতী মায়ের এই তৃতীয় মাসের লক্ষণ গুলো সকলের জানা প্রয়োজন কারণ

এই বিষয়গুলো যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে যে কোন সমস্যা হলে আপনারা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন বা গর্ভবতী মায়ের খেয়াল রাখতে পারবেন। তার জন্য আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন শেষ পর্যন্ত আশা করছি আপনারা সকল বিষয় সঠিক ভাবে জানতে পারবেন এবং এগুলো জানা থাকলে আপনাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম থেকে তিন মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই এই কয়েক মাস মহিলাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেজন্য মহিলারা যখন থেকে জানতে পারবে যে তারা প্রেগন্যান্ট তখন থেকে তাদের এক্সট্রা কেয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে যেন এই প্রথম তিন মাস কোনরকম কোন সমস্যা না দেখা দেয়। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের মধ্যে যে সকল লক্ষণ গুলো লক্ষ্য করা যায় তা হল আস্তে আস্তে তাদের বেস্ট বড় হতে শুরু করবে আবার অনেক সময় বেস্টে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

কারন কিছু হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য এমনটা হয়ে থাকে কারণ একটি মানুষ যখন গর্ভবতী হয় যখন তার ভেতরে আর একটা মানুষ তৈরি হতে থাকে তখন কিন্তু তার শারীরিকভাবে দুর্বলতা আসতেই পারে এবং সে নানা রকম ভাবে পরিবর্তন হতেই থাকে। তিন মাস থেকে গর্ভবতী মায়ের পেটের বাচ্চা বড় হতে শুরু করে সেজন্য এই সময়ে গর্ভবতী মাকে ঢালাঢালা পোশাক পড়তে হবে এবং প্রত্যেকটা বিসর্জন উপস্থিত থাকতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম দিকে যেমন বমি বমি ভাব হয় তিন মাসের সময়ও এমনটা থাকতে পারে সেজন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজন পড়লে বমি বন্ধের ইনজেকশন দিয়ে বমি বন্ধ করতে হবে। কারণ যদি বমি বন্ধ না করা হয় তাহলে কিন্তু গর্ভবতী মায়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ সে যখন বমি করবে তখন পেটে আঘাত লাগবে যার ফলে বাচ্চার ক্ষতি হবে।

তারপরও আরেকটা লক্ষন যেটা আপনারা বেশি বেশি করে ফলো করবেন সেটা হলো গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম থেকে তিন মাসের মধ্যে যদি গর্ভবতী মায়ের যোনিপদ দিয়ে রক্ত বের হয় বা পেটে ব্যথা অনুভব করে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারণ এটা কিন্তু খারাপের লক্ষণ কারণ গর্ভবতী অবস্থায় কোনভাবে গর্ভবতী মায়ের যোনিপথ দিয়ে রক্ত বের হবে না যদি বাচ্চা সুস্থ থাকে কিন্তু অনেক সময় অন্য কোন কারণে এমনটা হতে পারে কিন্তু গর্ভবতী সময়ে যদি এমনটা হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন।

ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করবেন যে আসলে কি সমস্যার জন্য তার এমনটা হচ্ছে প্রয়োজন পড়লে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করবেন বা অন্যান্য টেস্ট যদি ডাক্তার দিয়ে থাকেন তাহলে সবকিছু পরীক্ষা করবেন। অনেক সময় তিন মাসের বেলা থেকে গর্ভবতী মায়েদের রেস্টে থাকতে বলা হয় এটার কারণ হলো তাদের জটিলতা। যাদের রেস্টে না থাকলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে তাদের জন্যই ডাক্তাররা গর্ভবতী মাকে রেস্টে থাকতে বলে যেন কোনো রকম কোনো আঘাত পেতে না পড়ে এবং বাচ্চা যেন সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

গর্ভবতী মায়ের তিন মাসের লক্ষণ এর মধ্যে মাথা ঘোরা গা গোলানো এমন সমস্যাটাও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় মাথা ব্যথা অনুভব হতে পারে। গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মাকে কোনো রকম কোনো টেনশন দেয়া যাবেনা কারণ এমন অবস্থায় তারা কোন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে পারবে না সেজন্য তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে তারা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *