গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণগুলো সবারই চোখে পড়ার মতো কিন্তু এই সময়ে গর্ভবতী মাকে অনেক বেশি যত্ন সহকারে রাখতে হয় এবং তার প্রতিটা লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয় তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে তৃতীয় সপ্তাহের গর্ভবতীর লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাদের জানা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।এই লক্ষণ গুলো জানার জন্য আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত আশা করছি আপনারা যদি এই লেখাগুলো পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে গর্ভবতী মায়ের তৃতীয় সপ্তাহে কতটা যত্ন সহকারে থাকা উচিত এবং তাদের লক্ষণগুলো কিভাবে ফলো করা উচিত।

যখন একটি মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন থেকে তার যত্নের কোন শেষ থাকে না কারণ গর্ভবতী হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত একটি বাচ্চাকে সুস্থভাবে দুনিয়াতে জন্ম দেয়া অনেক বেশি কষ্টের একটি বিষয় এই সময়টা মেয়েরা অনেক রিক্সের মধ্যে থাকে তারপরেও তারা একটি সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করে।গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে একটি মেয়ের অনেক কিছু পরিবর্তন চলে আসে শারীরিকভাবে এবং তার এই শারীরিক পরিবর্তনটা তাকে সুস্থভাবে গ্রহণ করতে হয় কারণ সে যদি

একটু অনিয়ম করে বা গুরুত্ব না দেয় তাহলে কিন্তু অনেক বিপদ হতে পারে সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় সবকিছু সঠিকভাবে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে।গর্ভবতী হওয়ার ১ থেকে ৯ মাস বা ১০ মাস পর্যন্তই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় কিন্তু এই সময়ের মধ্যে প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে গর্ভবতী মায়ের সেবা করতে হয়।

কারণ প্রথম তিন মাসেই গর্ভের মধ্যে বাচ্চাটা পরিপূর্ণ মানুষ রূপে আকার ধারণ করে এবং এই আকার ধারণ করার সময় অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় কারণ এই তিন মাসের মধ্যে যদি কোন রকম কোন বিপদ হয় তাহলে কিন্তু বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস অনেক বেশি জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় কারণ এই সময়টা অনেক কিছু মানতে হয় এবং অনেক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে একটি বাচ্চাকে সুস্থভাবে পেটের মধ্যে রাখতে হয় বড় করতে হয়।

এরপরে ঠিক শেষের তিন মাসও তেমন ভাবে রাখতে হয় কারণ শেষে তিন মাসেও যখন তখন ডেলিভারি হতে পারে সেজন্য তখনও অনেক সতর্কতার সাথে সময়টা পার করতে হয়। গর্ভবতী মায়ের তৃতীয় সপ্তাহের যে সকল লক্ষণ গুলো রয়েছে তা হলো আস্তে আস্তে তার বেস্ট বড় হতে থাকবে এবং তার পেটের আয়তন বাড়তে থাকবে। পেটের আয়তন বৃদ্ধি পাবে বলতে গেলে বাচ্চাটা যখন পেটের মধ্যে বড় হতে শুরু করবে তখন কিন্তু গর্ভবতী মায়ের পেট আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করবে সেই জন্য এই সময়টা গর্ভবতী মাকে ঢেলেঢালা পোশাক করতে হয় এবং তার পেট যে বড় হচ্ছে সেটা খেয়াল করতে হবে।

গর্ভবতী মাকে তৃতীয় সপ্তাহে কোনরকম টেনশন দেওয়া যাবে না কারণ এই সময় গুলো তার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এমনিতেই নানা রকম চিন্তা মাথার মধ্যে থাকে যে কিভাবে এই সময়টা পার হবে কিভাবে বাচ্চাকে সুস্থ রাখা যাবে সেজন্য অন্যান্য কোন রকম কোন নেগেটিভ কথা গর্ভবতী মায়ের সামনে না বলাই ভালো। তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণগুলো গর্ভবতী মায়ের একটু বমি বমি ভাব হবে এবং এই সময়ে খাদ্যের রুচি আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে কারণ বাচ্চা যত বড় হতে শুরু করবে গর্ভবতী মায়ের খিদা তত বাড়বে। সেজন্য গর্ভবতী মায়ের জন্য সবসময় পুষ্টিকর খাবার কাছে রাখতে হবে যেন তার যখন খিদে পায় সে তখনই যেন সে খাবারগুলো খেতে পারে।

গর্ভবতী মা কে এক থেকে ৪২ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাঁচা বড় করার জন্য সে ক্ষেত্রে তৃতীয় সপ্তাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এই লক্ষণগুলো সবাই জেনে রাখবেন তাহলে আর গর্ভবতী মায়ের কোন রকম কোন সমস্যা বা বিপদ আসবে না। গর্ভবতী মায়ের এ সকল বিষয়গুলো লক্ষণযোগ্য এবং এই বিষয়গুলো সকলের চোখে পড়বে কারণ আস্তে আস্তে গর্ভবতী মা বাচ্চাকে জন্মদানের জন্য তৈরি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *